Site icon Trickbd.com

যে কারনে যোহরে এবং আসরের নামাজে কিরাত আস্তে পড়তে হয়।

Unnamed

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যোহর ও আসর নামাযে আস্তে কিরাত পড়তেন শুধু এ কারণেই তার উম্মতীরাও যোহর ও আসর নামাযে আস্তে কিরাত পড়েন।

এছাড়া এর কোন কারণ কুরআন বা হাদীসে পরিস্কারভাবে বর্ণিত হয়নি।

কিন্তু কুরআনে যেহেতু নবীজীকে উম্মতের জন্য আইডল বানানো হয়েছে। তার নিরঙ্কুশ অনুসরণ করার আদেশ এসেছে। এ কারণে নবীজীর অনুসরণে, সহীহ হাদীসের ভিত্তিতে আমরা জোহর ও আসরের নামাযে আস্তে কিরাত পড়ে থাকি।

এটাই মূল বিষয়।

عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، قَالَ: سَأَلْنَا خَبَّابًا أَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ وَالعَصْرِ؟ قَالَ: نَعَمْ، قُلْنَا: بِأَيِّ شَيْءٍ كُنْتُمْ تَعْرِفُونَ؟ قَالَ: «بِاضْطِرَابِ لِحْيَتِهِ»

হযরত আবু মামার রহ. হযরত খাব্বাব রা. কে জিজ্ঞাসা করলেন, রাসুল সাঃ যোহর ও আসরে কিরাত পড়তেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ পড়তেন। আবু মামার পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কিভাবে বুঝা যেত? তিনি উত্তরে বলেন, রাসুল সাঃ এর দাড়ি নড়াচড়া দেখে বুঝা যেত। {বুখারি, হাদিস নং-৭৬০}

তবে কেউ কেউ হেকমত বলেছেন। যেমন-

একটি হিকমত এই ছিল যে, দিনের বেলা জোরে কিরাত পড়লে আরবের মুশরিকরা কিরাতকে ঠাট্টা করে জোরে জোরে আওয়াজ করে ডিষ্টার্ব করতো। যা রাতের বেলা হতো না। তাই দিনে আস্তে কিরাতের বিধান এসেছে আর রাতে জোড়ের।

বাকি এটি কেবলি একটি হিকমত। মূলত আল্লাহর নবী এভাবে নামায পড়েছেন, তাই আমরা এভাবে নামায পড়ি।

আরো একটি হিকমত বলা হয়ে থাকে, দিনের বেলা সূর্যের তীব্র প্রখরতার মাধ্যমে আল্লাহর জালালিয়্যাতের প্রকাশ করে থাকে। আর জালালিয়্যাত প্রকাশিত হলে মানুষ চুপ হয়ে যায়, তাই ইমামও আস্তে কিরাত পড়ে।

আর রাতে বেলা চাঁদের স্নিগ্ধতার মাধ্যমে আল্লাহর জামালিয়্যাত এর জানান দেয়, আর জামালিয়্যাত সত্তার সামনে সবাই কথা বলে উঠে। তেমনি রাতের বেলার মুসল্লি জোরে কিরাত পড়ে থাকে।

Exit mobile version