আখেরাতের প্রস্তুতি নিয়ে
মৃত্যুর আগেই প্রস্তুতি নেওয়া
বেঁচে থাকার সময় এ পরিমাণ আমল করা দরকার যাতে মরার পরে অনুশোচনা করতে না হয়। বরং যে পরিমাণ ভালো আমল করার চেষ্টা হয়েছে তা দেখে যেন মনে খুশি অনুভব করা যায়। ‘এটা করে আসলাম না কেনো? এটা করলে ভালো হতো’- এ জাতীয় প্রশ্ন যাতে আখেরাতে গিয়ে মনে না আসে। জীবন-যাপন করার ক্ষেত্রে বিশেষ করে লেনদেনের ক্ষেত্রে যাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা যায় তার ব্যবস্থা নিতে হবে। কি করা উচিত তা এখনই ঠিক করতে হবে। অন্য কেউ এসে বলে দিবে না। নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে। শক্তির প্রভাব খাটিয়ে অথবা অর্থের লোভ দেখিয়ে কোন কাজ আদায় করা হলে পরিণামে ঠকতে হবে। কারণ শক্তি ও অর্থ কাল কিয়ামতে কোন কাজে আসবে না, এখানেই এ দুটোকে ভালো পথে কাজে লাগাতে হবে। যারা বিবেকবান তারা অর্থ ও শক্তিকে বিপদ মনে করে এ দুটো জিনিস মানুষকে দুনিয়ায় কিছু স্বাদ দিতে পারলেও আখেরাতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বোঝাতে (Liability) পরিণত হবে।
সময়ের কাজ সময়ে করলে অনুশোচনা করতে হয় না। যথাসময়ে কাজ না করলে আখেরাতের আযাব দেখে অনুশোচনা করতে হবে। সুরা যমার ৫৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: “কিংবা আযাব দেখে বলবে, আমাকে যদি আর একবার সুযোগ দেয়া হতো তাহলে আমিও নেক আমলকারীদের মধ্যে শামিল হয়ে যেতাম।”(সুরা যুমার: ৫৮)
কিন্তু সে সুযোগ আর তাকে দেয়া হবে না।
প্রস্তুতি গ্রহণ বলতে বুঝায় আখেরাতে যাবার পর সেখানে কি কি প্রয়োজন হবে তা আগেই জেনে নিয়ে সেগুলো সংগ্রহ করা। তাই প্রস্তুতি বলতে দুটি কাজ বুঝায়:
১. কুরআন হাদিস পড়ে আখেরাতে কি কি দরকার হবে তা জানা।
২. যা জানা গেল তা এখানেই সংগ্রহ করে নেয়া।
দুই রকমের আমল আছে- একটা আল্লাহর হকের সাথে ‘হাক্কুল্লাহ’ আর একটি বান্দাহর হকের সাথে ‘হাক্কুল ইবাদ’। মুসলিম শরীফের একটি হাদিস থেকে জানা যায় “কোন ব্যাক্তি আল্লাহর হক আদায় করে প্রচুর নেকি নিয়ে হাজির হলেও যদি সে মানুষের হক নষ্ট কলে থাকে (গালি, মিথ্যা অপবাদ, অন্যায়ভাবে মাল ভক্ষন, হত্যা, প্রহার ইত্যাদির মাধ্যমে) তাহলে সেখানে পরিশোধের কাজে নেকী শেষ হয়ে যাবে। এরপর পাওনাদারদের গুণাহ মাথায় নিয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা লাইক কমেন্ট শেয়ার করে ইসলামি দাওয়াতে আপনিও অংশগ্রহণ করুন। প্রিয় বন্ধুরা জানার স্বার্থে দাওয়াতি কাজের স্বার্থে আর্টিকেলটি অবশ্যই শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন। হতে পারে আপনার একটি শেয়ার বহু মানুষ উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ।