Site icon Trickbd.com

আপনি যদি এই তিনটি আমল করতে পারেন তাহলে সাথে জান্নাতে যেতে পারবেন।

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

৩ টি আমলে সাথে সাথে জান্নাত

রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম তিনি বলেছেন →অল্প আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ট। সুতরাং জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে ডান হাতে আমলনামা নিয়ে জান্নাতে যেতে হলে একনিষ্ঠতার সঙ্গে অল্প আমলের বিকল্প নেই। হাদিসে এমন তিনটি আমলের ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, যারা সহজে তিনটি আমল করবে তাদের জান্নাতে যাওয়া একেবারেই সহজ। তাদের জন্য বাধা হয়ে থাকবে শুধুই মৃত্যু। আর তা হলোঃ

এক নাম্বারঃ সকাল-সন্ধ্যায় নিয়মিত “সাইয়েদুল ইস্তেগফার”পড়া। সাইয়েদুল ইস্তেগফার আল্লাহর এত চমৎকার প্রশংসায় ভরপুর যে, যদি কেউ নিজের গুনাহ মাফের জন্য অনুতপ্ত হৃদয়ে আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চায় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। হাদীসে এসেছে— যদি কেউ আন্তরিক বিশ্বাসের সঙ্গেই সকাল-সন্ধ্যায় সাইদুল ইস্তেগফার পারে। আর সেদিন সে মারা যায়, আল্লাহর ইচ্ছায় সে জান্নাতে যাবে। সুবাহানাল্লাহ। (বুখারি)

সাইয়েদুল ইস্তেগফার হলোঃ

অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া কোন প্রভু নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার বান্দা। আমি সাধ্যমত তোমার কাছে দেওয়া ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতিগুলো পালনে সচেষ্ট আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে তোমার কাছ থেকে আশ্রয় চাই। আমাকে যে নেয়ামত দান করেছ তা স্বীকার করছি এবং আমি আমার পাপগুলো স্বীকার করছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কেননা তুমি ছাড়া পাপসমূহ ক্ষমা করার আর কেউ নেই। ( বুখারী মিশকাত হাদিস নাম্বারঃ ২৩৩৫ দো’আ সমূহ অধ্যায় ৯, ইস্তিগফার ও তওবা অনুচ্ছেদ ৪)

দুই নাম্বারঃ প্রত্যেকদিন সূরা মূলক একবার পড়া… সূরা মূলক পবিত্র কুরআনুল কারীমের ২৯ তম পারার প্রথম সূরা এটি। এ সূরাটি প্রতিদিন একবার পড়লেই মুমিনের জান্নাত সুনিশ্চিত। দৈনন্দিন আমলের সূরা গুলোর মধ্যে এটি একটি। যা প্রত্যেকদিন এশার নামাজের পর পড়া হয়। এ সূরায় মহান আল্লাহর স্মরণ ও তার প্রতি ভয় সৃষ্টি হয় এবং নেক কাজের আগ্রহ বেড়ে যায়। সূরা মূলক পড়ার মাধ্যমে নামাজ আদায় করলে দিনব্যাপী অগণিত খারাপ কাজের মাঝে একটি ভালো কাজ করার অন্যরকম অনুভূতি পাওয়া যায়। সূরাটি নিয়মিত পাঠকারীকে কবরের আজাব থেকে সুরক্ষা করবেন আল্লাহ তা’আলা। কেয়ামতের দিন সূরা মুলক তার তেলাওয়াতকারীকে সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যাবে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন→পবিত্র কোরআনে এমন একটি সূরা রয়েছে যার মধ্যে ত্রিশটা আয়াত রয়েছে যেটা একজন ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করবে এবং তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে আর সেটি হলো তাবারাকাল্লাযি বিয়াদিহিল মুলকু অর্থাৎ (সূরা মুলক)। ( সুনানে আত তিরমিজি হাদিস নাম্বারঃ ২৮৯১, সুনানে আবু দাউদ হাদিস নাম্বারঃ ১৪০০, ইবনে মাজাহ হাদিস নাম্বারঃ ৩৭৮৬) রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম সূরা মুলক তেলাওয়াত না করে কোনদিন ঘুমাতেন না। (সুনানে আত তিরমিজি হাদিস নাম্বারঃ ২৮৯২, মুসনাদে আহমদ হাদিস নাম্বারঃ ১৪২৯)।

তিন নাম্বারঃ প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করা। প্রত্যেক ফরয নামাযের পর পবিত্র কুরআনুল কারীমের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আয়াত আয়তন কুরসি পাঠ করা। এই আয়াতে বান্দা তাওহীদের শ্রেষ্ঠ ঘটনাগুলো তেলাওয়াত করে থাকে। যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করে ওই ব্যক্তি ও জান্নাতের মাঝে এতোটুকু দূরত্ব থাকে যে সে যেন শুধুমাত্র মৃত্যুবরণ করছে না বলেই জান্নাতের নেয়ামত গুলো উপভোগ করতে পারছে না।

সুতরাং প্রত্যেক মুমিন বান্দার উচিত হবে সকাল-সন্ধ্যায় সাইয়েদুল ইস্তেগফার পড়া। দিনের যেকোনো সময় অথবা রাতে ঘুমানোর পূর্বে সূরা মুলক পাঠ করা বা এশার নামাজের পর সূরা মূল পাঠ করা এবং প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করা। হযরত আবূ উমামাহ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন →যদি কেউ আয়াতুল কুরসি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর পাঠ করলে তাহলে তার মৃত্যুই তার জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য বাধা হয়ে আছে অর্থাৎ মৃত্যুর সাথে সাথেই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।( সহীহুল জামে হাদিস নাম্বারঃ ৬৪৬৪)

একদিন উবাই ইবনে কাবকে নবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন→ পবিত্র কোরআনের মধ্যে কোন আয়াতটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ…? তখন তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল তা ভালো জানেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কয়েকবার জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আয়াতুল কুরসি। অতঃপর রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম তাকে বলেন হে আবুল মানজার তোমাকে এই উত্তম জ্ঞানের জন্য ধন্যবাদ। সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ, এর একটি জিহ্বা ও দুটি ঠোঁট রয়েছে যা দিয়ে সে আরশের অধিকারীর পবিত্রতা বর্ণনা করে (সহিঃ মুসলিম হাদিস নাম্বারঃ ৮১০)

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি