আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

বাথরুমের ভেতর ভুলেও ৫ টি কাজ করবেন না।

গোসলের সময় বা বাথরুমে প্রবেশের সময় এই পাঁচটি ভুল কখনোই করবেন না । যদি আপনি পাঁচটি ভুল করেন তাহলে ভয়ঙ্কর বিপদ হতে পারে। প্রিয় পাঠক আর্টিকেলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথমত যে ভুলটি করবেন না সেটি হলোঃ আমাদের দেশে অনেকেই বাথরুমে ঢুকার পর গুন গুন করে গান গজল বা কথা বলার অভ্যাস রয়েছে এই কাজটি একদম করবেন না। আপনার গোসল ফরজ হলে সেগুলো মেনে গোসল করবেন আর গোসল ফরজ না হলে গোসলের সুন্নত গুলো মেনে তারপর গোসল সম্পন্ন করবেন এবং বাথরুমে ঢুকে গোসলের সময় ওযু করার সময় সে ক্ষেত্রে আপনি বিসমিল্লাহ উচ্চারণ করে বা আওয়াজ করে পড়বেন না। এটি মনে মনে পড়তে থাকবেন। কারণ বাথরুমে প্রবেশের দোয়া বা জিকির করা রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম এর নিষেধ রয়েছে। (সুনানে আবু দাউদ হাদিস নম্বর ১৮)

দ্বিতীয় ভুল হলোঃ যখন গোসল করতে ঢুকলাম তখন এই দোয়াটি অবশ্যই পাঠ করবেন। কোনভাবেই এটি ভুলে যাওয়া চলবে না। দোয়াটি হলোঃ বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবায়িছ। অর্থাৎ আল্লাহর নামে শুরু করছি হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছেই নর-নারী জ্বিন শয়তানের অনিষ্ট থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাই। (মুসলিম হাদিস নাম্বারঃ ৩৭৫)

এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে এই দোয়াটি তো টয়লেটে ঢোকার সময় পড়তে হয়। কিন্তু গোসল করতে গেলে এই দোয়াটি আমরা কেন পড়বো…? এর কারণ হলো আমাদের দেশে অধিকাংশ জায়গায় গোসলখানা এবং টয়লেট একসাথে থাকে। এই জন্য যাদের টয়লেট এবং গোসলখানা একসঙ্গে এটাচ করার থাকে, তারা অবশ্যই বাথরুমে ঢুকার সময় এ দোয়াটি পড়বেন। কিন্তু এই দোয়াটি পাঠ করলে কি হয়…?

আমাদের প্রিয় নবী হযরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন→ জ্বিনেরা টয়লেটের মধ্যেই, ময়লার মধ্যে বা দুর্গন্ধযুক্ত জায়গায় সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই তোমরা যখন এই দোয়াটি পাঠ করবে তখন খারাপ জ্বিন থেকে আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে হেফাজত করবেন এবং শয়তানের চোখে একটা দেওয়াল বা পর্দা তৈরি করে দিবেন, যাতে জ্বিন শয়তান আমাদের দেহ অবয়ব সে দেখতে না পায়। (সহিহ বুখারি হাদিস নাম্বার ১৪২)

আর যেহেতু আমরা আল্লাহ তায়ালা আর কাছে দোয়াটির মাধ্যমে আশ্রয় চেয়েছি সুতরাং এই দোয়াটি পড়লে গোসলখানায় থাকা দুষ্ট জিন শয়তান আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না এবং আপনার যদি গোসলখানার টয়লেটে প্রস্রাব পায়খানা করার প্রয়োজন হয়, তখন শয়তান ও দুষ্টু জিনেরা আপনাকে দেখতে পারবেনা।

তিন নাম্বার হলোঃ যে বাড়িতে গোসলখানা ও টয়লেট একসাথে থাকে সে টয়লেট বা গোসলখানাতে কোরআনের কোন আয়াত বা হাদীস নিয়ে প্রবেশ করবেন না। যেমনঃ আপনার লকেটে যদি আল্লাহর নাম থাকে সুতরাং লকেট নিয়ে আপনি গোসলখানায় প্রবেশ করবেন না। এ জাতীয় আল্লাহু এবং মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম এর নাম সমূহের সমন্বিত লকেট পরার ব্যাপারেও আলেম-উলামাদের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

এছাড়া আপনার আংটিতে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের যদি নাম থেকে থাকে তাহলে ঐ আংটি নিয়ে আপনি টয়লেটে ঢুকবেন না। যে গোসলখানার টয়লেট একসাথে রয়েছে সেখানে তো অবশ্যই ঢুকবেন না। তবে হ্যাঁ যদি এমন গোসলখানা হয় যেখানে কোনো টয়লেট নেই শুধুই গোসলখানা সেখানে চাইলে আপনি আংটি, লকেট নিয়ে ঢুকতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা হবে না।

তবে সেটি না করাই উত্তম, কারণ হয়তো গোসলের সময় সেই লকেট বা আংটি হাত থেকে পড়ে গিয়ে আপনার পায়ে স্পর্শ বা লেগে যেতে পারে, এতে আপনার গুনাহগার হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সেক্ষেত্রে প্রথমত এই গুলো ব্যবহার করা উচিত না এবং দ্বিতীয়ত ব্যবহার করলে সেগুলো নিয়ে বাথরুমে প্রবেশ করবেন না।

চার নাম্বার হলোঃ উলঙ্গ হয়ে গোসল করবেন না। উলঙ্গ হয়ে গোসল করলে এর ফলে যে বিপত্তি ঘটতে পারে সেটি হলো উলঙ্গ হয়ে গোসল করলে লজ্জা কমে যায়। আর যার লজ্জা কমে যায় তারা আস্তে আস্তে ঈমান দুর্বল হয়ে যায় এবং সে ব্যক্তির চারিত্রিক নুর কমে যায়। ফলে যেকোনো গুনাহে অতি তাড়াতাড়ি লিপ্ত হয়ে যেতে পারে। এতে করে পরবর্তীতে সে গুনাহকে ভয় করে না। এমনকি বেইমান হারা হয়ে মৃত্যুবরণ করার সম্ভাবনা থাকে।এই জন্য কখনোই উলঙ্গ হয়ে গোসল করবেন না।

পঞ্চম নাম্বার হলোঃ টয়লেটের ভিতরে ঢুকে কোরআন তেলাওয়াত বা জিকির করবেন না। যে বাড়িতে টয়লেট এবং গোসলখানার একসঙ্গে। এই গোসলখানার মধ্যে ঢুকে কখনো জিকির করবেন না। এমনিতে তো টয়লেটে ভিতরে ঢুকে কোরআন তেলাওয়াত বা জিকির করা নাজায়েজ। এখন অনেকে বলতে পারেন যে গোসল খানার ভিতর টয়লেট নেই, সেখানে কি আমরা জিকির করতে পারব কিনা….?

এর উত্তর হলো কখনোই না। কারণ রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম এই কাজগুলো কখনো করেননি। তাই আপনিও করবেন না। মনে রাখতে হবে আমরা মুসলমান জাতি, তাই আমরা চলবো আল্লাহর হুকুমে ও নবীর আদর্শ তথা রাসুলের সুন্নত মোতাবেক। যদি আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাহু সালাম এর সুন্নত মোতাবেক জীবন পরিচালিত করতে পারি, তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনারা আমার কোন বিপদ নেই।

আর যদি বিপদ এসেও থাকে তাহলে সে বিপদ হতে পারে আপনার জন্য পরীক্ষাস্বরূপ এবং সেই বিপদের পরে অবশ্যই আপনার জন্য আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে সাহায্য আসবে কিংবা সেই বিপদের উসিলায় আপনার গুনাহসমূহের কাফফারা হয়ে যাবে এবং ধৈর্যশীলদের জন্যই রয়েছে জান্নাতের সুসংবাদ।

আল্লাহ তায়ালা বলেন →আল্লাহ ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন। অতএব ধৈর্যশীল ও বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দিন, যাদের অন্তরে আল্লাহর নাম স্মরণ করা হলেই তাঁরা ভীত হয় এবং যারা তাদের বিপদ আপদে ধৈর্যধারণ করে এবং যারা নামায কায়েম করে এবং আমি যা দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে।(সূরা হাজ্জ আয়াত ৩৪-৩৫)

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি

3 thoughts on "বাথরুমের ভেতর ভুলেও ৫ টি কাজ করবেন না। এতে আপনার বিপদ হতে পারে।"

  1. Rakib Author says:
    কি টাইটেল রে ?
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      ?

Leave a Reply