আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ট্রিকবিডিবাসী
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমরা সবসময় তো ট্রিকবিডি হতে অনেক কিছুই জানতে পারি।বরাবরের মতো আজকে আমরা
সহীহ হাদীসের আলোকে কাউকে পানি পান করানোর গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে জানবো।
ইসলামে প্রতিটি ভালো কাজেরই ফজিলত রয়েছে।ইসলাম সবাইকে উত্তম কাজ করতে উৎসাহিত করে।এমনই একটি ভালো কাজ হচ্ছে মানুষকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা।আর এর মধ্যে খুব সহজ একটা উত্তম কাজ হচ্ছে কোনো তৃষ্ণার্ত মানুষ বা পশুপাখিকে পান করিয়ে তার তৃষ্ণা নিবারন করানো।
আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মানুষকে পানি পান করাতে উৎসাহিত করেছেন। এ সম্পর্কে আমরা নিচে কয়েকটা সহীহ হাদীস যোনে নিই –
একদা সা‘দ বিন উবাদাহ (রাঃ) নবী করীম (সাঃ)-এর নিকট এসে বললেন, আপনার নিকট কোন ছাদাক্বা সর্বাধিক পছন্দনীয়? তিনি বললেন, পানি পান করানো’ (আবুদাঊদ হা/১৬৭৯)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূল (সাঃ) বলেন, পানি পান করানো অপেক্ষা অধিক সওয়াবপূর্ণ ছাদাক্বা আর নেই’ (বায়হাক্বী,সহীহ আত-তারগীব হা/৯৬০)।
পানি পান করানোটা যদিও খুবই সহজ ও সামান্য কাজ কিন্তু ইসলামে এটাকে সর্বোত্তম সাদকা হিসেবে বলা হয়েছে।এমনকি হাজার হাজার টাকা সাদকা করার চেয়ে পানি পান করানোটাকে উত্তম বলেছের রাসূল (সা.)।
সহিহ বুখারীর বর্ণিত একটা হাদিসের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, রাসূল (সা.) বলেছেন, তৃষ্ণার্ত কুকুরকে পানি পান করানোর ফলে এক অনেক পাপী মানুষকেও আল্লাহ তায়া’লা মাফ করে দিয়েছেন।
তাই আসুন ছোট ছোট কাজ করার মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় ব্যক্তি হয়ে উঠি।সব সময় ভালো কাজ করার চেষ্টা করি ও খারাপ সমুহকে বর্জন করি। আর কখনো যদি সুযোগ পাই কাউকে পানি পান করানোর সেটা যেনো হাত ছাড়া না করি।এমনি আমাদের পরিবারের কেউও যদি তৃষ্ণার্ত অনুভব করে তাহলে আমরা এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিয়ে অনেক বেশি সওয়াবের ভাগিদার হতে পারি।
আজকের মতো এখানেই, আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুন। আল্লাহ হাফিজ।