সালামু আলাইকুম,
প্রিয় মুসলমান ভাই আসা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন।আমি মোঃমাহফুজুর রহমান প্রতিবারের মতো আজকেও একটা ইসলামিক পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।
আমি আমার প্রতি পোস্ট এ সব কিছু ভালো ভাবে বুজিয়ে দেওয়ার সবর্চ্চ চেষ্টা করি।”আর আমি Admin,Editor,Author,Contributor এবং সব Visitor দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি যে,আমি কনো বড় আলেম বা হুজুর এই রমক নয়।তবে সর্বদা ইসলামি জীবন বিধান মেনে চলার চেষ্টা করি এবং সকল ভালো জিনিস বা কথা সবার সামনে তুলে ধরার প্রচেষ্টায় থাকি।
আর হে আমি পোস্ট গুলা বিভিন্ন যায়গা থেকে সংগ্রহ করি তা সুন্দর ভাবে সাজিয়ে উপস্থাপন করি।এবং সবাইকে দেখার এবং পড়ার জন্য শেয়ার করি।
আজকের পোস্ট এর Title হলো:-
আয়াতুল কুরসি ও আয়াতুল কুরসির এর গুরুত এবং ফজিলত সমূহ।মুসলিম ভাই হলে অবশ্যই দেখা উচিত
বিস্তারিত পড়ুন এইবার:
اَللّٰہُ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَۚ اَلۡحَیُّ الۡقَیُّوۡمُ ۬ ۚ لَا تَاۡخُذُہٗ سِنَۃٌ وَّ لَا نَوۡمٌ ؕ لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ مَنۡ ذَا الَّذِیۡ یَشۡفَعُ عِنۡدَہٗۤ اِلَّا بِاِذۡنِہٖ ؕ یَعۡلَمُ مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ مَا خَلۡفَہُمۡ ۚ وَ لَا یُحِیۡطُوۡنَ بِشَیۡءٍ مِّنۡ عِلۡمِہٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ وَسِعَ کُرۡسِیُّہُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ ۚ وَ لَا یَـُٔوۡدُہٗ حِفۡظُہُمَا ۚ وَ ہُوَ الۡعَلِیُّ الۡعَظِیۡمُ ﴿۲۵۵﴾
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা-হু ওয়াল হাইয়ুল কাইয়ূমু লা-তা’খুযুহূ ছিনাতুওঁ ওয়ালা-নাওম লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূইল্লা-বিইযনিহী ইয়া‘লামু মা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ওয়ালা-ইউহীতূনা বিশাইইম মিন ‘ইলমিহী ইল্লা-বিমা-শাআ ওয়াছি‘আ কুরছিইয়ুহুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ালা-ইয়াঊদুহু হিফজু হুমা-ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ূল ‘আজীম।
আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সুপ্রতিষ্ঠিত ধারক। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না। তাঁর জন্যই আসমানসমূহে যা রয়েছে তা এবং যমীনে যা আছে তা। কে সে, যে তাঁর নিকট সুপারিশ করবে তাঁর অনুমতি ছাড়া? তিনি জানেন যা আছে তাদের সামনে এবং যা আছে তাদের পেছনে। আর তারা তাঁর জ্ঞানের সামান্য পরিমাণও আয়ত্ব করতে পারে না, তবে তিনি যা চান তা ছাড়া। তাঁর কুরসী আসমানসমূহ ও যমীন পরিব্যাপ্ত করে আছে এবং এ দুটোর সংরক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ, সুমহান। (সূরা আল-বাকারাহ:২৫৫)
ফজিলতঃ
১। আয়াতুল কুরসি পড়ে বাড়ি থেকে বের হলে ৭০,০০০
২। এটি পড়ে বাড়ি ঢুকলে বাড়িতে দারিদ্রতা প্রবেশ
করতে পারেনা।
৩। এটি পড়ে ঘুমালে সারারাত একজন ফেরেস্তা
তাকে পাহারা দেন।
৪। ফরজ নামাযের পর পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্য
একটি জিনিসেরই দূরত্ব থাকে; তা হলো মৃত্য। এবং
মৃত্য আযাব এতই হালকা হয়; যেন একটি পিপড়ার কামড়।
৫। ওজুর পর পড়লে আল্লাহর নিকট ৭০ গুন মর্যাদা বৃদ্ধি লাভ করে।(সহীহ হাদিস)
৬। জান্নাতের দরজা: আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল নুরে মুজাসসাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো কিছু বাধা হবে না। [নাসায়ী]
৭। হজরত আলী রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা.-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসী নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাত প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় হয়ে আছে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি বিছানায় শয়নের সময় পড়বে আল্লাহ তার ঘরে,প্রতিবেশির ঘরে এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন। [সুনানে বায়হাকী]
৮। মর্যাদাসম্পন্ন মহান আয়াত: আবু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ রা. রাসূল সা.-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল সা. ! আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন কোন আয়াতটি নাজিল হয়েছে? রাসূল সা. বলেছিলেন, আয়াতুল কুরসী। [নাসায়ী]
৯। উবাই বিন কাব থেকে বর্ণিত, রাসূল সা: উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমার কাছে কুরআন মজীদের কোন আয়াতটি সর্ব মহান? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুআল্ হাইয়্যূল কাইয়্যূম) তারপর রাসূলুল্লাহ্ নিজ হাত দ্বারা তার বক্ষে আঘাত করে বলেন: আবুল মুনযির! এই ইলমের কারণে তোমাকে ধন্যবাদ। [সহীহ মুসলিম]
১০। যে দোয়া পড়লে মৃত্যুর আযাব হবে পিপড়ার কামড়ের সমানঃ
একজন মুসলমানের জীবন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুন্দরভাবে অতিবাহিত করার জন্য অনেক দোয়া রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহ্ আত্নাকে বলেন, “বেরোও।” সে বলে, “না আমি স্বেচ্ছায় বেরোব না।” আল্লাহ বলেন, “অনিচ্ছায় হলেও, বেরোও।”
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- যখন মু’মিন-বিশ্বাসী বান্দার রূহ বেরোয় তখন ওর সাথে দু’জন ফেরেশতা দেখা (অর্থাৎ তা গ্রহণ) করে এবং তা নিয়ে দু’জনই ঊর্ধ্বে আরোহন করে। তারপর এর সুগন্ধির কথা উল্লেখ করা হয়। আসমানবাসিগণ বলে, “পৃথিবী থেকে একটি পবিত্র রূহের আগমন ঘটেছে। হে রূহ! তোমার প্রতি এবং যে দেহ তুমি আবাদ করছিলে, তার প্রতি আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক।” অনন্তর একজন ফেরেশতা তাকে নিয়ে তার প্রতিপালকের কাছে চলে যায়; তারপর তিনি বলেন, “তাকে শেষ সময়ের (অর্থাৎ কেয়ামত না হওয়া পর্যন্ত) জন্য নিয়ে যাও।”
পক্ষান্তরে কাফিরের আত্না যখন বেরোয়, তখন এর দুর্গন্ধ ও অপবিত্রতার কথা উল্লেখ করা হয়। আসমানবাসিগণ বলে, “পৃথিবী থেকে একটি অপবিত্র রূহের আগমণ ঘটেছে।” আর এর সম্বন্ধে বলা হয়-“শেষ সময় পর্যন্ত রাখবার জন্য তাকে নিয়ে যাও।”
হযরত আজরাঈল (আ) যখন জান কবজ করতে আসবেন, তখন মৃত্যু পূর্ব মুহুর্তে কষ্ট হবেই। তবে মহান আল্লাহ তায়ালার মমিন বান্দারা সেই কষ্টটা কম পেয়ে থাকেন। আল্লাহ পাক বলছেন, আল কোরআনে বর্ণিত ছোট্ট এই দোয়াটি পড়লে মৃত্যু আযাব হালকা হয়ে যাবে। দোয়াটিকে আমরা সবাই ‘আয়াতুল করসি’ বলেই জানি।
আপনার জন্য একটি শুখবর আছে!!
তা জানেন কি,কি??
এতো সময় নিয়ে যে এই পোস্ট টি পড়লেন তা হলো একটি ইসলামি পোস্ট।আপনি যে এতো সময় খরচ করে পড়লেন এর জন্য আপনার ছওয়াব লিখা হয়েছে।
এই রকম সুন্দর পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।
এবং আপনার পরিবার,বন্ধুবান্ধব এবং সকল এর কাছে বেশি বেশি শেয়ার করবেন।
আর আমার মতে পোস্ট এ কনো ভুল নেই।আর লিখায় ভুল হলে তা ক্ষমার চোঁখে দেখেবন(কারণ মানুষ মাত্রই ভুল।)
? বড় ভাই তখনই খারাপ লাগে যখন পোস্ট টি পড়ে না কমেন্ট করেই চলে যান।??
☕একটা হাদিস পড়ুনঃ
?আপনাদের সুবিধা এর জন্য কিছু Shortcut Word দিলাম ☺ সবাই এইভাবে কমেন্ট করতে পারেন।
?T=Thank
?N=Nice
?S=Super
?G=Good
?A=AwesomeOr Your Custom Comment ?
সৌজন্যেঃ My Channel [EBDT TECHNICAL]