Site icon Trickbd.com

যে ৪টি শর্ত পূরণ না করলে মুসলমানদের বিয়ে করা হারাম। জানুন সে তথ্য।

Unnamed

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।।।

আসসালামুআলাইকুম।।।
আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলেই ভাল আছেন।।
পোষ্ট::::::-

(১) ইশারা করে দেখিয়ে দেয়া কিংবা নাম উল্লেখ করে সনাক্ত করা অথবা গুণাবলী উল্লেখ অথবা অন্য কোন মাধ্যমে বর-কনে উভয়কে সুনির্দিষ্ট করে নেয়া।

২) বর-কনে প্রত্যেকে একে অপরের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া। এর দলীল হচ্ছে নবী (সাঃ) বাণী। নবীজী (সা.) বলেছেন,‘স্বামীহারা নারী (বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত) কে তার সিদ্ধান্ত জানা ছাড়া (অর্থাৎ সিদ্ধান্ত তার কাছ থেকে চাওয়া হবে এবং তাকে পরিষ্কারভাবে বলতে হবে) বিয়ে দেয়া যাবে না এবং কুমারী মেয়েকে তার সম্মতি ছাড়া (কথার মাধ্যমে অথবা চুপ থাকার মাধ্যমে) বিয়ে দেয়া যাবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! কেমন করে তার সম্মতি জানবো (যেহেতু সে লজ্জা করবে)। তিনি বললেন, চুপ করে থাকাটাই তার সম্মতি।” [সহীহ বুখারী, (৪৭৪১)]

(৩) বিয়ের আকদ (চুক্তি) করানোর দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবককে পালন করতে হবে। যেহেতু আল্লাহ তা’য়ালা বিয়ে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশনা জারী করেছেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, “আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিবাহ দাও।” [সূরা নূর, ২৪:৩২]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:“যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল।” [হাদিসটি তিরমিযি (১০২১) ও অন্যান্য গ্রন্থকার কর্তৃক সংকলিত এবং হাদিসটি সহীহ]

(৪) বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। দলীল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,“অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।
বিয়ের প্রচারণা নিশ্চিত করতে হবে। এ সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,“তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।” [মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]

দয়া করে সকলে আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।।
কোন প্রকার ভুল থাকলে বলবেন তা সংশোধন করে নিব।।

দয়া করে সকল মুসলমান ভায়েরা ৫ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন।।।।

সূত্র::—বিডিনিউজ
আল্লাহ হাফেজ।।।

Exit mobile version