Site icon Trickbd.com

দুনিয়াতে কোন কোন আমল করে গেলে কোন কোন জান্নাত লাভ করবো

Unnamed

আলহামদুলিল্লাহীর রব্বিল আলামিন
সমস্ত তারিফ ও প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যিনি আমাদের আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন।
দিয়েছেন অসংখ্য নাজ নেয়ামত।

আর সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হলো আল্লাহর ইবাদত করা।
আল্লাহর ইবাদত নানা ভাবে করা যায়।
আর তার বিনিময়ে আল্লাহ আমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন জান্নাত ও জাহান্নাম।
যে দুনিয়াতে ভালো কাজ করবে খুসুখুজো সহিহ ভাবে সালাত আদায় করবে এবং আল্লাহর হুকুম আহকাম মেনে চলবে তাকে আল্লাহ পুরস্কার হিসেবে জান্নাত দান করবেন।
আর কোন আমল করলে কোন জান্নাত পাওয়া যাবে আজ তা আলোচনা করবো।
আর আল্লাহ যাকে খুশি তাকে জান্নাত দান করতে পারেন হোক তা ছোট বা বড় আমল।

এখন জানব জান্নাত কয়টি ও কি কি?

আল্লাহ ৮টি জান্নাত সৃষ্টি করেছেন। যথা:
১)জান্নাতুল ফিরদাউস,
২) জান্নাতুল নাঈম,
৩)দারুস সালাম,
৪)দারুল খুল,
৫)জান্নাতুল আলিয়া,
৬)জান্নাতুল আদান,
৭)জান্নাতুল মাওয়া,
৮)দারুল কারার।

★এই মোট ৮টি জান্নাত পাওয়া যাবে কোন কোন আমলে কুরআন তা বলে দিয়েছে।★

৮টি জান্নাতের এক নাম্বার জান্নাত হল-জান্নাতুল ফিরদাউস,
আমরা সবাই ১নাম্বার জান্নাত জান্নাতুল ফিরদাউস চাই।

১নাম্বার জান্নাত যদি পেতে চাই,তাহলে কাজ ও করতে হবে ১নাম্বার,
★১নাম্বার জান্নাত আল্লাহ পাক কোন বান্দাকে দিবেন,কোন আমল করলে তা
সুরা কাহাফ,১০৭ নাম্বার আয়াতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলছেন-

জান্নাতুল ফিরদাউস তাকে দেওয়া হবে, যে বান্দা ঈমান আনবে,আর আমলে সলেহ করবে,নেক আমলল গুলো করবে,আমি আল্লাহ তাকে ১নাম্বার জান্নাত জান্নাতুল ফিরদাঊস দিয়ে দেব।
(সুবহান আল্লাহ)

২)জান্নাতুল নাঈম, কারা পাবে?
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুন্দর করে *সুরা অয়াকিয়া ৮,৯,১০,১১,১২,নাম্বার আয়াতে বলেন,


জান্নাতুল নাঈম তারাই পাবে যারা দুনিয়ার বুকে ডানপন্থির পরিচয় দিয়েছে,ডানপন্থি যারা,অগ্রবর্তীগন যারা,ডান দল যারা করেছে,ডানপন্থির পথে যারা চলেছে,এই সমস্ত বান্দার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জান্নাতুল নাঈমের দরজা খুলে রেখেছেন।
(সুবহান আল্লাহ)

৩) দারুস সালাম, কার জন্য,….-সুরা আন’আম এর ১২৭ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন

-যারা এই দুনিয়ার জিন্দেগীতে হাজারো পথ তার সামনে খুলে রাখার পর ও যে বান্দা সিরাতুল মুস্তাকীন কে ধরেছে,সিরাতুল মুস্তাকিন এর পথে যে বান্দা অটল থেকেছে,-আমি আল্লাহ তার জন্য দারুস সালাম নামক জান্নাত খুলে দেব।
(সুবহান আল্লাহ)

৪)জান্নাতুল খুল, কার জন্য,
সুরা ফুরকান,১৫নাম্বার আয়াতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন,

– সেই বান্দার জন্য আমি জান্নাতুল খুল বরাদ্দ রেখেছি,যে বান্দা দুনিয়ার জিন্দেগীতে আমি আল্লাহ আমাকে সবথেকে বেশি ভয় করেছে,যারা নাকি মুত্তাকি।
(সুবহান আল্লাহ)

৫)জান্নাতুল আলিয়া,কারা পাবে…?
সুরা গাসিয়ার ভিতরে

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলছেন – যে বান্দা দুনিয়ার জিন্দেগীতে ভাল কাজ করবে আমি আল্লাহ তার জন্য জান্নাতুল আলিয়া রেখে দিয়েছি।

৬)জান্নাতুল আদান,
আল্লাহ পাক বলেন, ও বান্দারা আমি জান্নাতুল আদান তাকেই দেব, সুরা সফ, আয়াত নাম্বার ১২ তে আল্লাহ বলেন-তোমরা যদি আল্লাহ পথে জিহাদ করতে পারো,জিহাদে তোমরা যদি বিজয়ী হও,অথবা পরাজিত হয়ে যাও আমি তোমাদের কে এমন টা জান্নাত দেব,যেই জান্নাতের নাম হবে জান্নাতুল আদান,আর সেই জান্নাতের তলদেশ দিয়ে নদীর ঝরনা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রবাহিত করবেন।

★জান্নাতের মধ্যে ৪টা নহর থাকবে, ১)মধুর নহর থাকবে,২)দুধের নহর,
৩)সরাবের নহর,
৪)সচ্ছ পানীর নহর থাকবে, (সুবহান আল্লাহ,)[/h3]

৭)জান্নাতুল মাওয়া, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, যার দিলের ভিতরে আল্লাহ ভয় থেকে যাবে,আর প্রবিত্তির অনুসরন থেকে যে বান্দা নিজেকে পরহেজ রাখবে,যে বান্দা নাফসের দাসত্ব না করে , আল্লাহর দাসত্বে নিজেকে যে নিয়জিত করে,সেই বান্দার জন্য মহান রাব্বুল আলামিন জান্নাতুল মাওয়া বরাদ্দ রেখেছেন, (সুবহান আল্লাহ)

৮)দারুল কারার কাদের জন্য : যারা মুমিন, যারা আমলে সলেহ করবে,তাদের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দারুল কারার রেখেছেন,
সুবহান আল্লাহ, সুবহান আল্লাহ,

আল্লাহ তুমি আমাদের সকল কে জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান বানিয়ে নিও,
আমিন, আমিন।

খোদা হাফেজ।