Site icon Trickbd.com

আপনি কি আপনার অপরাধ নিয়ে চিন্তিত…? আপনি কি আসলেই চিন্তিত।

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

আপনি কি আপনার অপরাধ নিয়ে চিন্তিত…? আপনি কি আসলেই চিন্তিত।


আপনি অবশ্যই আর্টিকেলের টাইটেল দেখে আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন। আপনি অবশ্যই পড়ার বা জানার উদ্দেশ্য আর্টিকেল ওপেন করেছেন তাই আমি আপনাকে অনুরোধ করব আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়েন। অপরাধ আমরা সবাই করেছি। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে মানুষ মাত্রই ভুল। আপনি আমি সবাই জীবনে অনেক অনেক ভুল করছি।

জেনা বুঝে ভুল করছি। জীবনে কত অন্যায় অত্যাচার করেছি তার হিসাব নেই। আজকেও ভুল করেছি। আজকের ফজরের নামাজ কি পড়েছি। সারাদিন কত অপরাধ করতেছি। আপনি কি আসলেই আপনার অপরাধ নিয়ে চিন্তিত।

আপনার অপরাধের জন্য কতটা চিন্তিত আপনি। কতবার আল্লাহর কাছ ক্ষমা চেয়েছেন বলতে পারবেন।যে আল্লাহ আপনাকে লালন পালন করছে, বিবেক বুদ্ধি দিয়েছে, চিন্তা করার ক্ষমতা দিয়েছে, আপনাকে সুস্থ রেখেছে এটা নিয়ে কি কখনো চিন্তা ভাবনা করছেন।

আমরা মানুষ বরই হতভাগা কপালপোড়া আল্লাহর নিয়ামত পাইয়াও শুকরিয়া আদায় করি না। আপনি নামাজ পড়েন না, রোজা রাখেন না, যেনা করেন। আপনার অপরাধ নিয়ে চিন্তিত আপনার অপরাধ নিয়ে লজ্জিত। মাশাআল্লাহ। তোমার এই লজ্জা আল্লাহ পছন্দ করে। আপনি পাপেট কথা মনে করে চিন্তা করে লজ্জিত হলে সেই লজ্জা আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন।

তুমি কত বড় পাপি সেটা কোন বিষয় নয় বিষয় হচ্ছে তুমি পাপের জন্য লজ্জিত কিনা আল্লাহ তায়ালা কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছ কিনা। পাপের জন্য লজ্জিত হয়ে আল্লাহর কাছে তওবা করছেন কিনা সেটা আল্লাহ তায়ালা দেখেন। আপনি সঠিকভাবে তওবা করতে পারলে। আল্লাহ তায়ালা আপনার জীবনের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে নিকি দ্বারা পূর্ণ করে দিবে।

এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন ভাই তওবা কিভাবে করব…? তওবা আপনি নিজেই করতে পারবেন এর জন্য কোন হুজুর লাগবে না ন কোন কোরআনে খতম করতে হবে না। তওবা আপনি যেকোনো সময় করতে পারেন। আপনি এখন বসে ফোন ঘাটাঘাটি করছেন এই মূহুর্তে মনে হলো আপনার গুনাহের জন্য তওবা করা দরকার। আপনি তখনই সেখানে বসেই তওবা করতে পারবেন।

আপনাকে পাক পবিত্র হয়ে নামাজ পড়ে তওবা করতে হবে না। আপনি দোকানে বসে খেলা দেখছেন আপনার মনে হলো অনেক গুনাহ করে ফেলেছি। তখনই আপনি মনে মনে আল্লাহ তায়ালা কাছে ক্ষমা চাইলেন এবং যে ভুল গুলো করেছেন সেগুলো আর জীবনে কখনো করবেন না এমন অঙ্গিকার করলেন। তাহলে আপনার তওবা হয়ে যাবে।

কিন্তু আপনি তওবা করলেন কিন্তু কিছু দিন বা কিছু মাস বা কিছু বছর পরে সেই গুনাহ আবার করলেন তাহলে আপনার তওবা হয়নি।

তওবা মানে হচ্ছে আপনি কোন খারাপ কাজে লিপ্ত আছে সেটা ছেড়ে দিয়ে ভালো পথে ফিরে আসবেন এটার জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা কাছে লজ্জিত হতে হবে। আল্লাহ তায়ালা কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ওয়াদা করতে হবে ঐ খারাপ কাজ আর কখনো জীবনে করবে না।

তওবা করার জন্য নামাজ পড়তে হবে, ওজু থাকতে হবে, হুজুর লাগবে এগুলো আসলে হদুই। আসলেই হুদাই কিছুই লাগবে না। আপনি নামাজ পড়েন না। আপনি মনে মনে আল্লাহ কাছে লজ্জিত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেন। আস্তাগফিরুল্লাহ।

