Site icon Trickbd.com

জান্নাতের নিয়ামত এবং জান্নাতের সংখ্যা

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।

অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদের সাথে জান্নাতের সংখ্যা ও জান্নাতের নিয়ামত সম্পকে আলোচনা করতে যাচ্ছি । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।


জান্নাতের শাব্দিক অথ হলো উদ্যান,বাগান,সুশোভিত কানন । ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় পরকালীন জীবনে পুন্যবানদের জন্য পুরস্কার স্বরুপ যে আরামদায়ক স্থান তৈরি করে রাখা হয়েছে তাকে জান্নাত বলা হয় ।

জান্নাতে সকল ধরনের নিয়ামত বিদ্যমান । পরকালে বিচার শেষে মুমিনেরা জান্নাতে চিরকাল অবস্থান করবে । তাঁরা সেখানে পুন্যবান মাতা-পিতা,আত্মীয় স্বজনদের সাথে মিলিত হয়ে অবস্থান করবে । জান্নাতে যে যা চাইবে সে তাই পাবে । আল্লাহ তায়ালা এ সম্পকে পবিত্র কুরআনুল কারিমের সূরা হা-মিম আস-সাজদার ৩১ এবং ৩২ নং আয়াতে উল্লেখ করেছেন, “জান্নাতে তোমাদের জন্য রয়েছে যা কিছু তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে যা তোমরা ফরমায়েশ কর । এটি ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু আল্লাহর পক্ষ থেকে আপ্যায়ণ ।”

জান্নাতে রয়েছে সুগন্ধিযুক্ত সব জিনিসপত্র যা কেউ কখনো নাক দিয়ে ঘ্রাণ নিতে পারে নি । এই সব জিনিস কেউ চোখে দেখে নি । কেউ কানেও শোনেনি । কেউ কল্পনাও করতে পারে নি । বস্তুত জান্নাতের সুখ-শান্তি এবং নিয়ামত অফুরন্ত । এর বণনা শেষ করা যায় না । একটি হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য জান্নাতে এমন সব জিনিস রেখে দিয়েছি যা কোন চোখ দেখেনি,কোন কান কোনদিন শোনেনি এবং কোন মানব হৃদয় কখনো কল্পনাও করতে পারেনি ।” (সহিহ বুখারি)

আরও পড়ুন :-
Secret Crush Dating Bio

জান্নাতের সংখ্যা :-

আল্লাহ তায়ালা তাঁর মুমিন বান্দাদের জন্য আটটি জান্নাত তৈরি করে রেখেছেন । এগুলো হলো :-

১। জান্নাতুল ফিরদাউস
২। দারুল মাকাম
৩। দারুল কারার
৪। দারুস্ সালাম
৫। জান্নাতুল মাওয়া
৬। জান্নাতুল আদন
৭। দারুন নাইম
৮। দারুল খুলদ

তবে এর মধ্যে সব থেকে বড় জান্নাত হলো জান্নাতুল ফেরদাউস । হযরত মোহাম্মদ (স) এই জান্নাতে থাকবেন ।

দুনিয়াতে যারা ইসলামকে পরিপূণভাবে অণুসরন করবে তারা পরকালে জান্নাত লাভ করবে । সকল কাজকম আল্লাহ তায়ালার আদেশ ও রাসুল (স) এর সুন্নাত অনুসরণ করলে জান্নাত লাভ করা সম্ভব হবে । আল্লাহ তায়ালা বলেন, “যে ব্যাক্তি স্বীয় প্রতিপালকের সম্মুখে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে জান্নাতই হবে তার আবাস ।” (সূরা আন-নাযিআত,আয়াত ৪০ ও ৪১)

অথাৎ আমাদেরকে পরকালে আল্লাহ তায়ালার সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখতে হবে ।

তো আজ আমার পক্ষ থেকে এতটুকুই । আমার আজকের পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।