আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ !
মূল দোয়াঃ
কাহারো খারাবী দেখিয়া নিরবে এই দোয়টি পড়বেন ,
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهِ وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلًا
উচ্চারনঃ আল-হামদু লিল্লাহি আফানি মিম-মাব-তা-লাকা বিহ, ওয়া ফাদ-দালা নি আলা কাথি-রিন মিম-মান খালাকা তাফ-দিলা।
অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি আমাকে সেই অবস্থা হইতে রক্ষা করিয়াছেন যাহাতে তোমাকে লিপ্ত করিয়াছেন এবং তিনি আমাকে তাহার অনেক মাখলুক হইতে সম্মান দান করিয়াছেন।
[উৎসঃ তিরমিজী -৩৪৩১,৩৪৩২; ঈবনে মাজাহ -৩৮৯২;]
হাদিস শরিফে রয়েছে ,
হযরত ওমর (রাযিঃ) হইতে বর্নিত আছে যে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, ” যে ব্যক্তি কোন বিপদগ্রস্থকে দেখিয়া এই দু’আ পড়িয়া লয়–
উক্ত দু’আ পাঠকারী সারাজীবন সেই বিপদ হইতে নিরাপদ থাকিবে, চাই সে বিপদ যেমন-ই হউক না কেন।
অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লহ তা’আলার জন্য যিনি আমাকে সেই অবস্থা হইতে রক্ষা করিয়াছেন যাহাতে তোমাকে লিপ্ত করিয়াছেন, এবং তিনি আমাকে তাহার অনেক মাখলুকের উপর সম্মান দান করিয়াছেন।
(তিরমিযী)
এই আমলের ফজিলতঃ
হযরত জাফর (রাযিঃ) বলেন, এই দু’আ মনে মনে পড়িবে বিপদগ্রস্থ ব্যক্তিকে শুনাইয়া পড়িবে না। (তিরমিযী)
আমল করার উপায়ঃ
হাদীস শরীফে বর্নিত আছে যে, ” যে ব্যাক্তি কাহাকেও রোগ-শোকে অথবা বিপদে পাতিত দেখিয়া উপরোল্লিখিত দোয়া অনুচ্চস্বরে পড়িবে (যাহাতে ঐ ব্যাক্তি শুনিতে না পায়) তবে সে আজীবন উক্ত রোগ-শোক হইতে নিরাপদে থাকিবে। “