আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
নামাজ পড়েও যারা জাহান্নামে যাবেন
নামাজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ। প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ পড়া প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। কিন্তু মনগড়াভাবে নামাজ পড়লে নামাজ আদায় হবে না। কুরআন ও সুন্নাহের নির্দেশিত পন্থায় নামাজ আদায় করা জরুরী। এর ব্যত্যয় ঘটলে হিতে বিপরীত হতে পারে। অর্থাৎ নামাজ কোন কোন ব্যক্তিকে জাহান্নামেও নিয়ে যেতে পারে। সুপ্রিয় পাঠক আজকে আমরা যারা নামাজ পড়ে ও জাহান্নামী এমন তিন শ্রেণীর সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
১. যারা অলসতা করে সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করেনা, তাদের নামাজ কবুল হবে না। তাদের জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে→ অতঃপর দুর্ভোগ সমস্ত মুসল্লিদের জন্য যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে উদাসীন (সূরা মাউন আয়াত ৪-৫)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীর বিদরা লিখেছেন, এরা হলো সেইসব লোক, যারা নামায থেকে উদাসীন এবং খেল-তামাশায় ব্যস্ত। উদাসীন লোকদের মধ্যে একদল এমন আছে, যারা রুকু-সিজদা,ওঠা বসা যথাযথভাবে করেন না। নামাজে কিরাত দোয়া ও তাজবীদ যথাযথভাবে পাঠ করে না। কোন কিছুর অর্থ বুঝেনা বা বোঝার চেষ্টাও করে না। আযান শোনার পরেও যারা অলস ভাবে কোথাও বসে থাকে বা আড্ডায় মত্ত থাকে, আবার নামাজ পড়লেও নামাজে দাঁড়িয়ে অমনোযোগী থাকে।
২. যারা দায়সারা ভাবে নামাজ পড়ে এবং নামাজে বিধিবিধানগুলো যথাযথভাবে পালন করেনা। হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম মসজিদে প্রবেশ করেন। তখন জৈনিক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে নামায আদায় শেষে রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম কে সালাম দিলেন। তিনি সালামের জবাব দিয়ে বলেন তুমি যাও, পুনরায় নামাজ আদায় করো। কেননা তুমি নামাজ আদায় করোনি।
এভাবে লোকটি তিন-তিনবার নামাজ আদায় করলেন। রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম তাকে তিনবারই ফিরিয়ে দিলেন। তখন লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিনি আপনাকে সত্য সহকারে প্রেরণ করেছেন, তাঁর কসম করে বলছি, এর চাইতে সুন্দরভাবে আমি নামাজ আদায় করতে জানি না। অতএব আমাকে নামাজ শিখিয়ে দিন।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম বললেন →যখন তুমি নামাজে দাঁড়াবে তখন তাকবির দেবে। তারপর কুরআন থেকে যা পাঠ করা তোমার কাছে সহজ মনে হয় তা পাঠ করবে। তারপর ধীরস্থিরভাবে রুকু করবে। অতঃপর সোজা হয়ে দাঁড়াবে। তারপর ধীরস্থিরভাবে সিজদা করবে। অতঃপর মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে বসবে। আর প্রত্যেক (রাকাত) নামাজ এভাবে আদায় করবে।( সহিহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৭৫৭)
অন্য একটি হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম ইরশাদ করেছেন→ মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় চোর ঐ ব্যক্তি যে তার নামায চুরি করে। তখন উপস্থিত সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে কিভাবে নামাজ চুরি করে..? তখন তিনি বললেন, সে নামাজে রুকু ও সিজদা পরিপূর্ণ করে না। (মুসনাদে আহমদ হাদিস নাম্বারঃ২২৬৯৫)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম এর ভাষায় বড় চোর হচ্ছে যারা নামাজের মধ্যে চুরি করে থাকে। পার্থিব জীবনে মানুষ মানুষের ধন সম্পদ, টাকা-পয়সা স্বর্ণালঙ্কার ইত্যাদি চুরি করে, এটাকে সামান্য চুরি বলা যেতে পারে। কিন্তু যে ব্যক্তি নিজের মহামূল্যবান সম্পদ,জান্নাত যাওয়ার পূঁজি এবং শ্রেষ্ঠতম ইবাদত নামাজের চুরি করে সেই তো প্রকৃতপক্ষে বড় চোর।
৩. যারা লোক দেখানো নামাজ আদায় করে। মহান আল্লাহতালা বলেন →দুর্ভোগ তাঁদের জন্য, যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে।( সূরা মাউন আয়াত ৫-৬)
মুনাফিকরা মানুষকে দেখানোর জন্য নামাজ পড়ে থাকে। যেমন— মহান আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াতে বলেছেন →নিশ্চয়ই মুনাফিকরা আল্লাহকে ধোঁকা দেয়, আর তিনিও তাদের ধোঁকায় ফেলেন। লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে, যখন নামাজে দাঁড়াই, তখন অলসভাবে দাঁড়ায়। আর তারা আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে।( সূরা নিসা আয়াত ১৪২)
মহান আল্লাহ তায়ালা লোক দেখানো ইবাদতকারীকে তার আমলসহ প্রত্যাখ্যান করেন। হাদীসে কুদসীতে এসেছে, মহান আল্লাহ তাআলা বলেন→ আমি অংশীবাদিতা(শিরক) থেকে সব অংশীদারের তুলনায় বেশি মুখাপেক্ষীহীন বা অমুখাপেক্ষী। যে ব্যক্তি কোনো আমল করে এবং তাতে অন্যকে আমার সঙ্গে শরিক করে, আমি তাকে ও তার আমল কে বর্জন করি।( মুসলিম হাদিস নাম্বারঃ ২৯৮৫)
Trickbd তে অনেকেই পোস্ট কতে চান কিন্তু করতে পারছেন না। আপনারা Shoptips24.Com ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে পারেন।এখানে একাউন্ট করলেই author।এখানে প্রতি পোস্টের জন্য ৫-৫০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়।পোস্টের মানের উপর ভিত্তি করে। Shoptips24.Com
আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি