আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
দুটি ভুলে স্ত্রীর নামাজ কখনো কবুল হয় না….?
অনেক নারীরা হরহামেশাই বাইরে যাওয়ার পূর্বে গায়ের সুগন্ধি ব্যবহার করেন। দয়া করে সুগন্ধি ব্যবহারের পূর্বে আর্টিকেলটি একবার পড়ুন। প্রিয় পাঠক আজকে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। আর তা হলো কোন স্ত্রীর নামাজ আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন না। নামাজ হলো মুসলমানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যম হলো নামাজ। নর নারী উভয়ের জন্য নামাজ ফরজ করা হয়েছে। কিন্তু পৃথিবীতে এমন কিছু মুসলিম নারী আছে যাদের নামাজ আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন না।
তো চলুন জেনে নিই কোন ধরনের মুসলিম নারীর নামাজ কবুল করা হয় না। তা আমরা হাদিসের আলোকে জেনে নিব ইনশাআল্লাহ। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন→ সেই নারীর নামাজ কবুল করা হয় না, যে তার স্বামী ছাড়া অন্য কারো জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করে এবং এই গুনাহের কাজ করার পর সেই ব্যক্তির নাপাক হয়ে যায় এবং সে ততক্ষণ পর্যন্ত নাপাক থাকবে যতক্ষণ না সে গোসল করে পবিত্র হয় এবং সে পর্যন্ত তার নামাজ কবুল হবে না।( সিলসিলাতুল সহি হাদিস নং ১০৩)
তাহলে প্রিয় পাঠক এই হাদিস দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণ হয় যে স্বামী ছাড়া অন্য কোন পর পুরুষের জন্য পারফিউম ব্যবহার করা যাবে না। আর ব্যবহার করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর নামাজ কবুল করবেন না। এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে বাইরে যাওয়ার পূর্বেই পারফিউম ব্যবহার না করাই ভাল উদ্যোগ যদি স্বামী ও হয়ে থাকে তাও বাইরে বের হওয়ার সময় পারফিউম ব্যবহার করা যাবে না। পারফিউম ব্যবহার করা যেতে পারে সন্ধ্যা বা রাতের প্রথমাংশে। কেননা তখন ঘর থেকে বের হওয়ার কোন সুযোগ থাকে না। তখন স্বামী-স্ত্রী একান্তে সময় কাটানোর পূর্বে পারফিউম ব্যবহার করা যেতে পারে সেক্ষেত্রে জায়েজ রয়েছে।
দ্বিতীয়তঃ এমন স্ত্রী যার স্বামী তার উপর বৈধভাবে রাগ করে আছে। রাগ করার মানে হচ্ছে স্ত্রী কোন অন্যায় করেছেন যার শরীয়তের দৃষ্টিতে ও ঠিক নয়। এরূপ রাগ করে থাকা স্ত্রীর ওপর ফেরেশতারাও লানত দেয়। স্ত্রী স্বামীকে সর্বদা খুশি রাখবে তার ভালো কথা ও কাজে আনুগত্য করবে, তার সব কথা মেনে চলবে, কোন বিষয়ে রাগ হলে তা অতি সত্ত্বর মিটিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবে। সব কিছুতেই তাকে সন্তুষ্ট রাখবে এটাই হলো একজন আদর্শ স্ত্রীর ধর্ম।
কিন্তু এক্ষেত্রে স্বামীকেও মনে রাখতে হবে সে যদি অন্যায় ভাবে স্ত্রীর উপর রাগ করে থাকে অথবা স্ত্রীর সাথে সবসময় খারাপ আচরণ করে আল্লাহর দরবারে তার জন্য ক্ষমা নেই। তার উপর আল্লাহ তায়ালা লানত থাকে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন→ তোমাদের সেই স্ত্রীরাও জান্নাতি হবে, যে স্ত্রী অধিক প্রাণয়ীনি, সন্তান্দাত্রী বারবার ভুল করেও স্বামীর নিকট আত্মসমর্পণ করিনী।
যার স্বামী রাগ করলে তার নিকট এসে হাতে রেখে বলে আপনি রাজি না হওয়া পর্যন্ত আমি ঘুমাবো না। কিন্তু এমন বহু মহিলা আছেন, যারা তাদের স্বামীর কাছ থেকে যথাযথ অধিকার প্রাপ্ত হওয়ার পরেও ছোটখাটো তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে নিজেদের ভিতর রাগ পুষে রাখে এবং দাম্পত্য জীবনকে বিষাক্ত করে। সর্বদা স্বামী এবং স্ত্রীকে এই কথা মাথায় রাখতে হবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সব জানেন এবং দেখেন।
তাই স্ত্রীর সৎ আচরণের সুযোগ নিয়ে স্বামী অন্যায় করলে আল্লাহ রব্বুল আলামীনের দরবারে সে কখনোই ক্ষমা পাবে না। একইভাবে সিধে সাধা সহজ-সরল স্বামীর অন্তরে কষ্ট দিয়ে গেলে সেই স্ত্রী ও আল্লাহ রব্বুল আলামীনের তরফ থেকে কখনোই ক্ষমা পাবে না। আল্লাহ আমাদের দাম্পত্য জীবনগুলোকে সুন্দর করে দিক আমিন।
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি