Site icon Trickbd.com

আপনি এই ৩টি গুনাহ আর কখনো করবেন না। এই তিনি গুনাহের কারণে আপনার জীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

আপনি এই ৩টি গুনাহ আর কখনো করবেন না।

তিনটি পাপ কখনোই করবেন না। প্রিয় পাঠক তিনটি গুনাহ যদি কখনো আপনি করেন তাহলে অতিদ্রুত আপনি মারা যাবেন এবং আপনি ধ্বংস হয়ে যাবেন। কারণ বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন মানুষ যখন পাপ করে তখন হতাশা মানুষের জীবন টাকে গ্রাস করে ফেলে। তখন তারা প্রচন্ড দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়, এভাবে তারা তিলে ধ্বংস হয়ে যায়, জীবন নষ্ট হয়ে যায় এবং আল্লাহ পক্ষ থেকে তাদের জন্য গজব নেমে আসে। প্রযুক্তির এই জামানায় বর্তমান যুগে গুনাহ করা অনেক সহজ। গুনাহ করার জন্য এখন কারো ঘর থেকে বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

ঘরে বসেই শুয়ে শুয়ে গুনাহ করা যায়। প্রযুক্তির এই জামানায় এখন বেড রুমের ভিতরে প্রবেশ করেছে গুনাহ। এজন্য নবী (সাঃ) বলেছেন যারা বেশি বেশি গুনাহ করে তাদের উপর আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন গজল চাপিয়ে দেন। সূরা আর-রূমে আল্লাহতা’লা বলেন →এ জলে-স্থলে যা কিছু হয় সেগুলো মানুষের কৃতকর্মের ফল। (সূরা রুম আয়াত ৪১)

আজকে এই পৃথিবীতে নানা ধরনের মহামারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগব্যাধি এগুলো সব আমাদের কৃতকর্মের ফল। এগুলো ছিল না এগুলো আমরা আমাদের কর্মফল স্বরূপই নিজেরাই ডেকে এনেছি। আমরা আল্লাহ তালার গোলামী করিনা। ইবাদত-বন্দেগিতে আমরা মনোনিবেশ করি না। আল্লাহ এগুলো আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে আমাদেরকে শাস্তি দিচ্ছেন, আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছেন।

আল্লাহ পরীক্ষা করছেন যে আমরা যেন তার নিকট ফিরে যাই। যদি আমরা খাস দিলে তওবা করি তাহলে হয়তো আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আজাব গজব থেকে রক্ষা করবেন। সুতরাং প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা এখনো সময় আছে আল্লাহর নিকট ফিরে যাবার। এখনো সময় আছে তওবা করার।

আর দ্বিতীয়তঃ গুনাহের ফলে রিজিকের সংকট দেখা দেয়।ইবনে মাজাহ শরীফ এর ৪০২০ নাম্বার হাদিসপ বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন→ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় না দোয়া ব্যতীত। শুধুমাত্র দোয়ার মাধ্যমে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে। এর জন্য আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে দোয়া করবেন এবং সবসময়ই বেশি বেশি দান-সাদকা এবং ইস্তেগফার পড়ার চেষ্টা করবেন।

যখন মানুষ বেশি বিপদে পড়ে তখন মানুষ যদি বেশি বেশি দান-সাদকা করে তাহলে আল্লাহ তা’আলা এর ফলে তার হায়াত বৃদ্ধি করে দেন তার বিপদ আপদ দূর করে দেন। সমস্ত বালা-মুসিবত থেকে তাকে হেফাজত করেন। এজন্যই যারা বেশি বেশি গুনাহ করে তাদের রিজিকের সংকট দেখা দেয়।

তৃতীয়তঃ লজ্জা হলো ঈমানের অঙ্গ। যারা বেশি বেশি গুনাহ করে তাদের লজ্জা চলে যায় আর যাদের লজ্জা চলে যায় তাদের ঈমানও চলে যায়। আর ঈমান হারা মানুষের মতো বিপদগ্রস্ত মানুষের মতো আর কে হতে পারে…? এ কারণে একজন ঈমান হারা ব্যক্তি যা খুশি তাই করতে পারে। তাদের মৃত্যু হতে দেরি কিন্তু জাহান্নামে যেতে দেরি হয়না। বড় গুনাহেট মধ্যে অন্যতম একটি গুনাহ হচ্ছে আল্লাহর সাথে শিরক করা।

সূরা নিসার ১১৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তা’আলা বলেন →আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সকল গুনাহ মাফ করে দিতে পারেন কিন্তু শির্কের গুনাহ আল্লাহ তায়ালা কখনোই ক্ষমা করেন না। তারপর পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান দের আল্লাহ কঠিন শাস্তি দেবেন। কারণ মহান আল্লাহ সুবাহানাতালা বলেছেন হে আমার বান্দারা তোমার রব ফয় করে দিয়েছে যে আল্লাহ ছাড়া আর কারো উপাসনা করা যাবে না। তুমি তোমার পিতা মাতার খেদমত করে যাও। (সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত ২৩)

অথচ আজকে আমার পিতা-মাতাকে কষ্ট দিয়ে থাকি, যেখানে আল্লাহ তা’আলা তাঁর ইবাদতের পরে পিতা মাতার খেদমত করার কথা বলেছেন, সেখানে আমরা পিতা-মাতাকে কষ্ট দিয়ে থাকি। অথচ আল্লাহ তালা বলেছেন আমার ইবাদতের পরেই পিতা-মাতাকে সন্তুষ্ট করবে। তাহলে তোমার কোনো চিন্তা নেই আমি আল্লাহ বিনা হিসাবে তোমাকে জান্নাত দিয়ে দেবো। সুবাহানাল্লাহ। তারপরে গুনাহ হচ্ছে রাসূল সাল্লাহু সালাম এর সাথে বেয়াদবি করা।

মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন→ তোমরা কখনো আমার রাসূলের সাথে বেয়াদবি করো না। অথচ আজকাল অনেক নাস্তিকরাই আমাদের প্রিয় নবীজিকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে থাকেন। এমনকি আমাদের নবীকে নিয়ে তারা বিভিন্ন রকমের আজেবাজে মন্তব্য করে বেড়ায় যারা এগুলো করে থাকে আল্লাহ তাদেরকে কঠিন থেকে কঠিন শাস্তি দিবেন। তারা দুনিয়াতেও শাস্তি পাবে এবং তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির ব্যবস্থা।

অর্থাৎ তারা দুনিয়া ও আখিরাতে উভয় জায়গায় শাস্তির মুখোমুখি হবে। এজন্য কখনোই এগুলো করা যাবে না। এছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি চায় তার রিজিক বৃদ্ধি করা হোক এবং আয়ু বৃদ্ধি করা হোক সে যেন তাঁর আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে। (সহি বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৫৯৮৫, মুসলিম অধ্যায়ঃ কিতাবুল আদাব)

মহানবী সাল্লাহু সাল্লাম আরো বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রেখো (সহীহুল জামে হাদিস নাম্বারঃ ১০৮)

তিনি আরো বলেন →তোমরা আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখ যদিও তা সালাম দিয়ে হয় (সহীহুল জামে হাদিস নাম্বারঃ ২৮৩৮)

হযরত জুবায়ের ইবনে মৎইম রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম কে বলতে শুনেছি→ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (সহি বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৫৫৫৮)

তাই উক্ত বিষয়গুলো যদি মানুষ বুঝতে পারে এবং সেই অনুযায়ী যদি কোন দান করতে পারে তাহলে তার আয়ু বৃদ্ধি করা হবে আর তা না করলে সে দ্রুত দুনিয়া থেকে বিদায় নেবে এবং পরকালে আল্লাহ তাদের কঠিন শাস্তি দিবেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে যেন এই কঠিন গুনাহগুলো থেকে যেন বেঁচে থাকার তৌফিক দান করেন আমীন।

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি

Exit mobile version