আসসালামু আলাইকুম
এই পোষ্টি শুধু মাত্র যারা নতুন বা জানে না এমন ব্যক্তির জন্য করা হয়েছে। আর যারা জানেন তাদের কে বলছি আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে এখনি বের হয়ে যান। বাজে comment থেকে বিরত থাকুন।
শুরু করা যাকঃ-
সূরা ২৯ (আনকাবুত) আয়াত ৪১:”যাহারা আল্লাহর পরিবর্তে অপরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তাহাদিগের দৃষ্টান্ত মাকড়সা, সে নিজের জন্য ঘর বানায় এবং ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরই তো দুর্বলতম, যদি উহারা জানিত।”
মাকড়সার গ্রন্থি থেকে নির্গত এক প্রকার লালার সাহয্যে তারা ঘর বানায়। এ রেশমের মত সুতা খুবই মিহি ও হালকা। মাকড়সার জাল এতই দুর্বল ও ক্ষণভঙ্গুর যে মানুষের পক্ষে অমন কিছু প্রস্তুত করা আদৌ সম্ভব নয়। এ জালের বিস্ময়কর ও আওসাধারণ কারুকার্য দেখে প্রকৃতি বিজ্ঞানীগণ হতবাক হয়ে গেছেন। উল্লেখযোগ্য যে, মাকড়সার স্নায়ুবিক কোষের অবস্থান বৈচিত্রের কারণেই জ্যামিতিক ভাবে নিখুত অমন বুননকার্য হয়ে থাকে।
মাকড়সা সম্পর্কে যে তথ্যগুলো আপনি জানেন না
মাকড়সা এই গ্রহের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর একটি প্রাণী। একজন মোটাসোটা মানুষও মাকড়সা দেখে স্কুল গার্ল এর মতোই চিৎকার করে ও লাফ দিয়ে চেয়ারের উপর উঠে যায়। কিন্তু এরা আসলেই অদ্ভুত চিত্তাকর্ষক প্রাণী। আপনি কি জানেন পিতা মাকড়সা খুব হিংস্র হয়ে উঠে অন্য মাকড়সাদের উপর? অথবা মাকড়সা কখনো ভিজে যায় না! মাকড়সা সম্পর্কে এরকমই আরো কিছু তথ্য জেনে নেই চলুন।
১। মাকড়সা প্রতিবছর যুক্তরাজ্যের জনগোষ্ঠীর সমতুল্যঅর্থাৎ সাড়ে ছয় কোটির ও বেশি মাছি ও অন্যান্য পতঙ্গ ভক্ষণ করে থাকে।
২। মাকড়সাকে কেন বাথরুমে পাওয়া যায়? কারণ তারা পান করতে চায়। আমাদের ঘরের পরিবেশ শুষ্ক তাই তারা তৃষ্ণা মেটাতে বাথরুমে থাকে।
৩। ফলস উইডো মাকড়সার কামড় ততোটা খারাপ হয়না। মাকড়সা বিশেষজ্ঞ টিম ককরিল এর মতে, ফলস উইডো মাকড়সার কামড় মৌমাছির হুল ফোটানোর চেয়ে কম মারাত্মক।
৪। মাকড়সার পাকস্থলী শুধুমাত্র তরল খাদ্যই গ্রহণ করতে পারে।তাই তারা খাওয়ার আগে খাদ্যকে দ্রবীভূত করে নেয়। তারা কামড় দিয়ে শিকার ধরে এবং শিকারের পাকস্থলীর রস স্যুপের মত গ্রহণ করে অথবা লালা ও মুখের উপাঙ্গের দ্বারা শিকারকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে তারপর গলাধঃকরন করে।
৫। মাকড়সার দেহ পানিরোধক চুল দ্বারা আবৃত। তাই এর শরীরের চারপাশেই পাতলা জালের ন্যায় বায়ুর আবরণ থাকে। তাই তারা ভিজতে পারেনা। অর্থাৎ তারা সবসময়ই ভাসছে এবং কেউ কেউ পানির নীচে ঘন্টার পর ঘন্টা বেঁচে থাকতে পারে। এজন্যই তারা ড্রেইনের ভেতর দিয়ে উপরে উঠে আসতে পারে।
৬। কিন্তু সাবান বা অন্য কোন উপাদান দিয়ে যখন জল নিষ্কাশনের পথ পরিষ্কার করা হয় তখন মাকড়সার বাতাস আটকে রাখার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে তারা তখন ডুবে মারা যায়।
৭। পৃথিবীতে ৪০,০০০ প্রজাতির মাকড়সা আছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা খুব কম প্রজাতিই শনাক্ত করতে পেরেছেন।
৮। ব্ল্যাক উইডো মাকড়সাদের মধ্যে স্ত্রী মাকড়সা সঙ্গমের পর পুরুষ মাকড়সাকে খেয়ে ফেলে। যদি স্ত্রী মাকড়সাটি ক্ষুধার্ত না থাকে তাহলে সে হয়তো পুরুষ মাকড়সাটিকে খায়না। কখনো কখনো পুরুষ মাকড়সা নিজেই স্ত্রী মাকড়সার মুখে নিজেকে সমর্পণ করে দেয় তাকে খেয়ে ফেলার জন্য।
৯। বেশিরভাগ মাকড়সারই ৬-৮ টি চোখ থাকে।
১০। মাকড়সার জাল শক্তিশালী প্রোটিন এর সুতা দ্বারা নির্মিত। এই জালের প্রসারণ ক্ষমতা আছে এবং প্রচুর চাপ বহন করতে পারে। এই জাল হাড়ের চেয়ে বেশি এবং ষ্টীলের অর্ধেক পরিমাণ শক্তিশালী।
১১। ৩১৮ মিলিয়ন বছর পূর্বে কার্বনিফেরাস শিলায় মাকড়সার জীবাশ্ম পাওয়া গেছে।
১২। সবচেয়ে বিষাক্ত মাকড়সা ব্ল্যাক উইডো উত্তর আমেরিকায় পাওয়া যায়।
১৩। কিছু মাকড়সার পা ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
১৪। সবচেয়ে বড় মাকড়সার ওজন ১৭০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে যা একটি কুকুর ছানার ওজনের সমান।
১৫। অস্ট্রেলিয়ান ফানেল-ওয়েব স্পাইডার এর বিষে আক্রান্ত হলে একজন মানুষ এক ঘন্টার কম সময়ের মধ্যে মারা যেতে পারেন।জুতার উপর দিয়েও এটি কামড় দিতে পারে।
১৬। বেশিরভাগ মানুষ মাকড়সা ভয় পায়। এই ভয়ের মাত্রা যখন বৃদ্ধি পায় তখন মাকড়সার আকৃতির কিছু দেখলে এমনকি মাকড়সার ছবি দেখলেও সে ভয় পায়। তখন এই সমস্যাটিকে আর্কনোফোবিয়া বলে।
এখান থেকে আমরা একটা শিক্ষা পাই আর তাহলো আমাদের বর্তমান সময়ের সংসারের অবস্তা।
কিভাবে?? আপনার মনে প্রশ্ন জেগেছে তাই না?
যদি আপনি ভালো করে খিয়াল করেন তাহলে দেখতে পারবেন যে, বর্তমানে মানুষের সংসারে যা কিছু হচ্ছে তা ঐ মাকড়সার দিকে তাকালে সব বুঝা যায়। আমি ৮ নং এ একটা তথ্য দিয়েছি লক্ষ করুন। মাকড়সাদের মধ্যে স্ত্রী মাকড়সা সঙ্গমের পর পুরুষ মাকড়সাকে খেয়ে ফেলে। যদি স্ত্রী মাকড়সাটি ক্ষুধার্ত না থাকে তাহলে সে হয়তো পুরুষ মাকড়সাটিকে খায়না। কখনো কখনো পুরুষ মাকড়সা নিজেই স্ত্রী মাকড়সার মুখে নিজেকে সমর্পণ করে দেয় তাকে খেয়ে ফেলার জন্য। এখানেই থেমে যায় নি, এরপর স্ত্রী মাকড়সা টি যখন মা হয় তখন তার সন্তান তার মা কে খেয়ে ফেলে। এভাবেই তাদের জীবন চলছে। ঠিক একই ভাবে আজকের এই যুগে তাই হচ্ছে। সংসারে নাই কোনো শান্তি। স্বামী তার স্ত্রী, স্ত্রী তার স্বামী কে ধোকা, নয় তো, হত্যা করছে। সন্তান তার মা কে বা মা তার সন্তান কে কষ্ট দিচ্ছে, স্বার্থের জন্য মেরে ফেলছে, নয় তো, কথাও ফেলে দিচ্ছে। এভাবে আজ সংসারে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আল্লাহ আমাদের কে এসব থেকে হেফাজত রাখুন আমিন।।
বিঃদ্রঃ- ভিন্ন জাইগা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। নিজের ভাষাই কিছু তুলে ধরা হয়েছে। আরো ভালো করে লিখতে ইচ্ছা করছিলো কিন্তু সময় কম। তাছাড়া এখন রাত ০৩:৩৯ বাজে এবং লেখা শেষ করলাম। ভুল হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।
তো আজ এ পর্যত। বেছে থাকলে পরের পোষ্টে আবারো দেখা হবে।
আর ততক্ষন আপনারা ভাল থাকুন, ভাল রাখুন, সুস্থ থাকুন Trickbd_র পাশেই থাকুন ।
পোষ্টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।