Site icon Trickbd.com

যাদের নামাজ পড়তে অলসতা লাগে এই ছোট্ট দোয়াটি বেশি বেশি পড়ুন ইনশাআল্লাহ অলসতা দূর হয়ে যাবে।

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

নামাজ পড়তে অলসতা লাগে এই ছোট্ট দোয়াটি পড়ুন

সুপ্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দোয়া উল্লেখ্য করবো যেটা আমাদের জন্য অনেক প্রয়োজন।আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের মধ্যে নামাজে অলসতা বেশি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।যেমন কেউ একদিন নামাজ পড়লে আরেকদিন পড়েন না আবার কেউ নামাজ এক ওয়াক্ত পড়লে পরবর্তী ওয়াক্ত পড়া হয়না।

নামাজ পড়তে অলসতা লাগে নাসাজ পড়তে মন চায়না। এই দোয়াটি যদি আপনারা ঠিক মতো আমল করেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আপনাকে নিয়মিত নামাজী বানিয়ে দিবেন। নামাজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ করা হয়েছে। প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজেরই আল্লাহ তায়ালা বিশেষ কিছু ফজিলত দিয়েছেন।

এর মধ্যে অন্যতম হলো ফজরের সালাত যেটাতে আমাদের অলসতা বেশি দেখা যায়। আল্লাহ তায়ালা বলেন → নামাজ কায়েম করো সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত এবং কায়েম করো ফজরের নামাজ। নিশ্চয়ই ফজরের নামাজ উপস্থিতির সময়। ( সূরা বনি ইসরাঈদ ৭৮)

অর্থাৎ সারা রাত ঘুমানোর পর মৃত্যু সদৃশ ঘুমের পরে আমাদের আল্লাহর কাছে হাজির দেওয়া হয় ফজরের নামাজের মাধ্যমে।

প্রত্যেক নামাজেরই বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে তেমনি সময়ের মধ্যে ফজরের সময়ের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। পবিত্র কোরআনে ‘ফজর’ নামে একটি সূরাও রয়েছে। এই সূরা শুরুতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন → শপথ ফজরের। ( সূরা ফরজ ১)

হাদিসে ফজরের নামাজের বিশেষ তাগিদ রয়েছে। জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন → যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে। ( মুসলিম ৬৫৭)

অন্য হাদিসে ফজরের নামাজ আদায়কারীকে জান্নাতি মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আবু মুসা আশয়ারি (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন → যে ব্যক্তি দুটি শীতল সময়ে নামাজ আদায় করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। ( বুখারী ও মুসলিম) বুখারী ৫২৬, মুসলিম ২৭৬৩, তিরমিজি ৩১১৪)

আল্লাহ তায়ালা বলেন → তোমরা সালাত কায়েম করো। ( সূরা আল বাকারা ১১০) আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন→ অবশ্যই সময় মতো সালাত আদায় করা মুমিনদের উপর ফরজ করে দেয়া হয়েছে। ( সূরা আন নিসা ১০৩)

তাই আমরা যেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ না ছাড়ি এবং নামাজের ব্যাপারে যেন অলসতা আমাদের না আসে তাই এখন আমরা সেই দোয়াটি জানবো । দোয়াটি খুবই কার্যকরী৷ কারণ দোয়াটি একটি কোরআনী আমল আর পবিত্র কোরআনে আমলে বান্দার দোয়া অধিক কবুল হয়।

তো দোয়াটি আপনাদের এখন বলে দিচ্ছি দোয়াটি হলোঃ

বাংলা উচ্চারণঃ রাব্বীজ আলনী মুকিমাস সালাতি ওয়া মিন জুররিয়াতি রাব্বানা ওয়া তাকাব্বাল দু’আয়।

বাংলা অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা আমাকে নামাজ কায়েমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা এবং আমাদের দোয়া কবুল করুন। ( সূরা ইবরাহিম আয়াত ৪০)

যখনই আপনার মধ্যে নামাজের জন্য অলসতা ভাব দেখা দিবে তখন প্রথমে কয়েকবার আসতাগফিরুল্লাহ পড়বেন তারপর এই দোয়াটি পড়তে থাকবেন। এবং নিজের নফসের বিরুদ্ধে গিয়ে যখন কষ্ট করে নামাজ আদায় করে নিবেন তখন দেখবেন আপনার মনের মধ্যে এক অনাবিল সুখ অনুভব করবেন ইনশাআল্লাহ।

এবং নামাজের পর মোনাজাতেও এই দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করবেন। ইনশাআল্লাহ নামাজের প্রতি অলসতা আপনার আর থাকবেনা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন আমিন।

আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি