আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আজ আমি আপনাদের সাথে রিসালাত এবং নবী-রাসুল সম্পকে কিছু কথা আলোচনা করব যেটা আমি পোস্টের টাইটেলেই বলে দিয়েছি । আশা করি সকলে আমার আজকের এই পোস্টটি পড়বেন । ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন ।

আমার পোস্টের বিষয়সমূহ :-

১। রিসালাত ;
২। নবি-রাসুলের সংখ্যা ;
৩। নবি-রাসুলের পাথক্য ;
৪। রিসালাতের তাৎপয ।

তো এই সকল বিষয় নিয়েই আমার আজকের পোস্ট । এই বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো ।


১। রিসালাত :- রিসালাত শব্দের অথ সংবাদ বহন,খবর বা চিঠি পৌঁছানোকে রিসালাত । আল্লাহ তায়ালার বাণীকে মানুষের নিকট পৌঁছানোকে রিসালাত বলে । আর এই বাণী পৌঁছানোর কাজ করেছেন তাঁরা হলো নবি-রাসুল । আর রিসালাত ও নবি-রাসুলের উপর বিশ্বাস করা ফরজ বা অবশ্যক ।

২। নবি-রাসুলের সংখ্যা :- আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির হিদায়াতের জন্য যুগে যুগে নবি রাসুল পাঠিয়েছেন । পবিত্র কুরআন মজিদে ২৫ জন নবি রাসুলের নাম উল্লেখ আছে । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাদের সংখ্যা লক্ষাধিক । একটি হাদিসে হযরত আবুজর গিফারি (রা) বলেন,”একবার আমি জিজ্ঞাসা করলাম,হে আল্লাহর রাসুল ! নবিগণের সংখ্যা কত? উত্তরে মহানবী (স) বলেছেন,এক লক্ষ চব্বিশ হাজার । তন্মধ্যে তিনশত তেরো জন অপর বণনা মতে তিনশত পনেরো জন রাসুল ।” (মিশকাত)

অপর বণনামতে নবি গণের সংখ্যা দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার । এদের প্রথম হলেন আদম (আ) এবং সবশেষ মহানবি (স) ।

৩। নবি ও রাসুলের পাথক্য :- অথগত দিক থেকে এ দুটি শব্দের মধ্যে কিছুটা পাথক্য রয়েছে । আল্লাহ তায়ালা যাদের উপর আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন কিংবা নতুন শরিয়ত প্রদান করেছেন,তাঁরা হলেন রাসুল । আর যার উপর কোন কিতাব নাজিল হয় নি তারা হলেন নবি । অতএব প্রত্যেক রাসুলকে নবি বলা যেতে পারে কিন্তু প্রত্যেক নবিকে রাসুল বলা যাবে না । নবিরা পূববতী রাসুলের শরিয়ত প্রচার করতেন । যেমন হারুন (আ) ছিলেন নবি । তাই তিনি তার পূববতী শরিয়ত প্রচার করতেন ।

৪। রিসালাতের তাৎপয :- নবি রাসুলগণ ছিলেন মানুষের প্রতি আল্লাহর নিয়ামতস্বরূপ । তাঁরা সকলেই তাওহিদের পথে ডাকতেন । কুফর,শিরক, নিফাক থেকে সতক করতেন । উত্তম চরিত্র ও নৈতিক শিক্ষা প্রদান করতেন । তাঁদের আদশ আমরা গ্রহণ করলে আমরা সহজেই ভালো মানুষ হতে পারব । উত্তম চরিত্রের অধিকারি হতে পারব । আখিরাতে জান্নাত লাভ করব ।

তো এই ছিল আমার আজকের পোস্ট । ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন । পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

Leave a Reply