Site icon Trickbd.com

ঈদুল আযহা সম্পর্কে কিছু জরুরী বিষয় জেনে নিন

Unnamed

জিলহজ্ব মাসের নয় তারিখ পবিত্র ঈদুল আযহা
তথা কোরবানী। নয় তারিখ ফযরের নামাজ হতে
তের তারিখ আসরের নাময পর্যন্ত (২৩ ওয়াক্ত)
প্রত্যেক ওয়াক্ত ফরয নামাজের পর তাকবীরে
তাশরীক পুরুষদের জন্য জোরে বলা এবং
মহিলাদের জন্য আস্তে বলা ওয়াজিব। এছাড়া,
জিলহজ্ব মাসের নবম তারিখ (আরাফার দিন)
রোজা রাখায় অনেক ফজিলত।

তাকবীরে তাশরীকঃ


আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা
ইল্লাললাহু, ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু
আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ। হাদীস শরীফ
এরশাদ আছেঃ যে লোক পবিত্র ঈদের দিন
অর্থ্যাৎ ১০ তারিখে এ তাকবীর পাঠ করবে সে
পবিত্র হজ্ব ও ওমরার সওয়াব প্রাপ্ত হবে।
প্রত্যেক মুসলমানের উচিত হজ্বের ব্যপারে
নিজের অবস্থানের প্রতি লক্ষ্য রাখা। যেই
ব্যক্তির নিকট মক্কা শরীফ থেকে হজ্ব করে
ফিরে আসা পর্যন্ত পরিবারের আবশ্যকীয় খরচ
বাদে মক্কা শরীফ যাতায়াতের মোটামুটি
খরচ পরিমান অর্থ থাকে, তার উপর হজ্ব ফরয।
ব্যবসায়িক পন্য ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত
জমির মূল্য এ অর্থের হিসেবে গণ্য হবে। অন্ধের
উপর হজ্ব ফরয নয়, তার যত ধনই থাকুক না কেন।
নাবালেগের উপর হজ্ব ফরয নয়। নাবালেগ
অবস্থায় হজ্ব করার পর বালেগ হবার পর সম্ভব
হলে পুনরায় হজ্ব করতে হবে। হজ্ব ফরয হওয়া
স্বত্তেও যে হজ্ব না করে মৃত্যু বরন করে, তার
জন্য ভীষন আযাবের সংবাদ দেয়া হয়েছে।
এরুপ লোক সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ)
বর্ণনা করেছেন, ‘‘সে ইহুদী হয়ে মরুক বা নাছার
হয়ে মরুক, আল্লাহ্ পাকের সাথে তার কোন
সংশ্রব নেই’’।
মাতা পিতার হজ্বের পূর্বে সন্তান হজ্ব করতে
পারেনা এ ধরনের কুসংস্কারের মাধ্যমে
শয়তানের ফাঁদে পা না দেওয়া উচিত। হজ্ব
ফরজ হবার পর আলস্য করে বিলম্ব করলে এবং
পরে গরীব বা শক্তিহীন হয়ে গেলেও ঐ ফরয
তার জিম্মায় থেকে যাবে; মাফ হবে না। যে
কোন উপায়ে তাকে হজ্ব করতে হবে বা মৃত্যুর
পূর্বে বদলী হজ্বের ওছীয়ত করে যেতে হবে।
অষ্ট্রেলিয়াতে যারা বসবাস করছেন তাদের
প্রায় প্রত্যেকেরই হজ্ব ওয়াজিব বলে মনে
করা হয়। এ ব্যবপারে বিস্তারিত জানার জন্য
আপনার নিকস্থ আলেমের সাথে পরামর্শ করুন
অথবা সুপ্রভাত সিডনীর হট লাইনঃ ০৪২৩০৩১৫৪৬
এ যোগাযোগ করুন। হাক্কানী আলেমের সাথে
আমরা আপনাকে সরাসরি যোগাযোগ করিয়ে
দেয়ার ব্যবস্থা করবো।

ঈদুল আযহার সুন্নাত সমূহঃ


ঈদুল আযহার সুন্নাতসমূহ ঈদুল ফিতরের সুন্নাতের
মতই প্রায়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে সামান্য
পার্থক্য রয়েছে যেমনঃ
Ø ঈদুল আযহার দিনে কিছু না খেয়ে ঈদগাহে
যাওয়া সুন্নাত।
Ø ঈদুল আযহার দিনে ঈদগাহে যাওয়া ও
প্রত্যাবর্তনের সময় উচ্চ স্বরে তাকবীর বলা
সুন্নাত।
Ø ঈদুল আযহার নামাজ ঈদুল ফিতর অপেক্ষা
অধিক সকালে পড়া সুন্নাত।
Ø ঈদুল আযহার নামাজের পর সক্ষম ব্যক্তির
জন্য কুরবানী করা ওয়াজীব।
Ø ঈদুল আযহা বা ঈদুল ফিতরের নামাজের কোন
আযান বা একমত নাই।
Ø ঈদের নামাজের কোন ক্কাযা নাই।
Ø ঈদের নামায সহীহ হবার জন্য জামা’আত
শর্ত।

দুই ঈদের রাত্রি র (চান রাত) ফযিলতঃ


নবী (সাঃ) বর্ণনা করেনঃ ‘যে ব্যক্তি ঈদুল
ফিতর ও ঈদুল আযহার রাত্রে জাগরিত থেকে
আল্লাহ্ পাকের ইবাদাত বন্দেগীতে মশগুল
থাকবে, যে দিন অন্যদের অন্তর মরবে, সে দিন
তার অন্তর মরবে না অথাৎ কিয়ামতের দিনের
আতঙ্কে অন্যান্য লোকের অন্তর ঘাবড়িয়ে
মৃতপ্রায় হয়ে যাবে, কিন্তু দুই ঈদের রাত্রে
জাগরণকারীর অন্তর তখন ঠিক থাকবে,
ঘাবড়াবে না (তাবরানী)’।
তাই দুই রাত্রে ছওয়াব অর্জনের কাজ করতে না
পারলেও ফিৎনায় শরিক হয়ে যেন গুনাহগার না
হয়, সেদিকে কঠিন দৃষ্টি দেওয়া আমাদের খুব
জরুরী। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের এ ক্ষুদ্র
সমাজে দেখা যাচ্ছে, চান রাতের নামে
বিভিন্ন জায়গায় নারী পুরুষের অবাধ মেলা
মেশা আর সেই সাথে নানান অপ-সংস্কৃতির
অবিবেচিত ব্যবহার। যার ফলে সামাজিক
অবক্ষয় এবং পারিবারিক বিভিন্ন ধরনের
সমস্যা ক্রমাগত বাড়ছে। অপধর্ম হচ্ছে
শয়তানের তীর, আর এ তীর দিয়ে শয়তান
মুসলমানদেরকেই ধ্বংস করে। ফিৎনা ও বিদাত
থেকে রেহাই পেতে হলে প্রথমেই নারী
পুরুষের অহেতুক অবাধ মেলামেশা বন্ধ আবশ্যক;
হোক তা চান রাতে, অথবা হোক তা ঈদের
নামাযে, বন্ধ করতে হবে দ্বীন রক্ষার্থে। মা
বোনদের ঈদের নামাজে শরিক হবার কোন
শরিয়াতের বিধান নেই। বরং মা বোনেরা ঘরে
বসে তাদের এবাদাত বন্দেগী বা জিকির
আযকার করলে বেশী ছওয়াব। ছওয়াবের নামে
ইসলামিক সঠিক জ্ঞানের অভাবে যদি কোন
মা বোন ভুল করে ঈদগাহে চলে যায়, তবে
তাকে উৎসাহিত না করা ঈমানী দায়িত্ব।
ঈদ বা রোজার ব্যাপারে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল
(সাঃ) পবিত্র কোরআন বা হাদীসের কোথাও
বলিননি যে, কোন দেশকে অনুসরণ করতে।
পবিত্র কোরআন ও হাদিসে স্পষ্ট চাঁদ দেখার
উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সত্যি বা হক্ব
কারো সামনে বিষয়টি উপস্থাপন করার পরও
কেউ যদি তা গুরুত্ব না দেয় বা খামখেয়ালি
করে, তবে তার জবাবদিহিতা তার কাছে
থাকবে। যার যার হিসাব তার নিজেকে দিতে
হবে বৈকি! একটি উদাহারণ দেওয়া যাক, কেউ
যদি বলে আমি সৌদি আরবকে অনুসরণ করে ঈদ
পালন করবো। তাহলে প্রশ্ন হলোঃ এ পদ্ধতি
কোথা থেকে তিনি পেয়েছেন? পবিত্র
কোরআন হাদীসে? দলীয় কি? উত্তরে
গোজামিল ছাড়া কিছুই মেলানো সম্ভব নয়।
কারণ, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কি সৌদিকে
অনুসরণ করে তিনি করেন? তাহলে কেন বছরে
দুই ঈদে নিজের মনগড়া ফতোয়া দিয়ে
নামাজকে বা ঈদকে বরবাদ করবেন? সৌদির
সাথে অস্ট্রেলিয়ার প্রায় আট ঘন্টা সময়ের
ব্যবধান। যারা বলে, আমরা সৌদিকে অনুসরণ
করে ঈদের নামাজ পড়েছি, তারা কি জানেন
যে তারা সৌদিতে অবস্থানরত হাজী
সাহেবদের আগেই অথাৎ সৌদিবাসীদের
আগেই ঈদের নামাজ পড়ে ফেলেছেন? কারণ
যখন অস্ট্রেলিয়ায় কেউ সৌদির সাথে একই
দিনে ঈদের নামাজ পড়ে, তখন সৌদিতে
মধ্যরাতে হাজী সাহেবরা আরাফাত ময়দানে
গভীর ঘুমে অচেতন, নুতুবা তাহাজ্জুতে মশগুল।
সময়ের ব্যবধান অনুযায়ী কেউ যদি সত্যি সত্যি
সৌদি আরবের সাথে ঈদের নামাজ পড়তে চান,
তবে তাকে নামাজ পড়তে হবে ঈদের দিন
বিকেলে। যেহেতু ঈদের নামাজ বিকেলে
পড়ার হুকম শরিয়তে নাই, সেহেতু স্বাভাবিক
ভাবেই তাকে পড়তে হবে পরের দিন সকালে,
সৌদিকে কেউ অনুসরণ করে ঈদের নামাজ
পড়ার অর্থ হচ্ছে সৌদির আগে ঈদ উদযাপন
করা। বাস্তবে সওয়াব অর্জনের পরিবর্তে
অর্জিত হয় উল্টোটা। এ ব্যাপারে পূর্নাঙ্গ
বিশ্লেষন বা ব্যাখ্যার জন্য কমিউনিটিতে
যথার্থ ব্যক্তির দ্বারা সেমিনার পরিচালনা
দরকার। সুপ্রভাত সিডনির অগণিত পাঠাকরা
দয়া করে আমাদেরকে জানালে, আমরা
হাক্কানি আলেম দ্বারা মুসলিম কমিউনিটির
স্বার্থে এ বিশেষ আয়োজনটি করতে পারবো,
ইনশাল্লাহ্। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে
যে, ইসলামিক জ্ঞান আহরণ করা প্রতিটি নর
নারীর উপর ফরজ করা হয়েছে।

Psc,Jsc,Ssc,Hsc,Bcs,Madical,Varsity Exam 100% Common Suggestion & Information ‘Click Here'