Site icon Trickbd.com

কোন স্ত্রীর নামাজ কবুল হয় না। আসুন সবাই জেনে নেই।

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

কোন স্ত্রীর নামাজ কবুল করেন না।

আজকে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ ।কোন স্ত্রীর নামাজ আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন না….? নামাজ হলো মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম এর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যম হলো নামাজ। নর-নারী উভয়ের জন্যই নামাজ ফরজ করা হয়েছে। কিন্তু পৃথিবীতে এমন কিছু মুসলিম নারী আছেন, যাদের নামাজ আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন না। তো চলুন জেনে নেই কোন ধরনের মুসলিম নারীর নামাজ আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন না, হাদিসের আলোকে আজকে আমরা জেনে নেব ইনশাআল্লাহ।

নবী করিম সল্লালাহ সাল্লাম ইরশাদ করেন, সেই মহিলার কোন নামাজ কবুল হয় না যে তার স্বামী ছাড়া অন্য কারো জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করে এবং যতক্ষণ না সে নাপাক ব্যক্তির মতো গোসল হরি পবিত্র হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তার নামাজ কবুল হবে না।( সিলসিলাতুল সহিহ হাদিস নাম্বারঃ ১০৩)

তাহলে এই হাদীস দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয়, যে স্বামী ছাড়া অন্য কোন পর পুরুষের জন্য পারফিউম ব্যবহার করা যাবে না। আর ব্যবহার করলে আল্লাহ পাক তার নামায কবুল করবেন না। আবার অনেক নারী আছেন যারা শখের বশেই নেলপলিশ ব্যবহার করে, কিন্তু তারা অধিকাংশই খেয়াল করেন না যে এটি ব্যবহারের কারণে ওযু করার সময় নখ এবং নখের চারপাশের লোমকূপে পৌঁছতে পারে না। এর ফলে ওই নারীর গোসল ফরয হলেও সে ফরজ গোসল করা সত্ত্বেও সে নাপাক থেকে যাবে।

তাই অজু এবং গোসলের ফরজ অংশে পানি না পৌঁছানোর কারণে সেই নারীর ফরজ গোসল আদায় হয় না এবং সে ওযু করলে ওযু হয় না। আর ওযু না হলে নামাজ হবে না। হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তির ওজু না করে নিলে এবং বিনা অজুতে নামাজ পড়লে নামাজ কবুল হবে না।( সহিহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ১৩৫ সহিঃ মুসলিম হাদিস নাম্বারঃ ২২৫)

তবে নারীদের হায়েজ নেফাজ চলাকালীন সময়ে তারা নেইলপলিশ ব্যবহার করতে পারবেন। এবং হায়েজ উত্তীর্ণ সময়ের পর যখন ফরজ গোসল করে পবিত্র হবে তার আগেই ( সেই নেইল পলিশ) তুলে ফেলতে হবে। আবার সেই নারীর নামাজ কবুল হয় না যে নারীর উপর তার স্বামী রাগ করে আছে। স্ত্রী স্বামীকে সর্বদা খোশ রাখবে। তাঁর ভালো কথা ও কাজে আনুগত্য করবে। তার সব কথা মেনে চলবে শারীরিকভাবে স্বামীকে সুখ দিয়ে তাকে সর্বদা তৃপ্ত রাখবে কোন বিষয়ে রাগ হলে তা সত্বর মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে।

সব কিছুতেই তাকে সন্তুষ্ট রাখবে এটাই হলো একজন আদর্শ নারীর কর্তব্য। মহানবীর সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন →তোমাদের সেই স্ত্রীরাও জান্নাতী হবে যে স্ত্রী অধিক প্রণয়িনী, সন্তানদাত্রী, বারবার ভুল করে বারবার স্বামীর নিকট আত্মসমর্পণ করেনী। যার স্বামী রাগ করলে সে তার নিকট এসে হাত রেখে বলে আপনি রাজি না হওয়া পর্যন্ত আমি ঘুমাবোনা। (সিলসিলাতুল সহিহ হাদিস নাম্বারঃ ২৮৭)

কিন্তু এমন বহু মহিলা আছেন, যারা তাদের স্বামীর খেয়ে পড়েও স্বামীর এমন রাগ রোষকে পরোয়া করে না। নারী স্বাধীনতার পক্ষপতিনর স্বামীর সংসারে ও পরম স্বাধীনতার সুখ ভোগ করতে গিয়ে স্বামীকে নারাজ রাখে।

ফলে স্বামী নারাজ হওয়ায় এবং সেই স্ত্রীর শয্যাসঙ্গী স্বামীকে খুশি করার আগেই নামাজ পড়লে নামাজ কবুল হবে না। কারণ হুকূকুল “ইবাদ” আদায় না করা পর্যন্ত মহান আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদের প্রতি সন্তুষ্ট হন না। যার প্রতি অন্যায় করা হয় তার নিকট আগে ক্ষমা পেলে তবেই মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। নচেৎ করেন না।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাম বলেছেন→ নফল রোজা পালনকারী নিজের উপর কর্তৃত্বশীল। চাইলে সে রোজা পূর্ণ করতে পারে আবার চাইলেই সে ভেঙ্গে ফেলতে পারে। ( সহীহুল জামে হাদিস নাম্বারঃ ৩৮৫৪)

যে ব্যাক্তি শাওয়ালের ছয় রোজা রেখেছো সে যদি রোজাটি ভেঙ্গে ফেলতে চায়, তবে তা ভেঙ্গে ফেলতে পারে। ভেঙ্গে ফেলাটা হতে পারে আহার করার মাধ্যমে, কোনো কিছু পান করার মাধ্যমে, সহবাসের মাধ্যমে বা অন্য কোনোভাবে হতে পারে। এ সময় নারী যদি স্বামীর বিনা অনুমতিতে রোজা রেখে থাকেন তাহলে স্বামীর অধিকার রয়েছে তাকে বিছানায় ঢাকার এবং স্বামীর ডাকে সাড়া দেওয়া তার জন্য অনিবার্য।

আর স্ত্রী যদি অনুমতি নিয়ে রোজা রেখে থাকে তাহলে স্ত্রীর রোজা নষ্ট করার অধিকার স্বামীর নেই। তবে স্বামী যদি সেটা চান তাহলে স্ত্রীর জন্য উত্তম হলো স্বামীর আহ্বানে সারা দেওয়া। শরীয়তের বিধান অনুযায়ী স্বামীর অনুমতি ব্যতীত স্ত্রী জন্য নফল রোজা রাখা, নফল নামাজ পড়া, কোরআন তেলাওয়াত করা নিষেধ। (সূত্র নাজমুল ফাতওয়া ৫/৩০৭)

হযরত আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আরো বলেছেনঃ আমি যদি কাউকে কারো জন্য সিজদা করার আদেশ করতাম, তাহলে নারীকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামীকে সিজদা করে। (সূত্র তিরমিজি হাদিস নাম্বারঃ ১১৫৯)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আরো বলেছেনঃ স্বামীর (যৌক্তিক) আাদেশ মেনে চলা স্ত্রীর কর্তব্য।( ইবনে মাজাহ হাদিস নাম্বারঃ ১৮৫৩)

এখানে একটা বিষয় প্রত্যেক নারীদের মনে রাখা দরকার, সহবাসের জন্য পুরুষের শারীরিক শক্তির দরকার হয়, পক্ষান্তরে নারীর তা দরকার হয়না। কোনো পুরুষ চাইলেই সহবাস করতে পারে না, যতক্ষণ না তাঁর শারীরিক শক্তি মজুত থাকে। সেজন্য হাদিসে নারীদের প্রতি তাদের স্বামীদের ডাকে সাড়া দেওয়া প্রতি জোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই প্রিয় বোনেরা আপনাদের জান্নাত যাওয়ার পথ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অনেক সহজ করেছেন। তাই একটু ধৈর্য ধরে আমলগুলো করে যান এবং স্বামীকে সন্তুষ্ট রাখুন। স্বামীর যৌক্তিক বিষয়গুলো মেনে চললে ইনশাআল্লাহ আপনি জান্নাতী হবেন।

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি