আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।
অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদেরকে সালাত আদায়ের দৈহিক ও সামাজিক উপকার গুলো জানাব । আশা করি আপনারা সকলে আমার আজকের পোস্টটি পড়বেন । ভালো লাগলে পোস্টে লাইক ও কমেন্ট করবেন ।
সালাতের নৈতিক উপকারসমূহ :-
সালাত হলো ইসলামের ৫টি রুকনের মধ্যে একটি । এটি ইসলাম ধমের সকল অনুসারীদের জন্য ফরজ ইবাদত । প্রত্যেক মুমিনের উপর এটা ফরজ করা হয়েছে । ফরজ অথ অবশ্য পালনীয় । দিনে রাতে মোট পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে হয় । এগুলো হলো :- ফজর,যোহর,আছর,মাগরিব এবং এশা । নামায আদায়ের জন্য মুসলামদের একটি ধমী তিথস্থান রয়েছে । এর নাম মসজিদ । মুসলমানগণ দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামায মসজিদে জামায়াতের সাথে আদায় করে । এই নামাযের উপকারিতা অপরিসীম । আমি অল্প কিছু আলোচনা করব ।
নামায শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই প্রশান্তির প্রতীক । এটি যেমন মনকে সুন্দর ও সতেজ করে তেমনি অন্যদিকে এটি একধরনের ব্যায়াম । নামাযে রুকু,সিজদাহ ও অন্যান্য কাজ করার মধ্য দিয়ে এটি এক দিক থেকে ব্যায়ামের কাজ করে । দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামায আদায় করলে অন্যান্য কাজের একঘেয়েমি কাটে । যেমন আমরা যখন মাগরিবের নামায আদায়ের পর পড়ালেখা করতে থাকি তার কিছুক্ষণ পর আমাদের পড়াশোনায় আর মন বসতে চায় না । আর প্রায় তখনই আমাদের এশার সালাত আদায় করতে হয় । আর সালাত আদায়ের পর আমাদের আবার পড়াশোনায় বসতে ইচ্ছা করে । এভাবে আমাদের কাজের একঘেয়েমি দূর করে দেয় নামায ।
মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে সকলে শ্রেণীর লোক (যেমন ধনী,দরিদ্র,কাঠুরে,ব্যাবসাদার ইত্যাদি) জামাতে আদায় করে । ফলে একে অন্যের সাথে দেখা সাক্ষাত হয় এবং পরস্পরের মধ্যে দুরত্বটা কমে আসে,বন্ধন সৃষ্টি হয় এবং সুসম্পকে গড়ে ওঠে । একে অন্যের দুঃখ বুঝতে পারে । একে অন্যের পারিবারিক অবস্থা সম্পকে জানতে পারে । একে অন্যের সমস্যায় পাশে দাঁড়াতে পারে । সাহয্য সহযোগিতা করতে পারে । এজন্য মহানবি হযরত মোহাম্মদ (স) সবাইকে জামায়াতে পড়ার নিদেশ দিতেন । এছাড়া জুমুআর দিনে সালাত আদায়ের জন্য সমাজের সকল মানুষ এক মসজিদে জড়ো হয় ।
সবোপরি সবাই সবার বন্ধু হয়ে ওঠে এবং একটি সুন্দর সমাজ গঠিত হয় । তাই আমরা সকলে দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামায জামাতের সহকারে আদায় করব । আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়াতে দান করুন । আমিন ।