Site icon Trickbd.com

সংক্ষিপ্ত বণনায় মহানবি (স) এর মাদানী জীবন

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।

অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদেরকে মহানবি (স) এর মাক্কি জীবনের কথা বলতে যাচ্ছি । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন । মহানবি হযরত
মুহাম্মদ (স.)-এর মাদানি
জীবন :-

মক্কার কাফিররা
মহানবি হযরত
মুহাম্মদ (স.)-কে ইসলাম
প্রচার থেকে বিরত
রখতে না পেরে তাঁকে
হত্যার সিদ্ধান্ত নিল
।অতঃপর আল্লাহর
নির্দেশে হযরত
মুহাম্মদ (স.) ৬২২
খ্রিষ্টাব্দে মদিনায়
হিজরত করলেন ।
মক্কার তুলনায়
মদিনায় শান্ত ও
নির্মল পরিবেশে এসে
মহানবি হয়রত
মুহাম্মদ (স.) গুরুত্বপূর্ণ
অনেক উদ্যোগ গ্রহণ
করলেন, আওস ও খাযরাজ
গোত্রদ্বয়ের মাঝে
চলমান দীর্ঘ দিনের
যুদ্ধ বন্ধ করলেন ।
মুজাহির (ইসলামের
উদ্দেশ্যে মক্কা থেকে
মদিনায় হিজরত) ও
আনসারদের
(মুজহিরদেরকে
সার্বিকভাবে
সাহায্যকারী মদিনা
বাসী) মাঝে ভ্রাতৃত্ব
বন্ধন ও সৌহার্দ
স্হাপন করলেন ।
সামাজিক সম্পর্কের
ক্ষেত্রে এক নতুন
দিগন্তের উন্মোচন
হলো । গড়ে তুললেন
ইসলামি আদর্শের
ভিত্তিতে সুশৃঙ্খল
সমাজ ব্যাবস্থা । সকল
মুসলিমের
মিলনকেন্দ্র হিসেবে
গড়ে তুললেন মসজিদে
নববি ।

মদিনা সনদ:
মদিনা ছিল বিভিন্ন
ধর্ম ও গোত্রের
লোকজনদের আবাস।
হযরত মুহাম্মদ (স.) এই
সকল জাতিকে এক করে
সেখানে একটি ইসলামি
রাষ্ট্র গঠনের
পরিকল্পনা নিলেন । এ
কাজ করতে গিয়ে
তিনি সকল গোত্রের
নেতাদের সাথে বৈঠক
করে একটি লিখিত
সনদ প্রণয়ন করেন, যা
ইসলামের ইতিহাসে
‘মদানি সনদ’ নামে
পরিচিত । এই সনদে
মোট ৪৭ টি ধারা ছিল।
তার মধ্যে প্রধান ধারা
গুলো নিম্নে উল্লেখ
করা হলো:-

১. সনদে স্বাক্ষরকারী
মুসলমান,ইহুদি
,খ্রিষ্টান ও
পৌত্তলিক
সম্প্রদায়সমূহ সমান
ভাবে নাগরিক অধিকার
ভোগ করবে ।
২. মহানবি হযরত
মুহাম্মদ (স.) হবেন
প্রজাতন্ত্রের প্রধান
ও সর্বোচ্চ বিচারলয়ের
কর্তা ।
৩. মুসলমান ও অমুসলমান
সম্প্রদায় স্বাধীনভাবে
নিজ নিজ ধর্ম পালন
করবে।
৪. কেউ কুরাইশ বা অন্য
কোনো বহিঃশত্রু
কতৃক আক্রান্ত হলে
সকল সম্প্রদায়ের
সমবেত প্রচেষ্টায় তা
প্রতিহত করতে হবে।

৫. কেউ কুরাইশ বা অন্য
কোন বহিঃশত্রুর সাথে
মদিনা বাসীর বিরুদ্ধে
কোনরূপ ষড়যন্ত্রে
লিপ্ত হতে পারবে না।

৬. বহিঃশত্রু কতৃক
মদিনা আক্রান্ত হলে

সকলে সম্মিলিতভাবে
শত্রুর মোকাবিলা
করবে এবং স্ব-স্ব
গোত্রের যুদ্ধভার বহন
করবে।

৭. কোন ব্যাক্তি
অপরাধ করলে তা
ব্যাক্তিগত অপরাধ
হিসেবে পরিগনিত
হবে। তার অপরাধের
জন্য গোটা
সম্প্রদায়কে দোষী
সাব্যস্থ করা যাবে না।

৮. মদিনা পবিত্র
নগরি বলে ঘোষনা করা
হলো । এখন এই শহরে
রক্তপাত, হত্যা,
ব্যভিচার এবং অন্যন্য
অপরাধমূলক কর্মকান্ড
সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা
হলো ।

৯. ইহুদি সম্প্রদায়ের
মিত্ররাও সমান
সাধীনতা ও নিরাপত্তা
ভোগ করবে ।

১০. হযরত মুহাম্মদ (স.)-
এর অনুমতি ব্যাতিত
মদিনার কোনো গোত্র
কারো বিরুদ্ধে যুদ্ধ
ঘোষনা করতে পারবে না

১১. স্বাক্ষরকারী
সম্প্রদায়সমূহের মধ্যে
কখনো বিরোধ দেখা
দিলে হযরত মুহাম্মদ
(স.) আল্লাহর বিধান
অনুযায়ী তা মীমাংসা
করবেন।

১২. সনদের ধারা ভঙ্গকারীর উপর আল্লাহর অভিসম্পাত বর্ষিত হবে। এই মদিনা সনদ হলো মানব ইতিহাসের সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান, যার মধ্যে ইসলাম ও মহানবি (স.)- এর শ্রেষ্ঠত্ব ফুটে উঠেছে।