Site icon Trickbd.com

আপনি কি জীবনে গুনাহ করতে করতে অন্তর কালো করে ফেলেছেন। আকাশ সমান গুনাহ করলেও নিরাশ হবেন না।

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

আপনি কি জীবনে গুনাহ করতে করতে অন্তর কালো করে ফেলেছেন। আকাশ সমান গুনাহ করলেও নিরাশ হবেন না।


নফসের শয়তান ২৪ ঘন্টা আমাদের পেছনে লেগেই থাকে। কীভাবে আমাদের গুনাহ করানো যায়। কিভাবে আমাদের আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত করা যায়। কিভাবে আল্লাহর ইবাদত থেকে দূরে রাখা যায় এটি হলো তার জীবন সাধনা। আর শয়তানকে আল্লাহ তায়ালা এত বেশি শক্তি দিয়েছেন সে আমাদের শিরায় শিরায় দৌড়াতে পারে। আমাদের অন্তরে কুমন্ত্রণা দিতে পারে। সহিহ বুখারীতে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন→শয়তান মানুষের শিরায় শিরায় বিচরণ করে। ( সহিহ বুখারী ২০৩৮)

আমরা মানুষ আমরা দুর্বল আল্লাহ তা’আলা বলেন→ মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে। (সূরা নিসা ৪২৮)

তাই চেষ্টা করলেও অনেক সময় আমরা গুনাহ থেকে বাঁচতে পারি না। শয়তানের কাছে আমরা বারবার হেরে যাই। তাই গুনাহ হয়ে যাওয়া আশ্চর্যের ব্যাপার নয়। কিন্তু এটি বড় আশ্চর্যের যে কোনো মমিন তার গুনাহকে আল্লাহর রহমতে বড় মনে করে। আমার ভাই আমার বোন এই কথাটি মনে গেথে রাখুন আপনি যত বড়ই পাপী হোন যত বড় গুনাহগারী হোন আপনার পাপ, আপনার গুনা, আপনার অপরাধ কখনো আল্লাহর রহমত কে ছাড়িয়ে যেতে পারে না সুবহানাল্লাহ। কোন মমিন কিভাবে ভাবতে পারে তার গুনা আল্লাহর মাগফিরাতের চেয়েও বড়।

আস্তাগফিরুল্লাহ, সুম্মা আস্তাগফিরুল্লাহ। শয়তান আমাদেরকে আল্লাহর ব্যাপারে নিরাশ করে দিতে চায়। শয়তান চায় আমরা আমাদের রবের রহমতের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে যাই। আমরা আমাদের রবের মাগফিরাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিই। সুনানে তিরমিজি বর্ণিত একটি হাদীসে কুর্সরীতে এসেছে আল্লাহ তায়ালা আমাদের সম্বোধন করে বলেন → হে আদম সন্তান! তোমার গুনাহ যদি এত বেশি হয়ে যায় যে, তা আকাশের মেঘমালায় গিয়ে ঠেকে, তারপর তুমি আমার কাছে ক্ষমা চাও, তবুও আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব- আমি কোনো পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তুমি পৃথিবীর ভরা গুনাহ নিয়েও যদি আমার কাছে আসো,যদি শিরক না করে থাক, তবে আমি পৃথিবী ভরা ক্ষমা নিয়ে তোমার কাছে আসব। ( সুনানুত তিরমিজি ৩৫৪০)


সুবাহানাল্লাহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের স্পষ্ট ঘোষণার পরও কি কেউ তার মাগফিরাত থেকে নিরাশ হতে পারে। আমার গুনাহগার বোন আমার গুনাহগার ভাই। আপনি জানেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন গুনাহগার বান্দাদের ব্যাপারে কি বলেছেন →হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ কত মায়াভরা আল্লাহ এই আহব্বান। হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছে। আল্লাহ রহমত থেকে নিরাশ হয়ে যেয়ো না। ইনশাআল্লাহ। তোমাদের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। সুবহানাল্লাহ।আল্লাহ তায়ালা বলেছেন সব গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সূরা জুমার ৩৯:৫৩)

আমার ভাই তবুও কি আপনি নিরাশ হবেন। শয়তানের ফাঁদে পা দেবেন। যখনই আপনার মনে আসবে আপনার গুনাহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করবেন না। তখনই আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ুন সাথে সাথেই আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ুন। আল্লাহর কসম এটি শয়তানের ধোকা। এটি ইবলিশের ধোকা। এটিকে মন থেকে বিদায় করুন। আমার ভাই নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। গুনা থেকে কেউ বেঁচে থাকতে পারে না সবার কোনো না কোনোভাবে গুনা হয়ে যায়।

সুনানে ইবনে মাজাহ বর্ণিত একটি হাদীসে এসেছে রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম ইরশাদ করেন→ সকল আদম সন্তানই গুনাহগার। উত্তম গুনাহগার হলো তাওবাকারীরা। তাই গুনাহ হয়ে গেলেই তাওবা করুন। আল্লাহর কাছে কাঁধেন। তাহলে আপনি একজন উত্তম গুনাহগার সাব্যস্ত হবেন। অলসতা করে শয়তানের ধোঁকায় পড়ে তাওবা কে পিছিয়ে দেবেন না। যতবার গুনা হয়ে যায় ততবার তওবা করুন। যখনই গুনা হয়ে যায় তখনি তওবা করুন। আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দিন আমীন। আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবে আল্লাহ হাফেজ।

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি