আসসালামু আলায়কুম।
অনেক দিন পরে আপনাদের মাঝে ফিরে এলাম। পড়াশোনার চাপে পোস্ট করতে পারি না। কিন্তু আজ মনে হল এই পোস্টটি করা অত্যান্ত জরুরী। অতএব শত ব্যাস্ততার ভিতরেও কষ্ট করে পোস্ট টি করলাম।
★★পহেলা বৈশাখ পালন করা হারাম★★
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
আসুন জেনে নেই পহেলা বৈশাখ পালন করা
কেন হারাম-
–
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরতের পর মদীনা শরীফ গিয়ে ঐ এলাকাবাসীর দুটি উৎসব বন্ধ করেছিলেন। একটি হচ্ছে, বছরের প্রথম দিন উদযাপন বা নওরোজ; অন্যটির নাম ছিলো ‘মিহিরজান’। এ উৎসবের দুটির বিপরীতে চালু হয় মুসলমানদের দুই ঈদ।
–
(১) ইমাম ফখরুদ্দীন উসমান বিন আলী আয যাইলায়ী বলেন:- নওরোজ ও মেলার নামে কিছু দেয়া নাজায়েয। এ দুই দিনের নামে প্রদত্ত হাদিয়া হারাম; বরঞ্চ কুফর। (গ্রন্থ – তাবইনুল হাকায়েক : ৬/২২৮)
(২) ইমাম হাফস কবীর রহমতুল্লাহি বলেন:-
(ক) নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও দান করে, তবে তার ৫০ বৎসরের আমল থাকলে তা বরবাদ হয়ে যাবে
(খ) যে ব্যক্তি নওরোজের দিন এমন কিছু খরিদ করল যা সে পূর্বে খরিদ করত না, এর মাধ্যমে সে যদি ঐ দিনকে সম্মান করতে চায় তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।
(৩) হাম্বলি মাযহাবের ফিকাহর গ্রন্থ ‘আল- ইকনা’ তে বলা হয়েছে- “কাফিরদের উৎসবে যোগদান করা, সেই দিন উপলক্ষে বেচা- বিক্রি করা ও উপহার বিনিময় করা হারাম ।
–
উপরক্ত দলিল দেখলে এটা সহজেই বুঝা সম্ভব, থার্টি ফাস্ট নাইট, পহেলা নববর্ষ, পহেলা মুহররম শুধু পালন করা হারাম নয়, বরং ঐ দিবস উপলক্ষে-
ক) কাউকে শুভেচ্ছা জানানো,
খ) ঐ দিবস উপলক্ষে বোনাস গ্রহণ করা,
গ) ঐ দিবস উপলক্ষে কোন অফার দিলে,
সেটা গ্রহণ করা,
ঘ) ঐ দিবস উপলক্ষে কেনাবেচা করা,
এবং ক্ষেত্র বিশেষে শিরক হয়ে থাকে। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে হারাম পহেলা বৈশাখ থেকে হেফাজত করুন। আমিন।