Site icon Trickbd.com

আখেরাতের প্রস্তুতি নিয়ে (মৃত্যু ও কবরের আযাব থেকে মুক্তি চাওয়া এবং কারো চাপে গুণাহের কাজ না করা) বিস্তারিত পোস্টে

Unnamed

আখেরাতের প্রস্তুতি নিয়ে


মৃত্যু ও কবরের আযাব থেকে মুক্তি চাওয়া


মৃত্যু সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসে অনেক কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে জরুরি কয়েকটি কথা এখানে পেশ করা হলোঃ
“আমি তোমাদের মাঝে মৃত্যুকে নির্ধারণ করেছি।” (সূরা ওয়াকেয়া: ৬০)
“প্রত্যেক প্রাণীকে মরতে হবে অতঃপর তোমাদেরকে আমার কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।” (সূরা আনকাবূত: ৫৭)
“মৃত্যু যাতনা চরম সত্য যা থেকে পালানো যাবে না।” (সূরা ক্বাফ: ১৯)
“রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন কবরের অযাব থেকে মুক্তি চাইতেন।” (বুখারি ও মুসলিম)
আয়েশা রাঃ বলেন, “আমি কোন দিন নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নামাজের পর কবরের আযাব থেকে মুক্তি না চাইতে দেখিনি।”
বেঁচে থাকতেই প্রতি নামাজে কবরের আযাব থেকে মুক্তি চাওয়া আখেরাতের প্রস্তুতি হবে।

কারো চাপে গুণাহের কাজ না করা


আখেরাতের নাজাতের জন্যই কারো চাপে পড়ে গুণাহর কাজ করা যাবে না। পিতামাতা, সন্তান-সন্ততি, বন্ধু-বান্ধব বা দলের খাতিরে কোনো অন্যায় বা অবৈধ কাজ করা যাবে না।
কিয়ামতের ভয়াবহ দিনে কেউ যখন কারো উপকারে আসবে না তখন একজন আরেকজনের জন্য কেন গুণাহ কামাই করতে যাবে? কুরআনে সূরা মুমতাহিনা: ৩নং আয়াতে বলা হয়েছে:
“তোমাদের আত্মীয়-স্বজন ও সন্তান-সন্ততিগণ কিয়ামতের দিন তোমাদের কোনো কাজে আসবে না।” (সূরা মুমতাহিনা: ৩)

ব্যাংকে টাকা জমা করে যে সন্তানের জন্য বা যে স্ত্রীর জন্য রাখছি এগুলোতে সব হিসাব নেয়া হবে, এগুলো কোনো উপকারে আসবে না। এ সবগুলো “Asset নয়, Liability” তে পরিণত হবে।
এগুলো দুনিয়ার ব্যাংকে থেকে তুলে দানের মাধ্যমে আখেরাতের ব্যাংকে জমা করার চেষ্টা আখেরাতের প্রস্তুতিকে পূর্ণ করতে সাহায্য করবে। সর্বোচ্চ তিন ভাগের এক ভাগ ওয়াকফ করা যাবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে উক্ত কথাগুলোর উপর আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

Exit mobile version