আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা আশা করছি আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন ।আ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো এবং সুস্থ আছি আলহামদুলিল্লাহ।
রমজান মাস আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এটা হয়তো আপনাদের আর বলার দরকার নেই। প্রত্যেকটা মুসলমানই জানে রমজান মাস কত ফজিলত পূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সকল মুসলমানদের জন্য এই মাস হচ্ছে আল্লাহতালার অধিক থেকে অধিকতর নৈকট্য লাভ করার মাস। যে কোন আমল কবুল হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে সেটি শরীয়তের নির্দেশনা মোতাবেক সম্পন্ন হওয়া, মনগড়া মত কোন আমল করলে সেটা যত বড়ই হোক না কেন আল্লাহর কাছে তা গ্রহণযোগ্য হয় না।
পবিত্র রমজানও এর ব্যতিক্রম নয়। আমরা সকলেই জানি রমজান মাস শুরু হতে আর বেশি দেরি নেই খুব তাড়াতাড়ি ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে ঘোষণা দিয়ে দেওয়া হবে কবে থেকে রোজা শুরু হবে।
চলুন একটি হাদিস জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়ে।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রমজানের চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোজা রাখবে না এবং শাওয়ালের চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোজা বন্ধ করবে না। সহিহ মুসলিম ১/৩৪৭.
তেমনি অন্য আরেকটি হাদীসে এসেছে সাবানের 29 দিন পূর্ণ করার পর তোমরা যদি রমজানের চাঁদ না দেখো তাহলে শাবান মাস 30 দিন পূর্ণ করবে – মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস ৭৩০১।
অনেকে আছে যারা রোজা কবে থেকে শুরু হবে এটা জ্যোতিষীদের ওপর নির্ভর করে থাকি জ্যোতিষীরা বলে সেই মোতাবেক গ্রহণ করে রোজা পালন করা শুরু করি। কিন্তু এটা ইসলাম শরীয়তে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। হাদিস হতে স্পষ্টভাবে বোঝা গেল চাঁদ দেখা না গেলে কোনোভাবেই রমজান শুরু হবে না তাই সবার আগে নিজ চোখে চাঁদ দেখে নিতে হবে। তাছাড়া আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে রোজা শুরু হওয়ার জন্য এমন একজন ব্যক্তির চাঁদ দেখায় যথেষ্ট হবে চার দিলদার হওয়া প্রমাণিত কিংবা আন্তরিকভাবে দিলদার।
এ বিষয়ে আরেকটি হাদীসে বলা হয়েছে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন একজন মরুবাসী ব্যক্তি হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট রমজানের চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন তুমি কি এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া যায় আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল?
সে বলল, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন সকলকে রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন – মুস্তাদরাক হাকেম ১/ ৪২৪
আশা করছি এই হাদিসগুলো দেখে বুঝতে পারলেন যে আপনি যদি স্বচক্ষে চাঁদ না দেখেন তাহলে কখনো রোজা রাখবেন না। আগে চাঁদ দেখবেন তারপরে সিউর হয়ে রোজা রাখবেন তাছাড়া কোনো কারণে যদি আপনার এলাকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে তাহলে দেশের উন্নত প্রযুক্তি তারা যারা চাঁদ দেখে তাদের তারা টিভিতে যখন প্রকাশ করা হবে যে চাঁদ দেখা গেছে সেটা দেখে নিশ্চিন্ত হয়ে আপনি রোজা রাখবেন। তার আগে কখনোই রোজা রাখবেন না কোন জ্যোতিষীর কথা বা অন্য কারো কথায় সরাসরি অন্ধ বিশ্বাস করে রোজা শুরু করে দেওয়া একেবারে ঠিক নয়।
তাই সবাইকে অনুরোধ রমজানের শুরুতেই এমন ভুল না করার। আপাতত দৃষ্টিতে মাহে রমজান 25 এপ্রিল অর্থাৎ শনিবার ভোরে আমাদেরকে ভাত খেতে হবে আর যদি তার আগে চাঁদ দেখা যায় তাহলে 24 তারিখ থেকে রোজা শুরু হয়ে যাবে। তাই আমরা হান্ডেট পার্সেন্ট গ্যারান্টি দিয়ে এটা বলতে পারি না 25 তারিখ এই রমজান শুরু কিন্তু আশা করা যায় চাঁদের বয়স হিসেবে 25 তারিখ এই হবে ইনশাল্লাহ । কারণ আমরা ঊনত্রিশে শাবানের চাঁদ দেখতে পারবো ইনশাল্লাহ। আল্লাহ আমাদের একমাস রোজা রাখার তৌফিক দান করুক। আল্লাহতালা আমাদের রোজা রাখার জন্য মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি দান করুক আমিন।