আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমরা অনেকেই মনে করি ইসলাম কখনোই বিজ্ঞানকে সমর্থন করে না। আসলে কথাটা পুরোপুরি সঠিক নয়, অবশ্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইসলামের সাথে বিজ্ঞান একমত হয় না। আমরা সেটার কথা বলবো না। আজ বলবো কিছু বিজ্ঞানী ও নাস্তিকদের তৈরী ভিত্তিহীন যুক্তির কথা যা তারা সম্পূর্ণ না বুঝেই বলে থাকে। চলুন মূল প্রসঙ্গে যাই।
মহান আল্লাহ তায়ালা আল-কুরআনের সূরা কাফের ৩৮ নম্বর আয়াতে বলেন,
وَلَقَدْ خَلَقْنَا السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ وَمَا مَسَّنَا مِنْ لُغُوبٍ
এর প্রকৃত অর্থ হচ্ছে, “আমি মহাবিশ্বের সবকিছু সময়ের ছয় স্তরে সৃষ্টি করেছি এবং ক্লান্তি আমাকে কখনো স্পর্শ করতে পারে না।”
এই একই কথা সূরা ফোরকানের ৫৯ নম্বর আয়াতেও উল্লেখিত হয়েছে।
এখানে আরবিতে লেখা “আয়্যাম” শব্দটি সাধারণ অর্থে দিন বোঝাতেই ব্যাবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু এর দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে সময় বা কাল। আর এটাকেই ভুল বুঝে নাস্তিকেরা কুরআনের ভুল ধরে বেড়ায়। যেহেতু, Bigbang তত্ত্ব থেকে জানা যায়, Bigbang সংঘটিত হওয়ার প্রায় ৯ বিলিয়ন বছর পর পৃথিবী সৃষ্টি হয়। এটা হতেই পারে যে মহান আল্লাহ তায়ালা ৯ বিলিয়ন বছরের মধ্যে সময়ের ছয় ধাপে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু অনেকে না জেনে-বুঝেই এটা নিয়ে তর্ক করে। আমাদের উচিত তাদেরকে এটা বুঝিয়ে বলা অথবা তাদের থেকে দূরে থাকা। আসল কথা হচ্ছে, মহান আল্লাহ তায়ালা ৬ দিনেই পৃথিবী সৃষ্টি করুন, আর ছয় বিলিয়ন বছরেই করুন, মুসলিমদের সবসময়ই তা বিশ্বাস করা উচিত। কারণ এই বিষয়ে আল্লাহ ছাড়া কেউই ভালো জানে না। আর পৃথিবীর বুকে এমন কোনো বিজ্ঞানী নেই যে স্পষ্টভাবে বলতে পারবে যে পৃথিবী Bigbang-এর কত বছর পর সৃষ্টি হয়েছে। কারণ সেসময় দুনিয়ার বুকে কোনো প্রাণ ছিলো না। এই বিষয়ে অনুমানের অনুসরণ ব্যতীত কারোরই কিছু করার নেই। আশা করি আমি আপনাদেরকে বিষয়টা ভালো করে বোঝাতে পেরেছি।
আজ থেকে আল্লাহর রহমতে এক নতুন ধারাবাহিক Post শুরু করলাম। এর শেষ পর্ব কত হবে তা মহান আল্লাহ ছাড়া কেউই জানেন না। আমি ইংশাআল্লাহ আপনাদেরকে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটা Post উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো। ওয়ামা তাওফিকি ইল্লা বিল্লাহ। সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো থাকবেন ইংশাআল্লাহ। আসসালামু আলাইকুম।