আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
দাঁড়িয়ে পানি পান করলে কি কঠিন রোগ হয় জানেন
আমাদের প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম দাঁড়িয়ে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন এবং এক ঢোঁকে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন।(সহীহ মুসলিম হাদিস নং ৩৭৭৬)। কিন্তু কেনো নিষেধ করেছেন,তা হয়তো তখনকার মানুষের জানা ছিল না। আজকে বিজ্ঞানের বদৌলতে আমরা জানতে পেরেছি যে দাঁড়িয়ে পানি পান করলে কি কি মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে! তো চলুন সে সম্পর্কে জেনে নিন।
পানি ছাড়া বেঁচে থাকাটা অসম্ভব। কিন্তু আপনাদের কী জানা আছে পানি পানের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে। বিশ্বের প্রায় 50% মানুষেরই এ বিষয়ে কোনো জ্ঞান নেই। ফলে পানি পান করে সবাই তেষ্টা মেটাচ্ছে! কিন্তু সেইসঙ্গে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে ফেলছে। যেমন ধরুন কখনোই দাঁড়িয়ে পানি পান করা উচিত নয়। পানি পান করা মাত্র আমাদের শরীরে উপস্থিত একাধিক ছাকনি হিসেবে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানদের ছেঁকে নিয়ে শরীরের বাইরে বের করে দিচ্ছে।
এখন যদি এই ছাকনিএগুলো ঠিকঠাক মত কাজ না করতে পারে তাহলে কি হবে একবার ভাবুনতো! পানিতে উপস্থিতি অস্বাস্থ্যকর উপাদানগুলো রক্তে মিশতে শুরু করবে। ফলে একসময় গিয়ে শরীরের টক্সিনের মাত্রা এতটাই বেড়ে যাবে যে একাধিক অঙ্গের উপর তার খারাপ প্রভাব পড়বে। তাই তো বিশেষ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা একান্ত প্রয়োজন।
যেমন দাঁড়ানো অবস্থায় কখনো পানি পান করবেন না। কারণ এমনটা করলে শরীরের ভিতরে থাকা ছাকরিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এখানেই শেষ নয় দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের অভ্যন্তরে আরো নানাভাবে ক্ষতি হয়। চলুন জেনে নেই।
৮. বদ হজম হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে: বসে থাকাকালিন পানি পান করলে পেটের অন্দরের সব পিশী এবং নার্ভাস সিস্টেম অনেক বেশি রিল্যাক্সিং স্টেটে থাকে। ফলে হজম ক্ষমতা বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। কিন্তু যদি দাঁড়িয়ে কিছু খাবার খান বা পানি পান করেন তাহলে কিন্তু একেবারেই উল্টো ঘটনা ঘটে। ফলে গ্যাস অম্বল এর সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
৭. জি ই আর ডি- তে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে: দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পানি পান করলে বা খাবার খেলে তা সরাসরি ইসোফেগাসে গিয়ে ধাক্কা মারে। ফলে এমনটা হতে থাকলে একসময় গিয়ে ইসোফেগাস এবং পাকস্হালীর মধ্যেকার সরু নালীটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে গ্যাস্ট্রো ইসোফেগাল রিফ্লাক্র ডিজিজ অর্থাৎ ডি ই আর ডি এর মত রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধে।
৬.অ্যাংজাইটি লেভেল বেড়ে যায়: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে দাঁড়িয়ে পানি পান করলে একাধিক নার্ভে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। ফলে কোনো কারণ ছাড়াই মানসিক চাপ বা অ্যাংজাইটি বাড়তে শুরু করে। প্রসঙ্গত, অকারণ মানসিক চাপ কিন্তু শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। তাই এক্ষেত্রে সাবধান হওয়া খুবই জরুরী।
৫. পানি খেলেও চেষ্টা থেকে যায়: স্টোমাকে (পাকস্থলীতে) কমবেশি প্রায় দেড় লিটার পানি জমা হতে পারে। এই পরিমাণ পানি যখন আমরা একেবারেই খেতে পারিনা তখন বারেবারে তেষ্টা পেতে শুরু করে। আর এমন টা কখন হয়…? একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরের একাধিক জায়গায় বাধা পেতে পেতে শেষে স্টামাকে এসে যেটুকু পানি জমা হয়, তাতে চাহিদা মেটে না । ফলে বারে বারে তেষ্টা পেতে থাকে। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। অজান্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে আমাদের শরীর।
৪. কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়: যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে দাঁড়িয়ে পানি পান করার সময় শরীরের অন্দরে থাকা একাধিক ফিল্টার ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ফলে পানির মধ্যে থাকা একাধিক ক্ষতির উপাদান প্রথমে রক্ত গিয়ে মেশে তারপর সেখান থেকে কিডনিতে এসে জমা হতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গিয়ে একসময় কিডনি ড্যামেজের সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই আজ থেকে ভুলেও দাঁড়িয়ে পানি পান করবেন না।
৩. পাকস্থলীতে ক্ষত সৃষ্টি হয়: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্হলীতে দিয়ে আঘাত করে। সেইসঙ্গে স্টমাকে উপস্হিত অ্যাসিডের কার্যক্রমও কমিয়ে দেয়। ফলে বদহজমের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সে সঙ্গে পাকস্থলির কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে তলপেটে যন্ত্রণা সহ আরো নানা শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয।
২. অ্যাসিড লেভেল তারতম্য দেখা যায: আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এমন উল্লেখ পাওয়া যায় যে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পানি পান করলে পেটের অন্দরে ক্ষরণ হতে থাকা এসিড ঠিকমত ডাইলিউট হতে পারে না। আর যদি এমনটা না হতে পারে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। তাই সুস্থ থাকতে এবার থেকে ভুলেও দাঁড়িয়ে পানি পান করবেন না।
১. আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে: জি হ্যাঁ একেবারে ঠিক শুনেছেন। দাঁড়িয়ে পানি পান করার সঙ্গে আর্থ্রাইটিসের ( বাত ব্যাথা) সরাসরি যোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে শরীরে অন্দরে থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে শুরু করে।ফলে জয়েন্টের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত যারা ইতিমধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তারা ভুলেও দাঁড়িয়ে পানি পান করবেন না। এবং এক ডোকে কখন পানি পান করবেন না। অন্তত পক্ষে তিন ডোকে পানি পান করুন।
এবং এটি আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাহু সাল্লাম এর নির্দেশ। আমাদের প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ও দাঁড়িয়ে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন। এবং এক ডোকে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন। কমপক্ষে তিন ডোকে পানি পান করতে বলেছেন। হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম বলেন দাঁড়িয়ে পানি পান করো না,বসে পানি পান করো এবং তিন ডোকে পানি পান করো। এবং পানি পান করার শুরুতে বিসমিল্লাহ বল( মুসলিম হাদিস নাম্বারঃ 3776,মুসনাদে আহমদ হাদিস নাম্বারঃ 11880)
একবার ভেবে দেখুন আজকে আমরা দাঁড়িয়ে পানি পান করার ফলে যে ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করলাম এগুলো বিজ্ঞান কিছুদিন আগে জেনে আছে অথচ প্রিয় নবী সাল্লাহু সাল্লাম সাড়ে চোদ্দশ বছর আগেই আমাদেরকে এ বিষয়ে অবগত করেছেন আল্লাহ আমাদের সকলকে পানি পান করা শুরুতে বিসমিল্লাহ বলার তৌফিক দান করুন এবং সবাই যেন দাঁড়িয়ে পানি পান না করি এবং কমপক্ষে তিন ডোকে পানি পান করব এবং আমরা কখনই দাঁড়িয়ে ঢকঢক করে পানি পান করব না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এ বিষয়গুলো বোঝার তৌফিক দান করুন।
আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি