ঈদুল আজহার পরিচয় :
ঈদুল আজহার বাংলা অর্থ করলে বলিদানের উৎসব হলেও দেশ ও জাতি ভেদে এর ভিন্ন ভিন্ন নাম রয়েছে। তবে প্রত্যেকে আঞ্চলিক ভাষায় একে কুরবানির ঈদ বলে। পশু কুরবানির সাথে সাথে স্রষ্টার সকাশে নিজের ইচ্ছা ও মনের পশুত্বকেও কুরবান করা হয় এ ইবাদতে। জিলহজের ১০ থেকে ১২/১৩ তারিখ পর্যন্ত উদযাপিত এ উৎসবকে ভারত ও পাকিস্তানে বকরির ঈদ বলে।
যাদের উপর কুরবানি ওয়াজিব :
প্রত্যেক বিবেকবান প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ মুসলিম, যে কুরবানির দিন পশু জবেহের সামর্থ্য রাখে তার উপর কুরবানি ওয়াজিব। কারো কারো মতে যাদের উপর জাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদ কুরবানির দিন থাকবে তারাই কুরবানি দেবে। সামর্থ্য থাকার পরও কুরবানি না দিলে রাসুল( সা) সে ব্যক্তিকে ঈদগাহে যেতে নিষেধ করেছেন।
জিলহজের প্রথম ১০ দিনের আমল :
এ ছাড়া জিলহজের চাঁদ ওঠার পর থেকে পশু কুরবানি পর্যন্ত রাসুল (সাঃ) চুল, নখ, গোঁফ, বগল ও অন্যান্য পশম না কামানোকে মুস্তাহাব বলেছেন। সবশেষ পশু জবেহের মধ্য দিয়ে বরকতময় প্রথম দশকের কর্মযজ্ঞ শেষ করেন মুসলিম সম্প্রদায়।
ঈদের দিনের আমল:
বছরের সেরা পাঁচটি আমলের রাতের একটি ৯ জিলহজের রাত। এ রাতে আমলের অনেক ফজিলত বর্ণিত আছে। ঈদের দিন খুবই ভোরে ওঠা, ফজরের সালাত জামায়াতে আদায় করা, সকালে গোসল করা, মিসওয়াক করা, সম্ভব হলে নতুন জামাকাপড় পরা অথবা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জামাকাপড় পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, ভিন্ন ভিন্ন রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে আসা ও যাওয়া, তাকবিরে তাশরিক বলা, খোলা ময়দানে পশু কুরবানির আগে ঈদের সালাত আদায় করা এবং সম্ভব হলে কুরবানির পশুর গোস্ত দিয়ে দিনের প্রথম আহার করা ঈদের দিনের খুবই ফজিলতপূর্ণ আমল।