বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।।
আসসালামুআলাইকুম।।।।
আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলেই ভাল আছেন।।
আমরা অনেকে জানি/মানি চন্দ্র/সূর্য গ্রহণের ফলে খাবার খাওয়া যাবে না,গর্ভবতী মা দের কোন কিছু করা যাবে না,,
আসলে আমাদের ইসলাম কিন্তু তা বলেনা।।।
তো আসুন আমরা সঠিক জানি এবং মানি—-
গর্ভবতী মহিলাদের উপর চন্দ্র/সূর্য গ্রহণের প্রভাবকুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী সূর্য গ্রহন ও চন্দ্র গ্রহনের কোন প্রভাব গর্ভবতী মা এর উপর পড়ে না।
গর্ভবতী মা কোন কিছু কাটলে, ছিঁড়লে বাচ্চা ঠোঁট কাটা জন্মাবে, কোন কিছু ভাঙলে, বাঁকা করলে সন্তান বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম নেবে – এধরনের যত কথা প্রচলিত আছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা, যার সাথে কুরআন ও সুন্নাহর কোন সম্পর্ক নেই।
চন্দ্র, সূর্য বা অন্য কোন সৃষ্ট বস্তু অদৃশ্য ভাবেকারও উপকার বা ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে এধরনের বিশ্বাস রাখা তাওহীদের পরিপন্থী।যে আল্লাহ তা’য়ালা ও শেষ দিবসে বিশ্বাস রাখে তার মনে রাখা উচিত যে, আল্লাহর অসংখ্য নিদর্শনের মধ্যে চন্দ্র, সূর্যের গ্রহণও একেকটি নিদর্শন।
কেউ যদি চন্দ্র বা সূর্য গ্রহন দেখে, তার উচিত হবে রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাহ অনুযায়ী কাজ করা ও বেশি বেশি করে সে সময় আল্লাহকে স্মরণ করা। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “চন্দ্র এবং সূর্য এ দুটি আল্লাহর নিদর্শনের অন্যতম। কারও জন্ম বা মৃত্যুর কারণে এদের গ্রহণ হয় না। তাই তোমরা যখন প্রথম গ্রহণ দেখতে পাও, তখন আল্লাহকে স্মরণ কর।”[বুখারী ৪৮১৮; ইফা]
অন্য বর্ণনায় রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণ কারও জন্ম বা মৃত্যুর কারণে লাগেনা বরং এদুটো আল্লাহর নিদর্শন, যা দ্বারা আল্লাহ তাঁর বান্দাকে সতর্ক করেন। অতএব তোমরা যখন গ্রহণ লাগতে দেখ, আল্লাহর জিকিরে মশগুল হও যতক্ষণ তা আলোকিত না হয়ে যায়।” [সহীহ মুসলিম ১৯৭২; ইফা]
আমাদের উচিত যা কিছু কুরআন ও রাসুল (সাঃ) এর সহীহ হাদিসে রয়েছে সে সম্পর্কে জানা ও সে অনুযায়ী আমল করা। আল্লাহ যেন আমাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করেন এবং আমাদেরকে রাসুল (সাঃ) এর দেওয়া শিক্ষাকে দৃঢ় ভাবে আঁকড়ে থাকতে সাহায্য করেন।
পোষ্টে কোন ভুল-ত্রুটি থাকলে বলবেন সংশোধন করে নিব ইনশাআল্লাহ।।
আমার সাইটি ঘুরে আমার অনুরোধরইল ::-
আমার সাইট:Tricksjan.ml
দয়া করে সকল মুসলমান ভাইয়েরা ৫ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন।।।
আমিও যেন ৫ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারি, আমার জন্য দোয়া করবেন।।
আল্লাহ হাফেজ।।