Site icon Trickbd.com

[Namaj] আসুন জেনে নেই_ নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম এবং কখন কোথায় কী করতে হবে

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন আমিও ভালো আছি

আলোচনার বিষয় হল নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম এবং নামাযের কোথায় কোথায় কি সকল দোয়া পড়তে হয়


চলুন শুরু করা যাক:-


নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তাই নামাজ সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এরশাদ করেন-তোমরা সেভাবে নামায আদায় করো যেভাবে আমাকে নামাজ আদায় করতে দেখো (বুখারী)।

১.অজু:-

নামাজের জন্য উত্তমরূপে অজু করা। অজু করা ফরয ।যা ব্যতীত নামাজ হবে না।

২. নামাজের স্থান:-

যে স্থানে নামাজ পড়বেন তা হতে হবে পবিত্র,মসজিদে নামাজ পড়তে না পারলে নামাজের জন্য পবিত্র স্থান নির্বাচন করতে হবে।

৩. কেবলা মুখী:-

নামাজের জন্য কেবলামুখী হওয়া আবশ্যক। সমস্ত মুসলিম উম্মার কেবলা পবিত্র মক্কা বায়তুল্লাহ।

৪. নিয়ত:-

নিয়ত হচ্ছে মনের সংকল্প। যখন নামাজের জন্য প্রস্তুতি নেবেন তখনই নামাজের নিয়ত হয়ে যাবে।ইমামের নিয়তে হবে- ‘আনা ইমামু লিমান হাজারা ওয়া মাই ইয়াহজুরু।’ উপস্থিত এবং যারা জামাআতে শামিল হবেন আমি সবার ইমাম।জামাআতে নামাজের ক্ষেত্রে মুক্তাদি বলবেন- ‘ইকতাদাইতু বিহাজাল ইমাম’ আমি ইমামের ইকতিদা করছি।

৫. তাকবীরে তাহরীমা:-

যে তাকবীর মাধ্যমে দুনিয়ার সমস্ত কর্মকাণ্ড মানুষের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যায় সে তাকবীর “আল্লাহু আকবার” বলে নামাজ শুরু করা। উভয় হাতকে কানের লতি বরাবর উঠিয়ে নাভির উপর হাত বাধা এবং চোখের দৃষ্টিকে সেজদার স্থানে স্থির রাখা।

৬. সানা পড়া:-

অনেকগুলি ছানা রয়েছে তার মধ্যে যেকোনো একটি পরলেই হবে। এটাকে দোয়া ই ইস্তেফতাহ বলা হয়। এক নিয়তে একবারই পড়তে হয়।

৭. সূরা ফাতিহা পড়া:-

আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়ে সূরা ফাতিহা পড়ে আমিন পড়া।

৮. সূরা মিলানো:-

সূরা ফাতিহা পড়ার পরে পবিত্র কুরআন মাজিদের যেকোনো একটি সূরা পড়তে হবে।

৯. রুকু:-

সূরা মিলানোর পর আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যাওয়া।মাথাকে পিঠ সমান্তরালে রাখা। উভয় হাতের আংগুল দিয়ে হাটুকে ধরা। তারপর কমপক্ষে তিনবার রুকুর তাসবিহ পড়া।

১০. রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো:-

সামি আল্লাহ হুলিমান হামিদা বলে রুকু থেকে দাঁড়ানো। ইমাম বা উভয়ই একাকী দোয়াটি পাঠ করবে।

১১. সেজদা:-

অতঃপর আল্লাহ হু আকবার বলে সেজদায় যাবে এবং সেজদার তাসবিহ অন্তত তিনবার পাঠ করবে। উল্লেখ্য-হাতের আঙ্গুলগুলো মিলিত এবং প্রসারিত হয়ে কেবলামুখী হয়ে থাকবে। সেজদা হবে সাতটি অঙ্গের উপর, যেমন নাক সহ কপাল, উভয় হাতের তালু, উভয় হাটু এবং উভয় পায়ের আংগুলের ভেতরের অংশ।

১২.সেজদা থেকে ওঠা:-

আল্লাহু আকবার বলে সেজদা থেকে মাথা উঠানো, বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার উপরে বসবে এবং ডান পা খারা অবস্থায় রাখতে হবে। দুহাত উভয় রান ও হাঁটুর সংযোগস্থলে রাখা। দুই সিজদার মধ্যে দোয়া পাঠ করা।
এভাবে দুটি সেজদা পূর্ণ করতে হবে।

১৩.তাশাহুদ বা বৈঠক:-

দুই রাকাত বিশিষ্ট নামাজ(ফজর ,ঈদ ,জুমা )পূর্ণ হওয়ার পর তাশাহুদ, দরুদ ,দোয়া পরা। হাত উভয় রান ও হাঁটুর সংযোগস্থলের উপর রাখা। ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলি দিয়ে দোয়া ও আল্লাহর নাম উল্লেখ করার সময় তাওহীদের ইশারা করা।
তিন বা চার রাকাত বিশিষ্ট নামাযে শুধুমাত্র তাশাহুদ পড়ে আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে বাকি নামায আদায় করে তাশাহুদ দরুদ ও দোয়া পাঠ করতে হবে। প্রকাশ থাকে যে, ফরজ নামাজের বেলায় পরবর্তী এক বা দুই দুই রাকাতের সময় সূরা ফাতিহা পড়ার পর অন্য কোন সুরা পড়ার প্রয়োজন হবে না। কিন্তু সুন্নত নামাজের সময় চার রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলাতে হবে।

১৪.সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামাজ শেষ করা:-

তাশাহুদ দরুদ এবং দোয়া মাসুরা পড়ার পর সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ শেষ করা। লক্ষণীয়, পরিপূর্ণ ভাবে নামাজ আদায় করতে সানা, রুকু ,সেজদা ,তাশাহুদ, দরুদ , দোয়া গুলো মুখস্ত রাখতে হবে। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