Site icon Trickbd.com

আখেরাতের প্রস্তুতি নিয়ে (কবরের সাথী কে হবে?)

Unnamed

আখেরাতের প্রস্তুতি নিয়ে



কবরের সাথী কে হবে?


দুনিয়াতে খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রিয় ব্যাক্তি হলেও কবরে যাবার সময় কাউকে সাথী হিসেবে পাওয়া যাবে না। এ এক বাস্তব অন্ধকার ঘর যেসব সময় ডাক দিয়ে বলে মাটির ভিতরে পোকামাকড়ের ঘরে আসার আগে প্রস্তুত হয়ে আস। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
“তোমরা স্বাদ বিধ্বংসী মৃত্যুকে বেশী করে স্মরণ কর, প্রতিদিনই কবর নিজের ভাষায় এই কথা বলতে থাকে-
১. আমি অপরিচিত একটি অন্ধকার ঘর।
২. আমি একটি নিঃসঙ্গ একাকি ঘর।
৩. আমি মাটির ঘর।
৪. আমি পোকামাকড়ের ঘর।” (তিরমিযী, আবু সাঈদ রা:)
রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সূরা হূদ, ওয়াকেয়া, মুরসালাত, আম্মা ইয়াতাসাআলুন, ইযাস শামসু কুব্বিরাত আমাকে বৃদ্ধ করে ফেলেছে। (-তিরমিযী ইবনে আব্বাস রা:)।
তাই এ কয়টি সূরা অর্থসহ বুঝে পড়ে সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
কবর পর্যন্ত তিনটি জিনিস সাথে যায়। দু’টি জিনিস ফেরৎ চলে আসে। তৃতীয়টি থেকে যায়। তিনটি জিনিস হল:
১. আত্মীয়-স্বজন।
২. সম্পদ।
৩. আমল।
উপরের প্রথম দুটি জিনিস ফেরৎ চলে আসে, সাথে থাকে আমল। ভালো আমলকারী ভালো সাথী পেলো, খারাপ আমলকারী খারাপ সাথী পেল।
মিশকাত শরিফে হযরত আলী রাঃ এর বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ
“আজকের দিনে আমল করার সুযোগ আছে হিসাব নেয়ার ব্যবস্থ নেই। আগামী দিন শুধু হিসাব আর হিসাব হবে আমল করার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।”
কবরের তিনটি প্রশ্ন প্রায় আমরা সকলেই জানি-
১. মান রব্বুকা? তোমার রব কে?
২. মান দ্বীনুকা? তোমার দ্বীন কি?
৩. মান নাবিয়্যুকা? তোমার নবী কে?
এই প্রশ্নগুলো এবং এর জবাবগুলো মুখস্থ করে রাখলে কি আমরা রক্ষা পাবো? যদি কেউ এখনই মুখস্থ করে বলে-
রব্বি আল্লাহ, দ্বীনিল ইসলাম এবং নাবীয়ি মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমার রব আল্লাহ, আমার দ্বীন ইসলাম এবং আমার নবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহলে কি তার জীবনের নাজাত চলে আসবে? ঈমান ও আমল দু’টি দ্বারা মুক্তি আসবে। তাই শুধু একটি দিয়ে নাজাত পাওয়া যাবে না। জেল খাটতে হবে। আগুনের জেল খাটার পর তার ব্যাপারে মুক্তির সিদ্ধান্ত হতে পারে।
হাদিস শরীফে যে প্রশ্নটি সব শেষে করা হবে যেটি চতুর্থ প্রশ্ন হবে, তা হলো:
তুমি কিভাবে জানলে? তখন জবাবে বলবে-
আমি আল্লাহর কিতাব (কুরআন) পড়ে জানতে পেরেছি।
তাহলে আল্লাহর কিতাব পড়েই নাজাত পাওয়া যাবে। কুরআন পড়া ছাড়া নাজাত নেই। কবরেও কুরআন হয় পক্ষে না হয় বিপক্ষে কতা বলবে। পক্ষের দলিল হিসেবে পাওয়ার জন্য কুরআ৭কে এখনই সাথী বানাতে হবে।