Site icon Trickbd.com

কেউ কষ্ট দিলে না কেঁদে এই ৫টি কাজ করুন।মনে আর কষ্ট থাকবেনা ইনশাআল্লাহ !

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

কেউ কষ্ট দিলে না কেঁদে এই ৫টি কাজ করুন


জীবনে চলার পথে মানুষ অনেকের সাথে বন্ধুত্ব করে ফেলে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ সেই বন্ধুত্ব বা সম্পর্কে নষ্ট হলে মানুষ ভেঙ্গে পড়ে। কষ্টের স্বীকার হয়ে তাঁদের দুঃখের সীমা থাকেনা।তাছাড়া বিভিন্ন ভাবে মানুষ কষ্টের সম্মুখীন হতে পারে। এই অবস্থায় মানুষ কষ্ট দূর করার রাস্তা খুঁজে।

প্রিয় পাঠক আজকে আর্টিকেলে পাঁচটি কৌশল বা পদ্ধতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।যেগুলো এপ্লাই করার মাধ্যমে মনের কষ্ট দ্রুত দূর করা সম্ভব। তো চলুন জেনে নেই। কেউ যদি কষ্ট দেয়,আপনাকে আঘাত দেয় তাহলে পাঁচটি কাজ করুন মনের কষ্ট হালকা হবে ইনশাআল্লাহ।

এক নাম্বারঃ বিশ্বাস রাখুন আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।কেউ যদি আপনার মূল্য না বুঝে আপনাকে চিনতে না পারে আপনাকে মূল্যায়ন না করে আপনার সঙ্গে বন্ধুত্ব নষ্ট করে আপনার সাথে সম্পর্ক ভেঙ্গে সে যদি সুখে থাকতে পারে তাহলে আপনি কেন তার জন্য কষ্ট পাবেন।

একটা কথা মাথায় রাখুন আল্লাহ যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন। হতে পারে আল্লাহ তায়ালা আরো ভালো কাউকে আপনার জন্য রেখেছেন। অনেকে আবার এমন পরিস্থিতি আসলে রাগ সামলে রাখতে না পেরে গালমন্দও করে থাকেন। যা কোনো অবস্থাতেই করা যাবেনা।

কেননা নবী করীম (সাঃ) বলেছেন → মুমিন কটুভাষী গালীবাজ এবং মন্দভাষী হতে পারে না লা’নতকারী হতে পারে না এবং অশ্লীল ও অশালীন কথা বলতে পারে না। ( সূত্র- আলআদাবুল মফরাদ হাদিস নাম্বার ৩১২; জামে তিরমিজি হাদিস নাম্বার ১৯৭৭)

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন → এবং অবশ্যই আমি তোমাদেরকে পরিক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফসলের ক্ষতির মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও ধৈর্য ধারণকারীদের। যখন তারা কোন বিপদে পতিত হয় তখন তারা বলে নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্যই এবং নিশ্চয়ই আমরা সবাই তাঁরই নিকট ফিরে যাবো।তারাই সে সমস্ত লোক যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং তারাই সুপথপ্রাপ্ত। ( সূরা বাকারা আয়াত ১৫৫-১৫৭)

দ্বিতীয় নাম্বারঃ নিজেকে যথাসম্ভব যৌক্তিক কর্মে ব্যস্ত রাখুন। কারো সাথে সম্পর্ক নষ্ট হলে কষ্ট তো একটু হবেই। তাই কষ্ট কম করতে নিজেকে বিভিন্ন কাজ কর্মে ব্যস্ত রাখুন। গভীর মনোযোগ দিয়ে কাজ করুন দেখবেন!আস্তে আস্তে কষ্ট কম হবে।

মস্তিষ্কের যত বাজে চিন্তার উদ্ভব হয় অলস ভাবে বসে থাকলে কারণ শয়তান তখন আমাদের কানে কুমন্ত্রণা দিয়ে থাকে। কিন্তু যখন কাজের ভিতর থাকি তখন ওরকম কোন উল্টা পাল্টা চিন্তা আসতে পারেনা।কারণ কথায় বলেঃ অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা।

তিন নাম্বারঃ বেশি বেশি আল্লাহর ইবাদত করুন। সময় মতো নামাজ আদায় করুন। এবং সকাল সন্ধ্যা অনুবাদসহ পবিত্র কোরআনে তেলওয়াত করুন দেখবেন মনের যন্ত্রণা কম হবে এবং মন হালকা হতে শুরু করেছে।

চার নাম্বারঃ কোনো বুদ্ধিমান জ্ঞানী এবং ভালো মানুষের সাথে সময় কাটান। নিজেকে একাকীত্বের রাখবেন না। সব সময় ভালো মানুষের সাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করবেন। তাদের কাছে এমন কিছু উপদেশ পাবেন যা আপনার জীবন থেকে দুঃখ কষ্ট দূর করতে সাহায্য করবে। আপনি ভালো থাকতে পারবেন।

পাঁচ নাম্বারঃ পিতা মাতার কথা ভাবুন। পিতা মাতার চেয়ে ভালো বন্ধু আর কেউ হতে পারে না৷ সন্তান যেমনই হোক না কেনো পিতা মাতার কাছে সব সময় সন্তান প্রিয়ই থাকে। তাই মনের কষ্ট মনে না রেখে পিতা মাতাকে শেয়ার করুন। তাঁরা কখনো আপনার খারাপ চাইবেনা। তাঁদের কথামতো চলার চেষ্টা করুন। দেখবেন সব দুঃখ কষ্ট হতাশা গ্লানি এক মুহূর্তে মুছে যাবে ইনশাআল্লাহ।

এই পাঁচটি কাজ আপাতত করুন, পরবর্তীতে আপনাদের জন্য এই সম্পর্কিত আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।

আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি