Site icon Trickbd.com

ইমাম বুখারি (রা.) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।

অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদের সাথে ইমাম বুখারি (র.) এর জীবনী নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।

ইমাম বুখারি (র) এর নাম মুহাম্মদ । উপনাম আবু আব্দুল্লাহ । তাঁর পিতার নাম ইসমাইল ও দাদার নাম ইবরাহিম । তিনি বুখারি শরিফ রচনা করায় তিনি ইমাম বুখারি নামে পরিচিত । তাঁর উপাধি ‘আমিরুল মু’মনুন ফিল হাদিস’ (হাদিস বণনায় মুমিনদের নেতা) । তিনি ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতির লালন কেন্দ্র বুখারা নগরীতে ১৯৪ হিজরি ১৩ শাওয়াল ৮১০ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন । বাল্যকালেই তাঁর বাবা মারা যান ।

বাল্যকাল থেকেই তিনি অধিক জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন । মাত্র ৬বছর বয়সে হিফজ মুখস্ত করেন । আর মাত্র ১০ বছর বয়সে হাদিস মুখস্ত করা শুরু করেন । ১৬বছর বয়সের মধ্যে তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারাক ও আল্লামা ওয়াকি এর লেখা হাদিস গ্রন্থদ্বয় মুখস্ত করেন । ৬বছর ধরে তিনি বিভিন্ন দেশে গমন করে হাদিস সংগ্রহ করেন ।

ইমাম বুখারি দীঘ ১৬বছর সাধনা করে ৬লক্ষ হাদিস থেকে পরীক্ষা করে ৭২৭৫টি হাদিস বুখারি শরিফে সংকলন করেন । প্রত্যেক হাদিস লেখার পূবে ওযু ও গোসল করে ২রাকাত নফল নামায আদায় করতেন । তারপর ইস্তেখারা করতেন । বিশুদ্ধ মনে হলেই তিনি হাদিসটি বুখারি শরিফে সংকলন করতেন ।

ইমাম বুখারি দীঘ সাধনা শেষে বুখারায় নিজ এলাকায় আসলে তৎকালীন বাদশাহ খালিদ ইবনে আহমেদের সাথে তার বিরোধ হয় । একদা তিনি তাকে হাদিস শোনার জন্য রাজ দরবারে ডেকে পাঠালেন । ইমাম বুখারি বললেন, “আমি হাদিসকে রাজ দরবারে নিয়ে অপমান করতে চাই না । তার প্রয়োজন হলে সে আমার ঘরে অথবা মসজিদে আসুক ।” এই কথা বলার পর বাদশাহ তাকে বুখারা ত্যাগ করতে নিদেশ দেন ।

ইমাম বুখারি একজন আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন ব্যাক্তি হওয়ায় বাদশাহের দরবাবের গমন করতেন না । তাঁর বয়স যখন এগারো তখন মুহাদ্দিস নামক এক ব্যাক্তি হাদিস বণনায় ভুল করে । তিনি তা সংশোধন করে দেন । তাঁর প্রায় ৯০ হাজার ছাত্র ছিল যার তাঁর কাছ থেকে হাদিস শিখেছেন ।

তো আজ আমার পক্ষ থেকে আবার দেখা হবে ইনশাল্লাহ ।