Site icon Trickbd.com

ইসলামিক পোস্ট:- আকিকা কী? আকিকার নিয়ম সম্পকে অধিক জানুন

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।

অনেকেই হয়তো পোস্টের টাইটেল দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদের সাথে আকিকা সম্পকে আলোচনা করব । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।

আমরা অনেকেই আকিকা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে চিন্তিত । আকিকা কি, কেন করতে হয়, কিভাবে করতে হয়, না করলে কোন সমস্যা হবে কিনা এ ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা পাবেন আশা করি আজকের পোস্টের মাধ্যমে । তাই সকলে দয়া করে মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।

আকিকা কি?

আকিকা আরবি শব্দ । এর অভিধানিক অথ ভেঙে ফেলা বা কেটে ফেলা ইত্যাদি । সন্তান জন্মের পর সপ্তম দিনে তার কল্যান কামনা করে আল্লাহর নামে কোন হালাল গৃহপালিত পশু জবাই করাকে আকিকা বলে ।

অনেকের মনে হতে পারে যে আকিকা কি সন্তান জন্মের সপ্তম দিনেই দিতে হবে?

আসলে সপ্তম দিনে আকিকা করা মুস্তাহাব । এর অথ হলো আপনি চাইলেই করতে পারেন । তবে না পারলে ১৪ তম, ২১ তম অথাৎ প্রতি অতিরিক্ত ৭ দিন পর পর করা যায় ।

আকিকার সুফল:-

মহানবি (স) নিজের আকিকা নিজে করেছেন । আকিকা করা সুন্নাত । তাই আকিকা করা ভালো । মহানবি (স)-এর আগেও আকিকার প্রচলন ছিল । আল্লাহর নিদেশে তিনি এই প্রথা চালু রাখেন ।আকিকার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত পাওয়া যায় । সন্তানের আপদ বিপদ দূর হয় । তাই প্রত্যেক পিতামাতার উচিত নিজ সন্তানের আকিকা করা ।

এখন অনেকেই মনে করতে পারে যে সন্তানেরা তো বড় হলে নিজেরা করতে পারে । তাহলে আমরা করব কেন?

এরকম ধারণা করা উচিত নয় । কারণ প্রত্যেক পিতামাতার উচিত তার সন্তানের সঠিক ভাবে দেখা শোনা করা । আর আকিকা তার পরিচয় বহন করে । আর সন্তানরা যখন বড় হবে তারা তখন এ ব্যাপারে জানলে বাবা মাকে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখতে পারে । তাই আগে আগে আকিকা করা উচিত ।

আকিকা পালনের নিয়ম :-

নাসায়ির এক সহিহ বননাতে রয়েছে প্রতিটি নবজাতক সন্তানের সাথে আকিকা সম্পৃক্ত । তার জন্মের সপ্তম দিনে তার নামে পশু জবাই করতে হবে । তার নাম রাখা হবে ও তার মাথার চুল সম্পূণ কেটে দিতে হবে ।

অথাৎ সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে ৪টি কাজ করা উত্তম । যথা __

১। সন্তানের ইসলামি নাম রাখতে হবে
২। মাথার চুল কাটা বা টাক করা
৩। চুলের ওজন পরিমাণ সোনা বা রুপা দান করা ।
৪। আকিকা করা ।

অন্যান্য ইবাদতের মতো আকিকাতেও রয়েছে সুনিদিষ্ট নিয়ম রয়েছে । যে সকল পশু দ্বারা কুরবানি করা যায় সেই সকল পশু দ্বারা আকিকাও করা যায় । আকিকার পশুর বয়স কুরবানির পশুর বয়সের অনুরূপ হতে হবে । রাসুল (স) বলেছেন,”ছেলে সন্তানের জন্য দুটি ছাগল ও মেয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল জবাই করা যথেষ্ঠ ।”
তবে কুরবানির গরুর মধ্যে ছেলের জন্য দুই ও মেয়ের জন্য এক অংশ নেওয়া যেতে পারে ।

আকিকার পশুর গোশত কুরবানির পশুর গোশতের ন্যায় তিনভাগে ভাগ করতে হয় এবং বন্টন করতে হয় । এ গোশত পিতা মাতা সকলেই খেতে পারে । এমনকি গোশত রান্না করে গরিব মিশকিনদের ও আত্মীয় স্বজনদের খাওয়ানো যেতে পারে । চামড়া গরিবদের দান করে দিতে হয় ।

আকিকা নিজ পিতার হাতে করা উত্তম । তবে অপারগ হলে অন্যকে দিয়ে করানো যেতে পারে ।

যদি কেউ কুরবানি সম্পকে জানতে চান তাহলে নিচের পোস্টটা পড়তে পারেন ।

একনজরে দেখে নিন কুরবানির
পরিচয়,পটভূমি এবং
নিয়মাবলি

আটিকেলের ইতিকথা :- এটি একটি ইসলামিক পোস্ট । যদি কোন ভূল হয় তাহলে আমাকে ধরিয়ে দিবেন । আমি সংশোধন করার চেষ্টা করব । পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।