আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
এই ৩ সময়ে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ
নামাজ এবং একটি ইবাদত।যে ইবাদত এ কোন ছাড় নেই বিশেষ করে পুরুষদের জন্য। নবীজি (সাঃ) বলেছেন কাফির এবং ঈমানদারদের মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ। ঈমানের পরে ইসলামের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আমল হলো সালাত বা নামাজ। নামাজ ইসলামের প্রাণ। নবীজি আরো বলেন কেয়ামতের সেই ভয়াবহ ময়দানে আল্লাহ সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নিবেন। যে নামাজের হিসাব ঠিকঠাকমতো দিতে পারবে তার জন্য সব হিসাব সহজ হয়ে যাবে সুবহানাল্লাহ।
এছাড়াও পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামায ছাড়াও নফল নামাজ পড়ার বিধান ইসলামী শরীয়তে রয়েছে। হাদিস শরিফে রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছেন ফরজ নামাজের ঘাটতি থাকলে নফল নামাজ তা পূরণ করে দেয়। তাই তোমরা বেশি বেশি নফল নামাজ পড়ো। ফরজ নামাজের রাকাত সংখ্যা এবং সময় নির্দিষ্ট। কিন্তু নফল নামাজের নির্দিষ্ট কোন রাকাত সংখ্যা নেই এবং সময়ও নেই। কিন্তু এি নামাজেই আমাদের কিছু সময় পড়তে নিষেধ আছে।
ফকিরহরা বলেন তিন সময়ে ফরজ নফল সব ধরনের নামাজ পড়া নিষেধ। এমনকি এ সময় জানাজা এবং তিলাওয়াতের সিজদা করা নিষেধ। সূর্যোদয়ের পর থেকে ইশরাকের আগ পর্যন্ত সূর্য ওঠা শুরু থেকে হলুদ আলো পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত সময়টুকুতে সব ধরনের নামাজ পড়া নিষেধ। ফকিরহরা গবেষণা করে দেখেছেন সূর্য ওঠার পর হলুদ আলো দূর হতে 20 মিনিট সময় লাগে অর্থাৎ আবহাওয়া অফিস যদি বলে সকাল ছয়টায় সূর্য উঠবে তার মানে ছয়টা 20 পর্যন্ত সব ধরনের নামাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
সূর্য যখন ঠিক মাথার উপরে থাকে তখনও সব ধরনের নামাজ এবং সেজদা করা নিষেধ। আরবি ভাষায় এই সময়কে জাওয়াল বলে। যখন সূর্য একটু হেলে পড়বে তখন যোহরের ওয়াক্ত শুরু হয় এ সময় সব ধরনের নামাজ এবং সেজদা করা জায়েজ। সূর্য মাথার ওপর থেকে হেলে পড়তে বেশি সময় লাগে না ফকিরহরা সতর্কতা বসত সূর্য মাথার ওপরে ওঠার 5 মিনিট আগে এবং 5 মিনিট পর পর্যন্ত নামাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।
সূর্য ডোবার সময় সূর্য যখন হলুদ বর্ণ ধারণ করে ঢুবতে শুরু করে তারপর সূর্যোদয় পর্যন্ত সব ধরনের নামাজ পড়া নিষেধ। সাহাবি উদবা বিন আমের আল জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম আমাদের তিন সময় নামাজ এবং মৃতদেহ দাফন করতে নিষেধ করেছেন। সূর্য উঠার সময় যতক্ষণ না তা পুরোপুরি উঁচু হয়ে যায়। সূর্য যখন মাথার ওপরে ওঠে তখন থেকে পশ্চিমে হেলে পড়ার সময় টুকু এবং সূর্য হলুদবর্ণ হওয়ার পর থেকে ডোবার আগ পর্যন্ত। (বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৫৫১ এবং মুসলিম হাদিস নম্বর ১১৮৫)
এ তিন সময় নামাজ পড়া নিষেধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে জ্ঞানীরা বলেন সূর্য যখন ওঠে যখন মাথার ওপরে ওঠে এবং যখন ডুবে যায়। এ তিন সময় সূর্য পূজা লীলা সূর্যকে সেজদা করে। তখন কেউ যদি নামাজ পড়ে তাহলে তাকেও সূর্য পূজারী মনে হতে পারে। এজন্য এ সময় সব ধরণের নামায পড়া এবং সেজদা করা ইসলামী শরীয়তে মাকরূহে তাহরীমী তথা নিষেধ মনে করে। মাওলানা ইউসুফ লুতিআনাফি রহমতুল্লাহর বলেন এ তিন সময় নামাজ তো দূরের কথা এমনকি তেলাওয়াতের সেজদা করাও নিষেধ।
জানাজার নামাজ এবং মৃতকে দাফন করা ও নিষেধ। তবে মৃতকে তাড়াতাড়ি দাফন করার প্রয়োজন হলে জানাজা পড়িয়ে দাফন করার অনুমতি আছে। এছাড়াও কেউ যদি কারণবশত আসর নামাজ পড়তে ভুলে যায় তাহলে সূর্য ডুবতে শুরু করার আগে আগে আসরের নামাজের নিয়ত বাধলে আর এর মধ্যে সূর্য ডোবার শুরু হয়ে গেলে নামাজ আদায় করা হয়ে যাবে। সূর্য ডোবা শুরু হয়ে গেলে আর আসার নামাজ পড়ার সুযোগ থাকে না।
তখন আসরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়। এই নিষিদ্ধ তিন সময় ছাড়া নামাজ সব সময় পড়া যাবে। কোন অবস্থাতেই নামাজ পড়া মিস দেয়া যাবে না। আজকাল যুবকদের নামাজে যেতে বললে বলে আমার প্যান্ট নাপাক শরীর ভালো না ইত্যাদি অজুহাত দেখায়। তাদের উদ্দেশ্যে বলি একবার চিন্তা করুন তো আপনার নাপাক কাপড় পরা অবস্থায় যদি আপনার মরণ হয় কি অবস্থা হবে জাহান্নামের বাসিন্দা হতে হবে।
তাই মুসলমানের প্যান্টের কাপড় কখনো নাপাক থাকতে পারে না যে অবস্থাতেই থাকে না কেন আজ থেকে আমরা সংকল্প করি যে আমরা আর নামাজ কাচা করব না ইনশাল্লাহ। কি এমন প্রতিজ্ঞা করতে পারিনা প্রিয় ভাইয়েরা বিশেষ কারণ ছাড়া বোনেরাও এ প্রতিজ্ঞা করি মনে মনে যে নামাজ আর ছাড়বো না আল্লাহ তা’আলা আমাদের তার হুকুম জেনে-বুঝে সঠিকভাবে আমল করার তৌফিক দান করুন আমীন।
আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি