Site icon Trickbd.com

বিসমিল্লাহ এর ফজিলত – ১৯ বার বিসমিল্লাহ পড়লে যা হয়! বিস্তারিত পোস্টে।

Unnamed

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ

ট্রিকবিডির প্রিয় ভাই ও বোনেরা আশা করছি আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভাল আছি এবং সুস্থ আছি।

আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব বিসমিল্লাহর ফজিলত সম্পর্কে এবং ১৯ বার পাঠ করলে কি হয় সে বিষয়ে আপনাদের সাথে আজকে আলোচনা করবো, সাথে আছি আমি মেহেদী হাসান চলুন শুরু করা যাক।

রোম সম্রাট একবার খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এর কাছে  তার মাথা ব্যথার কথা জানিয়ে প্রতিকারের জন্য আবেদন জানিয়েছিল। তখন হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তাকে একটি টুপি দান করেছিলেন এবং এটাকে পড়তে বলেছিলেন।

যতক্ষণ এই টুপিটা মাথায় থাকতো ততক্ষণ তার মাথা ব্যথা হতো না। কিন্তু যখনই সে মাথা থেকে টুপিটা সরাতো তখনই তার প্রচন্ড ভাবে আগের মত মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যেত। এই ঘটনাটিকে দেখে তখন সবাই খুবই বিস্মিত হয়েছিল।

অবশেষে সেই ব্যক্তি টুপি খুলে অনুসন্ধান করতে গিয়ে টুপির ভিতরে শুধুমাত্র একটি শব্দ লিপিবদ্ধ রয়েছে এটা দেখল!!!

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করে বলেছেন যে, হে আবু হুরায়রা! তুমি যখন অযু করো তখন এই একটি শব্দ বারবার বলবে। তাহলে ফেরেশতাগণ তোমার অজু শেষ না হওয়া পর্যন্ত তোমার আমলনামায় আমল লিখতে থাকবে।

তুমি যখন স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করবে তখন তুমি এই শব্দটি বারবার বলতে থাকবে এতে তুমি যতক্ষণ পর্যন্ত গোসল না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ফেরেশতাগণ তোমার আমলনামায় আমল লিখতে থাকবে।

যদি সেই সহবাসে তোমার কোন সন্তান লাভ হয় সেই সন্তানের নিঃশ্বাস এবং সেই সন্তান হতে যে বংশধারা সৃষ্টি হবে সেই সকল বংশের মানুষের সারা জীবনে যত নিঃশ্বাস নিবে সেই পরিমাণ সোয়াব তোমার আমলনামায়  যুক্ত হবে।

তিনি আরো বলেন, “হে আবু হুরায়রা! তুমি যখন কোন পশুর পিঠে চলবে তখন এই শব্দ পড়তে থাকবে তাহলে ওই পশুর প্রত্যেকটা কদমের পুণ্য তোমার আমলনামা যুক্ত হবে।”

তো যে শব্দটি পাঠ করলে এতসব আমল অর্জন করা সম্ভব, সুবিধা পাওয়া সম্ভব সেই শব্দটি হচ্ছে: বিসমিল্লাহ শরীফ।

বিসমিল্লাহ তে আল্লাহতালা যে কি পরিমান ফজিলত রেখেছে তা হয়তো আমরা কল্পনাও করতে পারবোনা ।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে ব্যক্তি দোজখ রক্ষী ১৯ জন ফেরেস্তার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চায় তার অবশ্যই উচিত সংখ্যক বার বিসমিল্লাহ পাঠ করা। কারণ বিসমিল্লাহি রয়েছে মোট ১৯ টি বর্ণ এক একটি বর্ণ পাঠ করার ফলে ওই ব্যক্তি একেকটা ফেরেশতার আজাব হতে মুক্তি পাবে।

তো বন্ধুরা আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন বিসমিল্লাহ এর মধ্যে কি পরিমান ফজিলত লুকিয়ে রয়েছে যদি আমরা আখিরাতের পর জান্নাত পেতে চাই জাহান্নামের শাস্তি হতে নিজেকে রক্ষা করতে চাই তাহলে আমাদের অবশ্যই উচিত বেশি বেশি করে বিসমিল্লাহ পাঠ করা।

আশা করছি পোস্টটি ভাল লেগেছে। ভাল লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন যাতে এই পোস্ট পড়ে আপনি যেমন উপকৃত হয়েছেন তারা যেন উপকৃত হতে পারে।


ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে আপনাদের মাঝে এরকম আরো দোয়া নিয়ে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন খোদা হাফেজ।
Exit mobile version