এটা কখন তওবা হিসেবে গণ্য হবে যখন সে আর এই কাজ করবে না। তওবা করার পর আল্লাহর কাছে ফিরে আসে এবং ভালো কাজ করে আল্লাহ তায়ালা তোমার অপরাধ নিকিতে পরিবর্তন করে দিবে। তুমার কর যেনা নিকি হয়ে যাবে তুমার করা সুদ নিকি হয়ে যাবে। তুমার অন্যায় অপরাধ নিকি হয়ে যাবে।

ধরে নেন আমি খারাপ পথে চলছি। Uzzal Mahamud ভাইয়ের কাছে অনেক টাকা। Uzzal Mahamud ভাই কেন জানি আমাকে পছন্দ করেন ভালোবাসেন। তিনি আমাকে বলছে সাকিব তুমি যদি সৎ পথে চল আমার খুব ভালো লাগবে। ধরে নেন উনি আমাকে পছন্দ করে আমি বিপথে চলি কিন্তু উনি আমাকে ভালোবাসেন এটা হতেই পারে।

কিছু মানুষ কিছুকে এমনি ভালোবাসেন। সবাই জানে আমি ভালো মানুষ না কিন্তু তবুও পছন্দ করে ভালোবাসে। কোন কারণ ছাড়াই ভালোবাসে। যার হৃদয়ে আল্লাহ যার জন্য ভালোবাসা দেয়। আমি মনে করেন খুব উল্টো পাল্টা কাজ করে আমার সব জায়গা জমি বিক্রি করে ৫ লক্ষ্য টাকার ব্যবসা শুরু করব কিন্তু সব টাকা দালাল চক্রের ফাঁদে পরে সব টাকা খুয়া গেল।

এখন আমি খুব লজ্জিত রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি। Uzzal Mahamud ভাইয়ের সাথে দেখা আগে যেমন Uzzal Mahamud ভাইকে কোন পাত্তা দিতাম না। কিন্তু Uzzal Mahamud ভাই আমাকে নিজস্বার্থ ভাবে ভালোবাসে। আল্লাহ আমাদেরকে কিভাবে…? আল্লাহ আমাদের নিজস্বার্থ ভাবে ভালোবাসেন। মনে রাখবেন কি রব পেয়েছেন। এবার Uzzal Mahamud ভাই বলছে কি সাকিব সাহেব কি হইল হুন্ডা কই, এতো অহংকার কই, মেজাজ কই আমি বললাম যে আসলে ভাইয়া আমি আপনার কাছে সরি বলার জন্য অনেক চেষ্টা করছি পাই নাই বিপদে পরে গেছি।

আচ্ছা বলো কি হয়েছে। আমি বললাম এই এই কারণে ৫ লক্ষ্য টাকা খুয়া গেছে। উনি দেখতেছে যে আমার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আছে আমাকে দিয়ে কাজে লাগাইতে পারবে। উনি দেখেন যে আমাকে দিয়ে সমাজের দেশের ভালো কাজ হবে। উনি বলল ঠিক আছে। ৫ লক্ষ্য টাকা হারিয়েছ আমি দিয়ে দিচ্ছি তুমি কিন্তু আর এসব আজেবাজে কাজ করতে পারবে না। ভালো হয়ে চলবা।

মানুষ যদি ভালোবাসার কারণে ৫ লক্ষ্য টাকা দিয়ে দিতে পারে। আল্লাহ কি মানুষের অপরাধকে নিকিতে পরিবর্তন করতে পারে না। কি রব পেয়েছি আমরা। তুমি কার কথা শুন না, তুমি কার কিতাব পড় না, চিন্তা করেছ কখনো আল্লাহ তায়ালা তোমাকে কত ভালোবাসে।

আল্লাহ তায়ালা বলছেন→ নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি দয়ালু, ক্ষমাশীল। তুমার অপরাধ কখন ক্ষমা করবে জানো। যখন তুমি অপরাধ ছেড়ে দিয়ে ভালো কাজ করবে তখন সব আপনার নিকিতে পরিবর্তন করে দিবে। কারণ আল্লাহ তায়ালা অতি দয়ালু এই জন্য এটা করবে।

আমাদের একটু চিন্তা করা দরকার আমরা কার গোলাম। কে আমাদের দুনিয়াতে পাঠিয়েছে। কেন পাঠিয়েছে। কি করতে কাজ করতে বলেছে। কি কাজ করতে নিষেধ করেছে। একটু চিন্তা করা দরকার। একদিন ধুলোর পৃথিবীর ছেড়ে চলে যেতে হবে। চলে গেলে বুঝে আসবে কিন্তু তখন বুখলে কোন লাভ হবে না। আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবে আল্লাহ হাফেজ।

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি