ব্যবসায়িক মুনাফা ও সুদ।
ব্যাবসায়িক মুনাফা এবং সুদের মাঝে সম্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। এ পার্থক্যটা বুঝতে হবে। অনেক মানুষ আছে এ পার্থক্যটা না বুঝেই বলতে থাকে,
ব্যাবসায়িক মুনাফা আর সুদ এক
সমান। উভয়টাকে হালাল মনে করে। যেমনটা কুরআনুল কারীমের তথ্য অনুযায়ী নবীজীর যুগের কাফেররাও বলত।
পার্থক্য না বুঝাটা পার্থক্য না থাকার উপর দলিল নয়; বরং এ পার্থক্য বুঝার জন্যে আহলে ইলমগণের শরণাপন্ন হতে হবে। ব্যবসায়িক মুনাফা, যেটা আছে, সেটা হালাল।
চাই সেই মুনাফা কম হোক কিংবা
বেশী। অবশ্য ইসলাম কোন পণ্যের
উপর অতিরিক্ত মুনাফা সমর্থন করে না। ফিকহি পরিভাষায় যেটাকে গবনে ফাহেশ (মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা বলা হয়। ফিকহে ইসলামির দৃষ্টিতে
এই গবনে ফাহেশ মাকরুহে
তাহরিমী।
যেমন ধরুণ, কোন ব্যক্তি দশ গজ
কাপড় বিক্রি করল, পাঁচশত টাকার বিনিময়ে। এখন চাইলে ঐ ব্যক্তি উক্ত দশ গজ কাপড় সাতশত টাকা দিয়েও বিক্রি করতে পারবে। তাতে কোন সমস্যা হবে না। এটা হবে ব্যবসায়িক মুনফা। কারণ পাঁচশত টাকাটা যেভাবে পরিপূর্ণ দশ গজ কাপড়ের বিপরীতে আসে, ঠিক সাতশত টাকাটাও দশ গজ কাপড়ের
সাতশত টাকাটাও দশ গজ কাপড়ের বিপরীতে আসে। পার্থক্য হচ্ছে পাঁচশতে মুনাফা কম, সাতশতে মুনাফা বেশী ।
কোন ব্যক্তি যদি কাউকে দশটাকা ঋণ দেয় আর বিনিময়ে পরবর্তিতে তার কাছ থেকে বারো টাকা নেয়, তাহলে এটা সুদ হবে। কেননা দশ টাকাটা তার ঋণের বিপরীতে আসবে। কিন্তু অতিরিক্ত দুই টাকা কোন বিনিময় ছাড়া তার কাছে মুনাফা হিসেবে আসছে। কাজেই এই অতিরিক্ত দুই টাকা সুদ।
এটা হারাম। সুদের পরিমান বেশ
কম হলে তার হকুমের উপর কোন
প্রভাব পড়ে না; এক টাকার সুদের
যে হকুম, একশ টাকার সুদেরও একই হকুম।
(ইসলামি মাইশাত কে বুনয়াদি
উসল : ১৮৪)
এই টিউন টা যদি আপনার ভাল লাগে, তাহলে আপনার মূল্যবান মন্তব্য করতে ভুলবেন না। আর একটা কথা,ভাল না লাগলে এরিয়ে যান। কমেন্ট এরিয়া দূষিত করার দরকার নাই।
সৌজন্যেঃ [link=https://updateprime.blogspot.com]Updateprime[link/]
- যে কোন প্রয়োজনেঃ
- Facebook: K M Faruk islam
মাদক কে
না বলি,
মাদক মুক্ত
সমাজ গড়ি।