Site icon Trickbd.com

যানবাহনে নামাযের পদ্ধতি

নামায, যানবাহনে, মুসলিম

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা. সলাতুল খওফ বা ভীতিকর অবস্থার নামাযের বিষয়ে বলেন, যদি ভয় প্রচুর আকারে দেখা দেয় তাহলে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে অথবা যানবাহনে আরোহন করে কিবলামুখী হয়ে বা না হয়ে (সম্ভবমতো) নামায আদায় করবে। (বুখারী: ৪১৭৯) শাব্দিক কিছু তারতম্যসহ এ হাদীসটি মুসলিম, তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবনে মাযা শরীফেও বর্ণিত হয়েছে।

ফায়দা: বুখারী শরীফের এ হাদীসটি সলাতুল খওফ বা ভীতিকর অবস্থার নামাযের ব্যাপারে বর্ণিত। তবুও এ থেকে কিছু দিকনির্দেশনা মিলবে। কেননা শত্রুর ভয় না হলেও গন্তব্যে পৌঁছতে না পারার আশঙ্কা, গাড়ী ছেড়ে দিলে পথে বিপদে পড়ার ভয় সবই এর সাথে যুক্ত আছে। অতএব, ভীতিকর অবস্থার নামায থেকে দলীল গ্রহণ করা যেতে পারে। যানবাহনের নামায আদায়ের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় হলো: যানবাহনে যদি ভিতরে থেকে দাঁড়িয়ে কিবলামুখী হয়ে যথানিয়মে নামায পড়ার কোন সুযোগ থাকে, তাহলে ভিতরে থেকে যথানিয়মে নামায আদায় করবে। আর যদি যানবাহনে ভিতরে থেকে দাঁড়িয়ে কিবলামুখী হয়ে যথানিয়মে নামায পড়ার কোন সুযোগ না থাকে, তাহলে প্রথমে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে যানবাহন থেকে নেমে যথানিয়মে নামায আদায় করতে। একান্ত নামার কোন সুযোগ না থাকলে বা নামলে গাড়ী চলে যাবে; তখন গন্তব্যে পৌঁছতে বেগ পেতে হবে- এ ধরনের সমস্যা হলে সে ক্ষেত্রে গড়ির ভিতরে যেভাবে সম্ভব নামায পড়ে নিবে। এরপর গাড়ি থেকে নামার পরে সতর্কতামূলক উক্ত নামায আবার আদায় করে নিবে।

সৌজন্য : TechBlogBD.Net

 

Exit mobile version