Site icon Trickbd.com

ঈদের দিনে করনীয় কাজ, ঈদের দিনে যা যা করতে হবে জেনে নিন।

Unnamed

আসসালামুআলাইকুম।আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে লিখতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো,ঈদের দিনে করনীয় কাজগুলো। আমাদের সবার জানা উচিৎ যে ঈদের দিনে কি কি করতে হবে। অনেকে শুধু গোসল দিয়ে ঈদের নামায আদায় করতে যায়। কিছু নিয়ম মেনে আমাদের চলতে হবে। আমাদের মুসলমানদের বছরে দুটি ঈদ পালন করে থাকি। যেহেতু আমরা মুসলমান, আমাদের কিছু নিয়ম -কানুন অবস্যই মেনে চলতে হবে ও ইসলামিক বিধান মেনে চলতে হবে। আজকে আপনাদের মাঝে এটাই শেয়ার করতে যাচ্ছি,যে আপনি ঈদের দিন সকাল থেকে কি কি করতে হবে ও করনীয়। যারা যানে না, তারা আজকের পোস্ট দেখে খুব সহজে জেনে নিন। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক,ঈদের দিনে করনীয় গুলোঃ

১) গোসল ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নঃ

ঈদের দিনে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে। ঈদের দিনে গোসল দিয়ে, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া মোস্তাহাব। তাই আমাদের সব মুসলমান এর উচিৎ পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন হওয়া। যেহেতু আমাদের সবার এক সাথে নামায আদায় করতে হবে,তাই সাবান, শ্যাম্পু দিয়ে গোসল দিয়ে পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন হওয়া জরুরি।

২) পরিস্কার ও সুন্দর পোষাক পরিধান করাঃ

ঈদের দিনে পরিস্কার পোশাক পরিধান করা সুন্নাত। ঈদের দিনে গোসল দিয়ে পরিস্কার হয়ে, পরিস্কার পোশাক পরিধান করতে হবে। অনেকে নতুন পোশাক পড়ে ঈদের নামায আদায় করতে যায়,এটা ঠিক না। নতুন পোষাক যদি ধুয়ে দেয়া হয়, তাহলে সে পোশাক পড়ে নামায আদায় করলে সমস্যা হবে না। এজন্য অন্য পরিস্কার পোশাক পড়ে নামায আদায় করে এসে,পরে নতুন পোশাক পরিধান করা উচিৎ।

৩) সুগন্ধি ব্যাবহার করাঃ

সুন্দর ও পরিস্কার পোশাক পরিধান করার পর সুগন্ধি ব্যাবহার করতে হবে। ঈদের দিনে পরিস্কার পোশাকের সাথে সুগন্ধি ব্যাবহার করা সুন্নাত। আমরা মুসলমান সবাই ভাই ভাই,ঈদের নামায আদায়ের জন্য সবাই একত্রিত হতে হয়।এজন্য সুগন্ধি ব্যাবহার করা উচিৎ।

৪) ঈদের দিনে খাবারঃ

ঈদুল আযহার দিনে,কোনো কিছু না খেয়ে ঈদের নামায আদায় করতে যাওয়া ও নামায এর পর কোরবানির গোশত খাওয়া সুন্নাত।এছাটা ঈদুল ফিতর এর দিনে ঈদের নামায আদায় করতে যাওয়ার আগে কিছু হালকা খাবার খাওয়া সুন্নাত। আমাদের এই নিয়ম গুলো ধারাবাহিক ভাবে মেনে চলা উচিৎ।

৫) পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়াঃ

ঈদগাহে ঈদের নামায তাড়াতাড়ি পড়তে যাওয়া উচিৎ৷ কারন তাড়াতাড়ি গেলে ইমামের নিকট বসা যায়। তাড়াতাড়ি গিয়া নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকলে ও সওয়াব পাওয়া যায়। আমাদের সবার উচিৎ, ঈদের দিন তাড়াতাড়ি ঈদের নামায আদায় করতে যাওয়া। পায়ে হেঁটে আমাদের সবার ঈদের নামায আদায় করতে যাওয়া উচিৎ।

৬) এক পথে যাওয়া অন্য পথে ফেরাঃ

ঈদগাহে যে পথ দিয়ে যাবেন,সে পথ দিয়ে না ফিরে অন্য পথ দিয়ে ফেরা সুন্নাত। ঈদের নামায আদায় করতে যে পথ দিয়ে যাব,আমরা সে পথ দিয়া না এসে অন্য পথ দিয়ে ফিরবো।

৭) ঈদের সালাতঃ

অপেক্ষা করার পর, ঈদের সালাত আদায় করতে হবে। সকল মুসলমানমান ধনী-গরিব একত্রিত হয়ে ঈদের সালাত আদায় করতে হবে।মনে রাখতে হবে সকল মুসলমান একে অপরের ভাই।

৮) ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ঃ

ঈদের নামায শেষে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে হবে। নামায শেষে কোলাকুলি ও মুসাবা করতে হবে। এতে করে আমাদের মধ্য ভালবাসা, আন্তরিকতা বৃদ্ধি পাবে।

৯) গরীব দের সাহায্য করাঃ

ঈদের দিনে গরীব ও অসহায় লোকদের সাহায্য করতে হবে। অনেক ঈদগাহে, ঈদের নামায মাঠে পড়ানো হয়। মাঠে কোনো গরীব লোক গেলে, তাদের কে সাহায্য করা উচিৎ। তাই আমাদের সবার এ দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

১০) আত্নীয়-স্বজনের খোঁজ নেয়াঃ

ঈদের এই দিনে আত্নীয় স্বজনদের খোঁজ নেয়া উত্তম। ঈদের নামায পর আমাদের সবার উচিৎ আত্নীয় স্বজনদের খোঁজ খবর নেয়া।

টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ

Youtube Channel

আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।

পরবর্তী আর্টিক্যাল এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।

যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon

ধন্যবাদ