বরকতময় সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজানের রোজার সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্যে এখানে প্রকাশিত হয়েছে। ১৩ই এপ্রিল সাবান মাসের ৩০দিন পূর্ণ হয়েছে। সুতরাং ১৪ এপ্রিল থেকে ১৪৪২ হিজরীর পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে, এক্ষেত্রে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে সেহরী খেয়ে রোজা শুরু করতে হবে।
অবশ্যই চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান মাস ও রোজা শুরু হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে সাবান মাস ২৯ দিনে শেষ হলে ১৩ তারিখ থেকেই রমজান মাস শুরু হত এক্ষেত্রে ১৩ তারিখ দিবাগত রাতেই সেহরী খেতে হত এবং আমরা সেহরি-ইফতার সূচীটি সংশোধন করে প্রকাশ করেছি। সাবান মাস ত্রিশ দিন পূর্ন হওয়ায় মাহে রমজান শুরু হয়েছে ১৪ই এপ্রিল ২০২১ থেকে এবং সে অনুযায়ী সূচী প্রকাশ করা হল।
দেশের সকল জেলার অধিবাসীগনই ঢাকা জেলার সময়ের সাথে তাদের জেলার উল্লেখিত সময় সামঞ্জস্য করে এই সূচী অনুসরণ করতে পারবেন।
মাহে রমজানের সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী
আরবী/হিজরি বছর একটি চন্দ্র বর্ষ যা ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মহামানব মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) তাঁর জন্মস্থান মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত (সফর) করার সময় থেকে মুসলমানগন গণনা করে আসছে। আর হিজরি বছরের ৯ম মাস মাহে রমজান যা মুসলমানদের জন্যে রহমত, বরকত ও নাজাত লাভের এক মহাপবিত্র মাস। রমজান মাসের পুরো মাস ব্যাপি মুসলমানগন সিয়াম পালন করে থাকেন ও সবসময় আল্লাহর ইবাদতে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। এই মাসে আল্লাহর ইবাদত করলে অন্য যে কোন মাসের তুলনায় বেশি নেকী পাওয়া যায়।
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কতৃক প্রকাশিত সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী অনুসুরন করে বরাবরের মত এবারও আলোরমেলা আপনাদের জন্যে একটি চমৎকার রোজার ক্যালেন্ডার তৈরী করেছে। ক্যালেন্ডারটি আপনি নিচের এ্যাটাচমেন্ট (সংযুক্তি) থেকে পিডিএফ বা ছবি আকারে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে বা আপনার স্মার্ট ফোনে রেখে অনুসরন করতে পারেন এবং শেয়ার করতে পারেন আপনার পরিচিত জনদেরকেও।
এছাড়াও আপনার নিশ্চই ইতিমধ্যে খেয়াল করেছেন যে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাই-বোনদের সুবিধার্থে আলোরমেলার ডান পাশে সাইডবারের (মোবাইল স্ক্রিনে নীচে) প্রতিদিন পাঁচওয়াক্ত নামাজের সময়সূচী প্রকাশিত হয়ে থাকে। ঢাকার সময় অনুযায়ী প্রকাশিত এই সূচীর সাথে আপনার এলাকার সময়ের সমন্বয় করে ব্যবহার করতে পারেন।
আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান মাস শুরু হবে এবং শেষ হবে। সতর্কতার জন্যে সূর্যাস্তের তিন মিনিট পর ইফতার ও মাগরিবের আযানের সময় নির্ধারন করা হয়েছে এবং একই ভাবে সতর্কতার জন্যে সুবহি সাদিকের তিন মিনিট আগে সেহরির শেষ সময় নির্ধারন করা হয়েছে আর ফজরের আযান দিতে হবে সুবহি সাদিকের তিন মিনিট পর অর্থাৎ সেহরির শেষ সময়ে ছয় মিনিট পর ফজরের আযান দিতে হবে।
ঢাকা জেলার বাইরে বসবাসরত রোজাদারগন অবশ্যই সেখানকার সেহরী ও ইফতারের স্থানীয় সময় অনুযায়ী সেহরী ও ইফতার গ্রহন করবেন। এই সেহরি-ইফতার সূচীতে দেয়া আছে কোন জেলার লোকজন ঢাকা জেলার কত মিনিট আগে বা পরে সেহরি-ইফতার পানাহার করবেন।
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
আরবি নিয়ত : নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন শাহরি, রামদানাল মুবারাকি, ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি, ইন্নিকা আনতাস সামিউল ‘আলিম।
বাংলায় নিয়ত : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রামাদানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোদা (রোযা) তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِيْمِيْن
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া ‘আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্বের মাধ্যমে ইফতার করছি।