আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
আপনি কি ইসলামের উপর অটল থাকতে চান তাহলে আপনাকে পদে পদে পরিক্ষা ও বিপদের সম্মুখীন হতেই হবে।
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে দুনিয়াতে পাঠিয়ে তার ইবাদত করার জন্য। আপনি আমি তার উপর কেমন আস্থা এবং ভরসা রাখতে পারি সেটা আল্লাহ তায়ালা পরিক্ষা করে দেখবেন। কোন ব্যক্তি যদি তার দিনকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষাও তাকে বাড়িয়ে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি মনে করে যে আমার জীবনে যা কিছু ঘটে যাবে ঘটে যাক। আমি ইসলামের বিমুখ চলবো না। ইসলামের কোন বিধি বিধানকে আমি লংঘন করব না। তাহলে সেই ব্যক্তি পদে পদে পরীক্ষিত হবে।
আল্লাহ তায়ালা তাকে হাজার পরিক্ষার মধ্যে ফেলে তার ইমানকে আরো শক্ত এবং পরিপূর্ণ করবেন। তার আত্মীয়-স্বজনের মোকাবেলা করতে হবে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলোকে তাকে ছেড়ে দিতে হবে। ঐ সোসাইটি স্ট্যাটাস তাকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। যেহেতু সে ইসলাম ফলো করবে এটা দাবি করেছে। তাকে তার গেটাপ চেঞ্জ করতে হবে তার মাথায় টুপি পড়ে যাবে, তার মুখে দাড়ি গজিয়ে যাবে, তার প্যান্ট টাকটুর ওপরে উঠে যাবে, তার মুখ হারাম থেকে মুক্ত হয়ে যাবে, তার রং ঢং থাকবে না, যেখানে সেখানে হাসি ঠাট্টা তামাশা এনে দিতে পারবে না। তার ওয়াইফ তার ঘরে পর্দা থাকবে পর্দাবিহীন তারা চলবে না।
তার ঘরে মিউজিক বাজবে না। এগুলো প্রত্যেকটা জিনিস মেনটেন করে চলা একজন ব্যক্তি বুঝতে পারবে পরীক্ষা কি জিনিস। কিন্তু আমরা যারা মুসলিম ঘরে জন্ম। আমরা যারা মনে করি যে আমরা ইসলাম পালন করতেছি। কিন্তু আপনি সুন্নতে খাতনার দাওয়াতও আপনি উপস্থিত থাকেন। ব্রার্ডে দাওয়াতেও তো আপনি উপস্থিত থাকেন। ম্যারেজডের দাওয়াতও আপনি উপস্থিত থাকেন। পাশের বাড়ির ওরস হচ্ছে সেখানে আপনাকে পাওয়া যায়। ওখানে খাতনা করানো হচ্ছে সেখানে আপনাকে পাওয়া যায়। ওই গান-বাজনায় ওখানে আপনাকে চাঁদা দিতে দেখা যাচ্ছে।
ওয়াজ মাহফিল আপনি বসেন আবার গানের অনুষ্ঠান বসেন৷ আপনি বুঝবেন না পরীক্ষা কি জিনিস। যে ব্যক্তি মনে করে যে ধর্ম-কর্ম সবকিছু না। ধর্ম-কর্ম চলে দুনিয়াও করতে হয়। এ বুঝবেনা পরীক্ষা কি জিনিস। যে ব্যক্তির পোশাক যেমন খুশি তেমন।সে তার কালারে কোন ভেদাভেদ খুঁজে না কোনটা জায়েজ নাজায়েজ সে ভেদাভেদ বুঝে না যারা এগুলো মেনে চলে না তারা কোনদিন বুঝতে পারবে না যে ইসলামের উপর চলতে আবার কষ্ট কিসের সে বুঝবে না কখনো। যে ব্যক্তি ফজর পড়ে না সে বুঝবে না জামাতে উপস্থিত হওয়া
এটা কত কষ্টের ছিল সে বুঝবে না।
কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলছেন →যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করা যে কত কষ্টের এটা আল্লাহ বুঝে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা সে কথাটা উল্লেখ করে দিয়েছে কোরআনে। আপনি সেটা পাবেন কোন কোন আয়াতে সূরা বাকারার ৪৫ ৪৬ ৪৭ এই তিনটি আয়াতের মধ্যে পাবেন।
৪৫ থেকে বনি ইসরাইলদের সম্পর্কে বলছেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেছেন→পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে হেফাজত করা এটা অনেক বড় কাজ। তবে এটা কাদের জন্য সহজ যারা আল্লাহকে ভয় করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে তাদের জন্য সহজ। কিন্তু কাজটা কিন্তু সহজ নয়। আল্লাহ বলছেন কাজটা বড় কঠিন। যদি আপনার দাবি করেন যে আমার কথা মিথ্যা তাহলে কালকে থেকে আপনি ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে পড়ে দেখান তাহলে আপনি বাপের ব্যাটা। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন হে আমি মুসলিম।
আপনি ভাবছেন আপনি সমাজসেবা করে বহু বড় কাজ করে ফেলতেছেন। আপনি প্রথম কাতারে যারা উপস্থিত হয় তার ধারে কাছে পর্যন্ত নাই। আপনি যেই দিন আসতে পারবেন তাদের কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে কাতারে দাঁড়াতে পারবেন সেই দিন আপনি মনে করবেন যে হ্যাঁ আমি ধর্মকর্ম করছি। আমি কিছু নেকীর কাজ করতেছি। আল্লাহ বলছে→এটা আবশ্যই অনেক বড় ব্যাপার যারা পাঁচ ওয়াক্ত সালাতকে হেফাযত করে। তারা বুঝবে যে ইসলাম পালন করাটা কত কঠিন।
যে ব্যক্তি দেখবে যে আমি এই পথে গেলে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারব সে বোঝবেনা যে ইসলামকে ফলো করলে কতটা বাধাগ্রস্ত হতে হয়। কিন্তু সেই ব্যক্তি বুঝবে যে ব্যক্তি ওখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। যার ঘরে হয়তো আজকের খাবার আছে কালকের হয়তো নই। যার ঘরে হয়তো দেখতে পাবে যে তার বাচ্চার অনেক কিছু খেতে চাই দিতে পারে না কেন সে হালাল এর উপরে আছে সে চাইলে ওদের সাথে যেতে পারে না। সেই ব্যক্তি বুঝে ইসলাম পালন করলে কত কঠিন।
যদিও আলহামদুলিল্লাহ সাহাবীদের চেয়ে আমাদের অনেকটা লুজ করে দেয়া হয়েছে। আমাদের ঘরে অঢেল খাবার থাকে এক মাস পর্যন্ত কাজ না করলেও আপনার ঘরে এত পরিমাণ রিজাব আছে কিন্তু সাহাবিদের এটা হতো না। যে দিনকে যত শক্ত করে আঁকড়ে ধরবে যে ব্যক্তি ওয়াদা করে নেবে যে আমি হারাম খাব না। সে আল্লাহ তাকে দেখাবে যে ধর্ম পালন করার ক্ষেত্রে কতটা মজা আছে এবং কতটা কষ্ট আছে সেই ব্যক্তি বুঝতে পারবে।
রাসূল সালালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেন → যে যত বেশি দিনকে আঁকড়ে ধরবে সে তত বেশি কষ্টের সম্মুখীন হবে। আর যে ব্যক্তি যত বেশি তার ধর্মের ক্ষেত্রে শিথিল। দেখবে সে ধর্ম অতন্ত সহজ। সে দেখতে পারবেন ধর্ম সহজ। যেমন আজকে আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষ মনে করে সে একটু দাড়ি রেখে নিয়েছে, প্যান্ট-শার্ট সবই ঠিক আছে, টুপিও পড়ে নেয় ,শুক্রবার আসলে আপনার ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে চেয়ার তাকে দিয়ে দেয়া হয়। সে ভাবছে ধর্ম এরকম হলে তো ধর্ম অতন্ত সহজ।
তার বাসার যে কোন অনুষ্ঠান মরে গেছে কেউ হুজুর একজন ডাক দিলে হুজুরকে পাওয়া যায়। চল্লিশা করাতে হুজুরকে পাওয়া যায়। একটা হাফেজকে দিয়ে কোরআন পড়াতে হবে সে নিজে কোরআন পড়ার প্রয়োজন বোধ করে না। কেন কারণ সে জানে ৫০০ টাকা দিলে একজন হাফেজকে আমার ঘরে কোরআন পড়ে নিতে পারব সে দেখবে ইসলাম অত্যন্ত সহজ। যে ব্যক্তি তার দ্বীনের ক্ষেত্রে যত বেশি শিথিল।
আল্লাহ বলেছে →সে দিনকে ততবেশি হালকা দেখতে পাবে। কারণ যেই ব্যক্তি সামনাসামনি হতে চায় না হকের সেই ব্যক্তির সবকিছু আমভাবে দেখতে পাই। যেমনটা আগেই বলেছি সব রকমের স্টেজে মধ্যে তাদেরকে দেখা যায়। কিন্তু আপনি যখন দেখবেন আপনার ঘরে চাঁদা চাইতে এসেছে গানের আর আপনি বলবেন যে না আমি গানের টাকা দেই না। এই সমাজের টিকে থাকা আপনার জন্য কষ্ট মনে হবে।
তখন আপনি কষ্ট ফিল করবে। যখন আপনি দেখবেন পাশের বাসায় নাচ-গান হচ্ছে আর আপনি কি বাধা দিবেন যে দেখেন আমরাতো নামাজ পড়ি ফজরে উঠতে হবে মিউজিক বন্ধ করেন। আজকে এটা আমরা করি না বিধায় আজকে আমাদের কাছে ধর্ম সহজ। কিন্তু আমাকে বলতে হবে এটা আপনার দায়িত্ব। যখন আপনি আপনার দায়িত্ব থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন আপনি ভেবেছেন ইসলাম তো সহজ মানে কেউ নাচ গান করবে, কেউ ইবাদত করবে, কেউ কোরআন পড়বে এমনটা হয়ে গেছে আমাদের ধর্ম।
মানে আমরা সবাই ভাই ভাই যার যার ঘরে যা যা করি এটা আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার তারপরও আমরা মুসলিম। ঐক্য চায় তারা এভাবে ঐক্য হয় বাতিলের সাথে ঐক্য হয়। সৎ ব্যক্তি আর অসৎ ব্যক্তির সমান হতে পারে। কি করে হতে পারে। আল্লাহ বলছেন →যে জান্নাত জাহান্নাম সমান এটা হতে পারে না।
যে ব্যক্তি ইসলাম পালন করে আর যে ব্যক্তি ইসলাম পালন করেনা আংশিক কিছু ফলো করে তার মানে সেই ব্যক্তি ইসলামটাকে যেভাবে দেখতে পায় আর যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে কোরআন পড়ে তারা যেভাবে দেখতে পায় ওই লোকটি সেইম সেইম দেখতে পায় দেখতে পায় না। তারা যদি একই রকম দেখতে পেত তাহলে তার গালে দাড়ি গজিয়ে যেত, তার প্যান্টেও উপরে উঠে যেত, সেও কোরআন পড়তো, সেও আল্লাহ ছাড়া কাউকে ডাকত না।
সেও নামাজে পাঁচ ওয়াক্ত উপস্থিত হত। কারণ আপনি তো সেই ভাবে দেখতে পাচ্ছে না যেভাবে তারা দেখতে পায় যারা প্রথম কাতারে আসে। তাহলে দৃষ্টি ভঙ্গির মধ্যে পার্থক্য আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাম বলেছেন→ যার দিন যত শক্ত করে ধরবে সে তত বেশি বাধা প্রতিকূল লক্ষ্য করবে। কিন্তু যেই ব্যক্তি দ্বীনের ক্ষেত্রে শিথিল ঐযে বললাম আপনাকে দাওয়াত দিয়েছে বার্থডের দাওয়াত আপনি সেখানে উপস্থিত আপনি বুঝবেন না যে ধর্ম পালন করার মধ্যে কষ্ট রয়েছে বুঝবেন না।
আল্লাহ রাসুল সাল্লালাহ সালাম বলছেন → যে ব্যক্তি ধর্মের ক্ষেত্রে শিথিল তাকে তার ধর্মকে হালকা করে দেয়া হবে। বলো সত্য এসেছে এবং বাতিল বিলুপ্ত হয়েছে, নিশ্চয়ই বাতিল বিলুপ্ত হওয়ার ছিলো।আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবে আল্লাহ হাফেজ।
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি
ফেসবুক রিল মনিটাইজেশন করে উপার্জনের উপায় সমূহ!