Site icon Trickbd.com

মৃত্যুর পরবতী জীবনের কয়েকটি স্তর (পাঠ ১)

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।

অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদের সাথে আখিরাত জীবনের কয়েকটি স্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি । তবে আজকে প্রথম পাঠ । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।

আখিরাত শব্দের অথ হলো পরকাল । আর মৃত্যুর পরবতী জীবনকে বলে পরকাল । আর জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ পযন্ত হলো ইহকাল । ইহকাল হলো কমের স্থান । আর পরকাল হলো কমের ফল ভোগের স্থান । মৃত্যুর পরের থেকে কবর থেকে শুরু করে জান্নাত জাহান্নাম পযন্ত হলো পরকালের জীবন । এ জীবনের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেয় । আখিরাতের কয়েকটি স্তর হলো মৃত্যু,কবর,কিয়ামত, হাশর,মিযান,সিরাত,শাফায়াত,জান্নাত এবং জাহান্নাম ।

মৃত্যু:-

আখিরাত জীবনের সূচনা হয় মৃত্যুর মাধ্যমে । যার জীবন আছে তার মৃত্যুও আছে । আল্লাহ তায়ালা সকল প্রাণীর জন্য মৃত্যু নিধারণ করে রেখেছেন । মৃত্যুর সাথে সাথে আখিরাত জীবনের শুরু হয় । পুন্যবান ব্যাক্তিদের মৃত্যু হয় আনন্দের সাথে । অন্যদিকে পাপিদের মৃত্যু হয় কষ্টের সাথে ।

কবর:-

মৃত্যুর পর থেকে পুনরুথান পযন্ত সময়কে কবরের জীবন বলা হয় । মৃত্যুর পর আল্লাহ আবার আমাদেরকে জীবিত করবেন । একে বলে পুনরুথান । দুনিয়াতে মানুষের মৃত্যুর পর কবর দেওয়া হয় । এসময় মুনকার-নাকির নামে দুজন ফেরেশতা কবরে থাকা ব্যাক্তিকে ৩টি প্রশ্ন করবে । প্রশ্ন ৩টি হলো :-

১। তোমার রব কে?
২। তোমার দ্বীন কি?
৩। তোমার নবি কে? অথবা নবি (স) কে উদ্দেশ্য করে বলা হবে যে ইনি কে?

শুধুমাত্র নেককার মুমিনরাই এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে । আর কাফির মুনাফিকরা উত্তর দিতে পারবে না । তারা বলবে ‘আফসোস ! আমি কিছুই জানি না ।’

কিয়ামত :-

কিয়ামতকে দুটি অথে বোঝানো হয় ।

একটি হলো মহাপ্রলয় । এই পৃথিবীতে এক সময় আল্লাহকে বিশ্বাস করার মতো কোন মানুষ থাকবে না । সবাই আল্লাহকে ভূলে যাবে । এসময় আল্লাহ তায়ালার নিদেশে হযরত ইসরাফিল (আ) শিঙ্গায় ফুঁক দিবে । ফলে সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে । আর এই মহাপ্রলয়ের নাম হলো কিয়ামত ।

দ্বিতীয়ত একটি অথ হলো দাঁড়ানো । পৃথিবী ধ্বংসের পর আবার ইসরাফিল (আ) শিঙ্গায় ফুঁক দিবেন । আল্লাহ তায়ালা সবাইকে জীবিত করবেন । আর সকল মানুষ কবর থেকে উঠে দাঁড়াবে । এই দাঁড়ানোকে বলা হয় কিয়ামত ।

হাশর :-

কিয়ামতের পর সবাইকে বিচারের জন্য হাশরের ময়দানে সমবেত করা হবে । হাশরের ময়দানে মানুষের আমলনামা দেওয়া হবে । যারা পুন্যবান তারা ডান হাতের আর যারা পাপী তারা বাম হাতে আমলনামা পাবে ।

হাশরের ময়দানে সূয মাথার উপরে থাকবে । সেদিন আরশের ছায়া ব্যাতীত অন্য কোন ছায়া থাকবে না । সাত শ্রেণীর ব্যাক্তি আরশের ছায়া পাবে । হাশরের ময়দানে হাজরে কাউছারের পানি ব্যাতীত অন্য কোন পানি থাকবে না । শুধুমাত্র মুমিনরাই এসব পাবে । পাপিরা কষ্ট করবে হাশরের ময়দানে ।

মিযান :- মিযান অথ দাঁড়িপাল্লা । এতে মানুষের পাপ ও পুন্যের ওজন করা হবে । যাদের পুন্যের পাল্লা ভারী হবে তারা জান্নাত পাবে । আর যার পাপের পাল্লা ভারী হবে তারা চির শাস্তির স্থান জাহান্নাম পাবে ।

তো আজ এতটুকু ছিল আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য । আমার পক্ষ থেকে আপনাদের কাছে purebio.info এই সাইটটি ভিজিট করার জন্য অনুরোধ রইল । দয়া করে এই সাইটটি একবার ভিজিট করে আসবেন । সবাইকে ধন্যবাদ ।