Site icon Trickbd.com

যতদিন বেঁচে থাকবেন, এই ১০টি আমল করুন, তাহলে মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতে যেতে পারবেন।

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

জান্নাতে যাওয়ার জন্য ১০টি আমল করুন

জান্নাত চির শান্তির জায়গা। যেখানে আরাম আরেস সুখ শান্তি আমোদ-প্রমোদ চিত্তবিনোদন এবং আনন্দ আহলাদের চরম ও পরম ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে ভোগ বিলাস ঔ পানাহারের অতিশয্য। জান্নাতের অধিবাসী গণ যখন যা কামনা করবে তাদেরকে তাই দেওয়া হবে। তারা কোনো কিছু পাওয়ার ইচ্ছে করলে সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যাবে। তাদের কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা ইচ্ছে প্রত্যাশা কোন কিছুই অপূর্ব থাকবে না। অর্থাৎ মুসলমানের স্থায়ী ঠিকানার নাম জান্নাত। পৃথিবীর জীবন ক্ষণস্থায়ী। পরকালই হবে অনন্ত অসীম। এই দুদিনের জীবনে তাই জান্নাতে যাওয়া প্রস্তুতি নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আসুন আমরা ইসলামের নির্দেশিত পথে নিজেকে পরিচালিত করে এ পথকে সুগম ও মসৃণ করি। জেনে নেই হাদিসের আলোকে জান্নাতে যাওয়ার ১০টি বিশেষ আমল।

১. ফরজ নামাজঃ নামাজ জান্নাতের চাবিকাঠি। জান্নাতে যেতে হলে নামাজের যত্ন নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। হযরত রবিআ ইবনে কাআব আসলামী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত এক রাতে আমি রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। তার অজুর পানি এনে দিলাম এবং প্রয়োজনীয় কাজ করে দিলাম। তিনি আমাকে বললেন আমার কাছে তুমি কি চাও…? তখন আমি বললাম আপনার সঙ্গে জান্নাতে থাকতে চাই। তখন রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম বললেন আর কোন কিছু চাও….? তখন আমি বললাম আমি এটাই চাই। তিনি বললেন অধিক সিজদার মাধ্যমে তোমার জন্য আমাকে সাহায্য করো অর্থাৎ বেশি বেশি নামাজ পড়ো। (মুসলিম হাদিস নাম্বার ৪৮৯)

২. সুন্নত নামাজঃ ফরজ নামাজের আগে পরে সুন্নত নামাজ গুলো আদায় করার গুরুত্ব অপরিসীম। হাদিসের সেগুলোকে জান্নাতে যাওয়ার মাধ্যম বলা হয়েছে। হযরত উম্মে হাবিবা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি দিনে রাতে ১২ রাকাত নামাজ পড়ে তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি বানানো হয়। জোহরের আগে চার রাকাত, ফরজ দুই রাকাত, মাগরিবের পরে দুই রাকাত, এশার পরে দুই রাকাত, ফজরের আগে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়া আবশ্যক।

৩. মসজিদ নির্মাণঃ মসজিদ নির্মাণের ফজিলত অনেক বেশি। মসজিদ নির্মাণের জন্য, সে বান্দর জন্য জান্নাতে আলিশান বাড়ি তৈরি করবেন মহান আল্লাহ তাআলা। হযরত উসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা বলেন, রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ একটি ঘর তৈরি করেন। (বুখারি হাদিস নাম্বার ৪৫০)

৪. আয়াতুল কুরসিঃ পবিত্র কোরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত হলো আয়াতুল কুরসি। প্রত্যেক ফরয নামাযের পর রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম এটি পড়তেন।আবু উমামা বাহিলি রাদিয়াল্লাহু তা’আলা বলেন রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম ইরশাদ করেন →যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ে, জান্নাতে প্রবেশের ক্ষেত্রে মৃত্যু ছাড়া তার কোনো বাধাই থাকেনা। নাসায়ি হাদিস নাম্বার ৯৯২৮)

৫. হজ করাঃ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ হজ। কবুলকৃত হজের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত। হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম ইরশাদ করেন→ যে ব্যক্তি হজ করে, কোন অশ্লীল কথা বলেনা এবং পাপা কাজে লিপ্ত হয়মা ,তাহলে সে ব্যক্তি মায়ের পেট থেকে জন্ম নেওয়ার দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসে।( বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ১৫২১)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম আরো ইরশাদ করেন→ কবুলকৃত হজের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।( মুসনাদে আহমদ হাদিস নাম্বারঃ ১৪৫২২)

৬. তাহাজ্জুদ নামাজ পড়াঃ রাতের শেষ প্রহরে পৃথিবী যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন আরামের বিছানা ছেড়ে আল্লাহর দরবারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার নামই হলো তাহাজ্জুদ। তাহাজ্জুদ আমাদের জান্নাতে নিয়ে যাবে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রাদিয়াল্লাহু তা’আলা বলেন, রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম ইরশাদ করেন→ হে লোকসকল সালামের প্রসার করো। দুঃস্থ অনাহারীদের কে খাবার খাওয়াঔ। রাতে যখন সবাই ঘুমে বিভোর তখন নামাজ পড়ো। তাহলে শান্তির সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।( ইবনে মাজাহ হাদিস নাম্বারঃ ১০৯৭)

৭. কয়েকটি মূল্যবান শিষ্টাচারঃ কিছু শিষ্টাচারের ফজিলত অনেক বেশি। যেমনঃ হযরত উবাদা ইবনে সামিত রাদিয়াল্লাহু তা’আলা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম ইরশাদ করেন→তোমাদের পক্ষ থেকে 6 টি বিষয়ে নিশ্চয়তা দাও, তাহলে আমি তোমাদের জান্নাতের নিশ্চয়তা দেব। ১. সত্য কথা বলো ২. ওয়াদা পূর্ণ করো ৩. আমানত ফিরিয়ে দাও ৪. লজ্জাস্থানের হেফাজত করো ৫. দৃষ্টি সংযত করো ৬. পাপ কাজ থেকে হাতকে বিরত রাখুন। (মুসনাদে আহমদ হাদিস নাম্বার ২২৮০৯)

৮. এতিমের তত্ত্বাবধানঃ এতিমের তত্ত্বাবধান করা অনেক সওয়াবের কাজ। এটি জান্নাতে যাওয়ার একটি আমল। সাহাল ইবনে সাআদ রাদিআল্লাহু তা’য়ালা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম এর নিজের তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুল একত্র করে বলেন, আমি ও এতিমের তত্ত্বাবধায়ক জান্নাতে এভাবেই থাকবে। অর্থাৎ দুটো আঙ্গুল যেভাবে পাশাপাশি থাকে, এতিমে তত্ত্বাবধানকারী ব্যক্তি রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম এর সঙ্গে জান্নাতে এভাবেই থাকবে। (বুখারি হাদিস নাম্বার ৬০০৫)

৯. রোগীর সেবা করাঃ রোগীর দেখাশোনা করা ও সেবা শুশ্রূষা করা জান্নাতি একটি আমল। হযরত সাউবান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা বলেন, রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম ইরশাদ করেন→ যে ব্যক্তির রোগী দেখতে যায় সে ফিরে আসা পর্যন্ত জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে।( মুসলিম হাদিস নাম্বারঃ ২৫৬৮)

১০. সরলতাঃ সহজ-সরল ব্যক্তি আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। তিনি তাদের প্রতিদান হিসেবে জান্নাত দেবেন। হযরত উসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা বলেন, রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম ইরশাদ করেন →আল্লাহ তাআলা সে ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যে ব্যক্তি সহজ-সরল, ক্রেতা হিসেবে হোক বা বিক্রেতা হিসেবে। বিচারক হিসেবে হোক বা বিচারপ্রার্থী হিসেবে। (নাসায়ী হাদিস নাম্বারঃ ৪৬৯৬)

Trickbd তে অনেকেই পোস্ট কতে চান কিন্তু করতে পারছেন না। আপনারা Ictbn.Com ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে পারেন।এখানে একাউন্ট করলেই author।এখানে প্রতি পোস্টের জন্য ৫-৫০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়।পোস্টের মানের উপর ভিত্তি করে। ICTBN.Com

আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি