Site icon Trickbd.com

পৃথিবীর সবচেয়ে হতভাগা ব্যক্তি! যাদের সম্পদ ও সন্তান পরকালে কোনো কাজে আসবে না! আপনি কি সেই ব্যক্তি…..?

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

পৃথিবীর সবচেয়ে হতভাগা ব্যক্তি!

মুসলমানদের বৈধ উপায়ে অর্জিত ধন-সম্পদ ও নেক সন্তান-সন্ততি মানুষের দুনিয়া ও পরকালে কাজে আসে। সে সম্পদ মুমিনের নাজাতের মাধ্যমে হয় সর্বোপরি সম্পদ জান্নাতে যেতে মাধ্যম হয়। সর্বপরি সে সম্পদ জান্নাতে যেতে মাধ্যম হয়। কিছু মানুষের সম্পদ কেয়ামতের দিন কোন কাজে তো আসবেই না, তাদের নাজাতের মাধ্যমও হবে না। হবে জাহান্নামে যাওয়ার কারণ। কারা তারা…? আজকের আর্টিকেলটি পড়ে সকল ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানিয়ে দেবো ইনশাআল্লাহ।

কিয়ামতের দিন মুসলিমও অমুসলিমদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তাদের মৃত্যুর পর তাদের আল্লাহর সামনে কোন কাজে আসবে না। কুরআনুল কারীমে মহান আল্লাহ এমনটি ঘোষণা করেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেছেন→ নিশ্চয়ই যারা কুফরী করে আল্লাহর সামনে তাদের ধন-সম্পদ কোন কাজে আসবে না আর তাদের সন্তান সন্ততিও কোন কাজে আসবে না আর তারাই জাহান্নামের আগুনের অধিবাসী তারা সেখানে চিরস্থায়ী হবে।( সূরা আল ইমরান আয়াত ১১৬)

আল্লাহ তায়ালা আরো বলেছেন → তারা দুনিয়ার জীবনে যা ব্যয় করে তার উপমা সেই বাতাসের নেয় যাতে রয়েছে প্রচন্ড ঠান্ডা যা পৌঁছে এমন কৌউমের শস্য ক্ষেতে যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছিল অতঃপর তার শস্যক্ষেত্র কে ধ্বংস করে দেয় আর আল্লাহ তাদের ওপর জুলুম করেননি বরং তারা নিজেরাই নিজেদের ওপর জুলুম করে। (সূরা আল ইমরান আয়াত ১১৭)

এই আয়াতের ব্যাখ্যামূলক অনুবাদ হচ্ছে এই নিশ্চয়ই যারা অবিশ্বাসী হয়েছে তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি আল্লাহর শাস্তির মোকাবেলায় বিন্দুমাত্র ফলপ্রসূ হবে না। তারা জাহান্নামের আগুনের অধিবাসী তাতে তারা সর্বদা অবস্থান করবে কখনো মুক্তি পাবে না। তারা দুনিয়ার জীবনে যা ব্যয় করে তার দৃষ্টান্ত নিষ্ফল ও বরবাদ হওয়ার ব্যাপারে ওই বাতাসের মতো যাতে প্রবল শৈত্য তুষার থাকে বাতাস কি ঐসব লোকের শস্যভূমি লাগে যারা নিজেদের ওপর অত্যাচার করেছে।

এরপর বাতাসটি শস্যভূমিকে ধ্বংস করে দেয় তেমনি ভাবে তাদের ব্যয় করা ধন-সম্পদ ও পরকালের হয়ে যাবে। এ ধ্বংস করার ব্যাপারে মহান আল্লাহ অবিশ্বাসীদের প্রতি কোন অন্যায় করেননি বরং তারা স্বয়ং কুফরি করে নিজেদের ক্ষতি করেছে। যে কারণে তা কবুল হয় না। যদি তারা আল্লাহর সঙ্গে কুফর না করত তবে তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় নিষ্ফল হতো না। কিয়ামতের দিন কাফেরদের ধন-সম্পদ না কোনো উপকারে আসবে না তাদের সন্তান সন্ততি।

এমনকি বাহ্যিকভাবে জনসাধারনের কল্যাণ ও মঙ্গলের কাজে যেসব অর্থ ব্যয় করে তাও ব্যর্থ হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা এ বিষয়টি সম্পর্কে তাদের পরিণতি সহ সূরার শুরুতে তুলে ধরেছেন এভাবে নিশ্চয় যারা কুফরী করে তাদের মাল-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি আল্লাহর আযাব থেকে কখনো কোনো কাজে আসবে না এবং তারাই আগুনের জালানি। (সূরা আল ইমরান আয়াত ১০)

পরবর্তী আয়াতে তাদের সম্পদ ব্যয় এর তুলনা এভাবে তুলে ধরা হয়েছে যে এগুলো সেই প্রচন্ড ঠান্ডা অথবা গরম প্রবল ঝড়ো হাওয়ার মতো যার সবুজ-শ্যামল শস্যভূমিকে ধ্বংস করে দেয়। অত্যাচারিত এই ভূমি দেখে বড়ই আনন্দ বোধ করে এবং তার লাভের প্রতি চরম আশাবাদী থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে তার সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা মাটিতে মিশে যায়। এ থেকে জানা গেল যে কল্যাণ ও মঙ্গলের কাছে অর্থব্যয় কারীদের দুনিয়াতে যতই প্রশংসা করা হোক না কেন ঈমান আনা পর্যন্ত আখেরাতে তারা এসব কাজে কোন প্রতিদান পাবে না।

সেখানে আছে তাদের জন্য জাহান্নামের চিরন্তন শাস্তি। তারা যা কিছু পার্থিবজীবনে ব্যয় করে তার দৃষ্টান্ত হিমশীতল ঝঞ্ঝাবায়ু মত। যে জাতি নিজের প্রতি অত্যাচার করেছে তাদের শস্যভূমিকে আঘাত করে দাবি নষ্ট করে দেয়। বস্তুতঃ আল্লাহ তাদের প্রতি জুলুম করেননি বরং তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি জুলুম করে থাকে। এসব মুমিন মুসলমানের জন্য দৃষ্টান্ত ও অনুপ্রেরণা। ঈমানদার ব্যক্তি হালাল উপার্জন থেকে আয় করা সম্ভব অনেক সন্তান-সন্ততি মহান আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য। এছাড়া বাকি সবই বিফল। সুতরাং এ আয়াত দুটি মুসলিমের জন্য সতর্কবার্তা। আল্লাহতালা মুসলিম উম্মাহকে কোরআনে সতর্কতা নিজেদের জীবনে গ্রহণ করে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন আমীন।

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি