আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
যে তিনটি সময়ে আপনার স্ত্রীকে একা ছাড়বেন না।
স্ত্রীর সঙ্গে সুন্দর ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের আপন করে নিতে হবে। স্বামীর কাছ থেকে যখন কোন স্ত্রী ভালোবাসা পাবে তখন সে তার সবটুকু স্বামীর জন্য উজাড় করে দেবে। রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন→ স্বামী-স্ত্রী উভয়ে যখন একে অপরের দিকে ভালোবাসার নজরে তাকাবে, মহান আল্লাহ তাদের দিকে রহমতের নজরে তাকাবেন। রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম আরো ইরশাদ করেন→ কোন মুমিন পুরুষ যেন কোন মুমিন স্ত্রীকে তাচ্ছিল্য ও অবজ্ঞা না করে। তার আচার-আচরণে কোন একটি অপছন্দনীয় হলেও অন্যটি সন্তোষজনক হতে পারে। (সহিহ মুসলিম হাদিস নাম্বারঃ ১৪৬৯, ৬২৭২)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহতা’লা বলেন→ আর তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের তিনি সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। এবং সৃজন করেছেন তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও সহমর্মিতা। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে বহু নিদর্শন রয়েছে।( সূরা আর-রুম আয়াত ২১)
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্প্রীতি ভালোবাসা এবং একে অপরের প্রতি দয়া সবকিছু আল্লাহতালার সৃষ্টি। যার জন্য সারাজীবন একে অপরের সাথে কাটিয়ে দিতে পারে। চিন্তাশীল ব্যক্তিদের জন্য এর মধ্যে নিদর্শন রয়েছে। আর যারা কাফের তারা তো কিছুই বুঝবে না। পৃথিবীর বুকে যে সমস্ত নারী ও পুরুষ শয়তানের চক্রান্তের শিকার হয়েছে তারা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভালোবাসার মুল্য বুঝতে পারে না।
তাই তারা পরকীয়ার মতো জঘন্য পাপের দিকে আকৃষ্ট হয়ে যায় এবং সারাজীবন দুশ্চিন্তা-মুসিবত তাদের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করে। তাদের সংসারের সুখ থাকে না তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাত উভয় অন্ধকার। আর যারা আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় কারী; নারী ও পুরুষ তার স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কার ভালোবাসার মুল্য বুঝতে পারে। এবং সারাটি জীবন ভালোবাসা ও মায়ার বন্ধনে থেকে জীবন অতিবাহিত করে দেয়।
প্রিয় পাঠক আসুন এবার আমরা মূল আলোচনায় ফিরে যাই।স্ত্রীকে তিন অবস্থায় একা ছাড়বেন না। এতে দুজনের মাঝে ভালোবাসার সম্পর্ক দুর্বল হয়ে যায়।
১. অসুস্থ অবস্থায়ঃ স্ত্রী যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাহলে তাকে কখনো একা ছাড়বেন না। তার দেখাশোনা করা, তার যত্ন নেওয়া, তার চিকিৎসা করানো ইত্যাদি আপনার দায়িত্ব। অনেক স্বামী আছে যারা নিজের কাজে ব্যস্ত থাকে। কেউ কেউ আড্ডা দিয়ে সময় অতিবাহিত করে অথচ স্ত্রীর জন্য একটু সময় বের করে প্রয়োজনমতো পাশে থাকেনা। আবার অনেকেই স্ত্রী অসুস্থ হলে মায়ের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
আবার অনেকে এমন আছেন স্ত্রী অসুস্থ হলে ঘরের ছোটখাটো কাজ গুলোও করে না। স্ত্রীর জন্য জমিয়ে রেখে দেয়, যে স্ত্রী সুস্থ হলেই সেইগুলো করবে, এমনটি করা একদম ঠিক নয়। এতে দুজনের মধ্যে থাকা ভালোবাসা দুর্বল হয়ে যায়। স্ত্রী অসুস্থ হলে তার পাশে থাকুন তাদের সেবা করুন, আপনি অসুস্থ হলে আপনার স্ত্রীও আপনার পাশে থাকবে সেবা করবে। এটাই তো একে অপরের প্রতি দায়িত্ব। একজন আদর্শ স্বামী কখনও স্ত্রীকে একা ফেলে রাখতে পারেনা।
২. দুঃখ-কষ্টের সময়ে স্ত্রীকে একা ছাড়বেন নাঃ নারী হোক অথবা পুরুষ! ধনী হোক আর গরিব। প্রত্যেক মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট এসে থাকে। কখনো কারণবশত, আবার কখনো কারণে মন খারাপ হয়ে যায়।দুচিন্তা গ্রাস করে ফেলে। মন ভালো থাকেনা ইত্যাদি। সেই সময় যদি কোন ভালো বন্ধু পাশে থাকে, কিছু ভালো কথা বলে, একটু আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করে, ধৈর্য ধারনের কথা বলে, তাহলে মন হালকা হয়ে যায়।
এমনি ভাবেই স্ত্রী যদি দুঃখ কষ্টের মধ্যে বা দুঃচিন্তার মধ্যে থাকে বা তার মন খারাপ থাকে। তাহলে তার মন ভালো করার জন্য সবচাইতে কাছের বন্ধু হলো নিজের স্বামী। তার সাধ্যমতো ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে স্ত্রী দুঃখ কষ্ট দূর করার চেষ্টা করবে। প্রয়োজন হলে তাকে বাহিরে ঘুরতে নিয়ে যাবে। এই অবস্থায় কখনো একা ছাড়বে না।
৩. সন্তান প্রসবের সময়ঃ সন্তান গর্ভে ধারণ করা এবং তাকে জন্ম দেওয়া হতো কষ্টের তার বর্ণনা একজন নারী দিতে পারে। পুরুষ তা কখনোই বুঝতে পারেনা। সন্তান প্রসবের সময় এত কষ্ট হয় যে একজন নারী যখন ভাবেন এর আগে তার মরণ হলেই ভালো হতো। খুব গভীর কষ্ট সহ্য করেই একজন মা সন্তান জন্ম দেয়। তাই তো মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। প্রিয়পাঠক সেই কষ্টের সময়ে স্বামী যতটা পারবে স্ত্রীর কাছে থাকবে। এতে স্ত্রীর মনোবল বাড়ে।
স্বামী স্ত্রীকে সান্ত্বনা দিয়ে বলবে, আল্লাহকে স্মরণ করো সব ঠিক হয়ে যাবে। এছাড়া একজন স্বামীকে তার স্ত্রীর ব্যাপারে আত্মমর্যাদাশীল হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাতে ধরে ধরে তাদেরকে হেফাজত ও সুপথে পরিচালিত করা। কারণ স্ত্রীরা সৃষ্টিগতভাবে দুর্বল হয়ে থাকে। স্বামীর যেকোনো উদাসীনতায় স্ত্রীরা নিজেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং অপরকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এ কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নারীর ফেতনা হতে খুব যত্নসহকারে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন→ আমার অবর্তমানে পুরুষদের জন্য নারীদের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর কোন ফেতনা রেখে আসেনি।( বুখারি হাদিস নাম্বারঃ৪৭০৬)
তাই প্রত্যেকে স্বামীর উচিত স্ত্রীকে পর্যাপ্ত ভালোবাসা মায়া-মমতা ও দয়ার মাধ্যমে স্ত্রীকে সুপথে পরিচালিত করা। প্রিয়পাঠক বর্তমান সময়ে অনেক স্বামীরা এই কথাগুলো অতো গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু প্রত্যেক স্বামীকে এই কথাগুলো মনে রাখা দরকার। ইনশাআল্লাহ সকলে আমরা মনে রাখবো এবং পালন করব। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের কে যেন সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করেন আমীন।
Trickbd তে অনেকেই পোস্ট কতে চান কিন্তু করতে পারছেন না। আপনারা Ictbn.Com ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে পারেন।এখানে একাউন্ট করলেই author।এখানে প্রতি পোস্টের জন্য ৫-৫০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়।পোস্টের মানের উপর ভিত্তি করে। ICTBN.Com
আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি