আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
৩টি কাজ ছেড়ে দিন চেহারা নূরানি ও সুন্দর হবে
প্রত্যেক মানুষ চায় দীর্ঘদিন তার চেহারা সুন্দর থাকুক এবং তার যৌবন স্ত্রী থাকুক। পূর্বেকার মানুষদের দীর্ঘদিন চেহারা সুন্দর থাকত এবং যৌবন সতেজ থাকতো। ৬০ বছর পার হয়ে গেলেও চুল থাকতো কালো। কিন্তু বর্তমানে পঁচিশ ত্রিশ বছর বয়স হওয়ার পর থেকেই চুল পাকতে শুরু করে এবং চেহারা নষ্ট হতে শুরু করে। দ্রুতগতিতে যৌবনের পতন ঘটছে এখন প্রশ্ন হলো কেন এমন হচ্ছে…?
এর উত্তর হলো এটা হচ্ছে না এটা মানুষ নিজ থেকে করছে। কথাটি শুনতে অবাক লাগতে পারে কিন্তু এটা সত্য। বর্তমান যুগের মানুষের মধ্যে কিছু বদঅভ্যাস এমনভাবে ঢুকে গেছে যে, যার জন্য দ্রুত গতিতে চুল পেকে যাচ্ছে চেহারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং যৌবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আপনি যদি এই বদঅভ্যাসগুলো বর্জন করতে পারেন। তাহলে আগেকার মানুষের মতো না হলেও বর্তমান যুগের মানুষের মধ্যেই রূপ-যৌবন সুন্দর চেহারা দীর্ঘদিন ধরে রাখার বিষয় প্রাধান্য পাবেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই বদঅভ্যাসগুলো কি কি….?
১. অতিরিক্ত খাবার খাওয়াঃ সহবাস করার সময় পুরুষের লিঙ্গ শক্ত হবে তখন, যখন তাতেই ব্লাড সার্কুলেশন ভালো থাকবে। কারণ পুরুষের লিঙ্গে কোন হাড় থাকেনা, এটি শক্ত হয় ব্রেইনের কিছু সিগন্যাল দ্বারা পরিচালিত রক্ত চলাচল দ্রুত হওয়ার মাধ্যমে। কিন্তু অতিরিক্ত খাবারের ফলে আমাদের শরীরে খাবার থেকে প্রয়োজনীয় যত টুকু শক্তি দরকার তা নিয়ে নেয়, বাকিটা শরীরে চর্বি আকারে জমতে থাকে এবং জমতে জমতে একসময় তা ব্লাড সেলে চলে আসে।
অর্থাৎ রক্ত চলাচলের পথে সেই চর্বিগুলো বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যার ফলে আমাদের যেমন স্ট্রোক হয়, হার্ট অ্যাটাক হয় তেমনি আমাদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে ফেলে। কারণ যত বেশি রক্ত চলাচলের পথ পরিষ্কার থাকবে, ততবেশি লিঙ্গ শক্ত হবে এবং সহবাসে স্ত্রীকে প্রকৃত সুখ দিতে পারবেন। শরীরে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকলে হাত,মুখ,পেট এবং উরু জায়গাগুলোতেই বেশি চর্বি জমে থাকে।
ফলে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদময় লাগে এবং দেখতে অসুন্দর লাগে এবং প্রেসার ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত করে। ইসলামে প্রয়োজনের বেশি খাবার খাওয়া অপচয়ের সামিল, আর অপচয়ের ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলা বলেন→ কিন্তু অপচয় করো না। নিশ্চয় আল্লাহ অপচয় কারীদের পছন্দ করেন না।( সূরা আরাফ আয়াত ৩১)
হযরত মিকদাম ইবন মাদিকারাব (রা.) বলেন আমি রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম কে বলতে শুনেছি, পেটের চেয়ে মন্দ কোন পাত্র মানুষ ভরাট করে না। পিঠের দাঁড়া সোজা রাখার মত কয়েকটি লোকমা খাবার এই আদম সন্তানের জন্য যথেষ্ট। আর যদি বেশি খাবার ছাড়া থাকা সম্ভব না হয় তাহলে পেটের এক-তৃতীয়াংশ খাবারের জন্য এক তৃতীয়াংশ পানির জন্য এবং বাকি এক তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য রাখবে। (তিরমিজি হাদিস নাম্বারঃ ২৩৮৩)
এই হাদিসে পরিমিত খাবারের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ অপরিমিত খাবার মানুষকে দুর্বল করে ফেলে। রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম আরো বলেছেনঃ দুনিয়াতে যেসব লোক ভুরিভোজ করে, তারাই হবে কিয়ামতের দিন অধিক ক্ষুদার্থ। (ইবনে মাজাহ হাদিস নাম্বারঃ ৩৩৫১)
তাই খাবার গ্রহণের পূর্বে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিবেন। তাহলে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছে ধীরে ধীরে কমতে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
২.অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়া এবং বাজে তেলে রান্না খাওয়া এগুলো সম্পূর্ণ বর্জন করতে হবে। আর খাবারে বা রান্নায় ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল বা জয়তুনের তেল( অলিভ অয়েল/জলপাই তেল) খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-তোমরা জয়তুনের তেল খায় এবং তা (দেহে) মালিশ করো। কেননা এটি বরকত ও প্রাচুর্যময় গাছের তেল। (তিরমিজি হাদিস নাম্বারঃ ১৮৫১)
৩.অতিরিক্ত রাত্রি জাগরনঃ পূর্বেকার মানুষ এশার নামাজের পর খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে যেতো। এবং শেষ রাতে উঠে তাহাজ্জুদ পড়তো বা ফজরের আগে ঘুম থেকে উঠেতো এবং সময় মতো নামাজ পড়তেন। তারপর সকালের সুন্দর ঠাণ্ডা বাতাসে চলাফেরা করতো কাজকর্ম করতো। সকালের স্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে থাকার শক্তি তাঁরা শরীরের মধ্যে সঞ্চয় করে নিতো।
কিন্তু বর্তমানে অসংখ্য মানুষ রাত্রি বারোটা একটা অনেকে দু তিনটা পর্যন্ত অকারণে জেগে থাকেন। আর সকালে দেরি করে ঘুম থেকে উঠেন। সূর্য ওঠা তারা কবে দেখেছে তা হয়তো তারা ভুলেই গেছেন।তাই দীর্ঘদিন চেহারা সুন্দর রাখতে ও যৌবন ধরে রাখতে ও চুল ঠিক রাখতে চাইলে আজ থেকেই রাতে দেরি করে ঘুমানোর বর্জন করুন।
রাসূল (সাঃ) এশার নামাজের এক-তৃতীয়াংশ রাত পরিমাণ সময়ের মধ্যে নামাজ পড়া পছন্দ করতেন, আর এশার আগে ঘুমানো এবং এশার পর না ঘুমিয়ে গল্প গুজব করা অপছন্দ করতেন। (সহি বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৫৯৯)
মহান আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন →আমি তোমাদের বিশ্রামের জন্য নিদ্রা দিয়েছি, তোমাদের জন্যে রাত্রিকে করেছি আবরণস্বরূপ আর দিনকে বানিয়েছি তোমাদের কাজের জন্য। (সূরা নাবা আয়াত ৯-১১)
তাই আল্লাহর নিয়মকে অনিয়ম বানিয়ে এই দুনিয়াতে কারো পক্ষে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব না। এবং আরও তিনটি কাজ হলোঃ
এক নাম্বারঃ নেশা করা। বর্তমান যুগের অনেক মানুষ ভিটামিনযুক্ত খাবারের চাইতে অখাদ্য-কুখাদ্য বেশি খায়। যেমন সিগারেট, মদ, গাঁজা, বিড়ি ও বিভিন্ন জাতীয় তামাক সেবন করে থাকেন। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রায় 40 শতাংশ মানুষের চেহারার যৌবন নষ্ট হওয়ার কারণ এই সমস্ত নেশাজাতীয় অখাদ্য গুলোর কারণে। এটা অনেকেই বিশ্বাস নাও করতে পারে। কিন্তু গবেষণায় এটি সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
দ্বিতীয় নাম্বারঃ অতিরিক্ত স্মার্টফোন কম্পিউটারে টেলিভিশন ইত্যাদি বেশি দেখার ফলে । এক্ষেত্রে স্মার্টফোনের আলো বেশি ক্ষতিকর হয়ে থাকে, কারণ এটি একজন মানুষের মুখে বা ফেইসের সামনে থাকে, ফলে অতিবেগুনি রশ্মি মানুষের চেহারা ও চোখের অনেক ক্ষতি করে থাকে। বিশেষ করে কম মূল্যের স্মার্টফোন গুলোর স্ক্রিনের Sar value বেশি থাকে যা আমাদের চোখ ও মুখের ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ক্ষতি গুলো হয়তো আপনারা এক’ দুদিনে বা কয়েক বছরেও বুঝতে পারা যায় না। এটির ক্ষতিকারক প্রভাব ধীরে ধীরে হয়ে থাকে।
তিন নাম্বারঃ হস্তমৈথুন বা মাস্টারবেশন করলে। হস্তমৈথুনের ফলে শরীর নিস্তেজ হয়ে যায় এবং দীর্ঘদিন মাস্টারবেশনের ফলে মানুষের চেহারায় উজ্জ্বলতা কমে যায় এবং যৌবন নষ্ট হতে থাকে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই সমস্ত বিষয়ে বোঝে মানার তৌফিক দান করুন আমীন।
আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি