Site icon Trickbd.com

কয়েকটি হাদিস ও পবিত্র কোরআনের বাণী[মুসলিম ভাইয়েরা অবশ্যই পড়বেন]

Unnamed

কয়েকটি হাদিস ও পবিত্র কোরআনের বাণী[অবশ্যই পড়বেন]
রাসুলুল্লাহ (সা: ) বলেছেন: মুসলিম সেই, যার হাত ও জিহবা হতে অপর মুসলমান নিরাপদ (Muslim :: Book 1 : Hadith 65 )

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: যে ব্যাক্তি আল্লাহর প্রতি এবং পরকলের প্রতি বিশ্বাস রাখে, তার উচিত উত্তম কথা বলা অথবা মৌনাবলম্বন করা। আর যে ব্যাক্তি আল্লাহর প্রতি ও পরকলের প্রতি বিশ্বাস রাখে, তার উচিত প্রতিবেশীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। যে ব্যাক্তি আল্লাহপাক ও পরকলের প্রতি বিশ্বাস রাখে, তার উচিত মেহমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা (মুসলিম:৭৯)

যুহাইর ইবনে হরব (রঃ) আবু যর (রাঃ) থেকে রেওয়ায়েত করেছেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যাক্তি জেনে শুনে নিজের পিতার পরিবর্তে অন্য কাকেও পিতা বলে, সে কুফরী করল। আর যে ব্যাক্তি এমন কোন কিছুর দাবী করে, যা তার নয়, সে আমার দলের নয় এবং সে যেন তার ঠিকানা দোযখ বানিয়ে নেয়। আর যে কেউ কাকেও কাফির বলে সম্বোধন করলে বা আল্লাহর শত্রু বলে ডাকলে সম্বোধনকৃত ব্যাক্তি যদি তদ্রুপ না হয়, তাহলে ঐ কুফরী, সম্বোধনকারীর প্রতি প্রত্যাবর্তীত হবে।(মুসলিম: ১২১)

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: মুসলমানকে গালমন্দ করা গুনাহর কাজ এবং তার সাথে মারপিট করা কুফরী। (মুসলিম:১২৫)

হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত , রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ সাবধান! মন্দ ধারণা হতে দূরে থাক।কেননা মন্দ ধারণা অনুমান সবচেয়ে বড় মিথ্যা। (বুখারী ও মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন-১৫৭৪)

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে একটা হাদীস বর্ণিত হয়েছে- তিনি বলেন, একদিন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাআদ (রাঃ)- এর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি ওযু করছিলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “হে সাআদ অপচয় করছো কেন! সাআদ বললেন, ওযুতে কি অপচয় হয়? নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ, প্রবাহমান নদীতে বসেও যদি তুমি অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করো- তা অপচয়”। (ইবনে মাজাহ)

আবু হুরাইরাহ (রাযি) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সা বলেছেন, কোন লোকের মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেস্ট যে, সে যা শুনে (খোঁজখবর নেয়া ছাড়াই) তাই বলে বেড়ায়। (মুসলিম ৫) -মিশকাত তাহক্কীক আলবানী হা/১৫৬)

আবু যর রা: থেকে রেওয়ায়েত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ তিন ব্যাক্তির সাথে রোজ কিয়ামতে আল্লাহ পাক কথা বলবেন না । তাদের দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না। তাদের কে পবিত্র করবেন না । আর তদের জন্য রয়েছে ভীষন আযাব। রেওয়ায়েতকারী বলেন তিনি এ আয়াতটি তিনবার পড়লেন । আবু যর রা: বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সঃ), তারা কারা? তিনি বললেন, তারা হল: যে ব্যাক্তি টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পড়ে , যে ব্যাক্তি দান করে খোটা দেয় এবং যে ব্যাক্তি মিথ্যা শপথ করে মাল বিক্রি করে। (মুসলিম-ঈমান পর্ব:১৯৫)

আল্লাহ বলেন,”আর যখন তোমাদের সালাম করা হয়, তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম উত্তর দিবে অথবা কমপক্ষে তার সমপরিমান দিবে, নিশ্চয় আল্লাহ সর্ব বিষয়ে হিসাব গ্রহণ কারী।” (সূরা নিসাঃ আয়াত:86)

মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও।(Sura Hujurat:7)

* নবী করিম (সাঃ) বলেছেনঃ “ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত ছেড়ে দেয়া।” (মুসলিম হাঃ ১৫৪)* রুরাইদা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “আমাদের এবং কাফিরদের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত, অতএব যে সালাত ছেড়ে দিল সে কুফরী করল।” (নাসাঈ, ই.সে. হাঃ৪৬৪)

হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত , রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ সাবধান! মন্দ ধারণা হতে দূরে থাক। কেননা মন্দ ধারণা অনুমান সবচেয়ে বড় মিথ্যা। (বুখারী ও মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন-১৫৭৪)

রাসুলুল্লাহ (সা: ) বলেছেন: বনি আদমের উপর ব্যভিচারের অংশ লিখিত রয়েছে, তা অবশ্যই সে পাবে । দুই চোখের ব্যভিচার হল দৃষ্টিপাত করা । দুই কানের ব্যভিচার হল শ্রবন করা। জিহবার ব্যভিচার হল বলাবলি করা। হাতের ব্যভিচার হল ধরা বা স্পর্শ করা । পায়ের ব্যভিচার হল হেটে যাওয়া । অন্তরের ব্যভিচার হল কামনা ও বাসনা করা। আর গুপ্তাঙ্গ তা বাস্তবায়িত বা অবাস্তব প্রতিপন্ন করে।(মুসলিম অনুবাদ: হাদিস:৬৫১৫)

“কাতার সোজা করো, কাঁধের সাথে কাঁধ বরাবর করো, ফাঁক বন্ধ করো, শয়তানের জন্য কোন ফাঁক রাখবে না। যে ব্যক্তি কাতারের সংযোগ স্থাপন করে আল্লাহও তার সাথে সংযোগ স্থাপন করেন, আর যে কাতার ছিন্ন করে, আল্লাহও তার সাথে সংযোগ ছিন্ন করেন।” (আবু দাউদ, প্রগুক্ত, কিতাবুস সালাত, বাব নং ৯৫, হাদীস নং ৬৬৬, ১/১৭৮)

“এক মুসলিম আর একজন মুসলিম এর ভাই । সে তার উপর জুলুম করে না, এবং তাকে শত্রুর হাতে সমর্পনও করে না । এবং যে তার ভাইয়ের অভাব মিটিয়ে দিবে, আল্লাহপাক তার অভাব পূরণ করে দিবেন । এবং যে ব্যাক্তি, কোন মুসলিমের বিপদ দুর করবে, আল্লাহপাক তার বিনিময়ে কেয়ামতের দিন তাকে বিপদ থেকে মুক্ত করবেন । যে ব্যাক্তি, মুসলমানের দোষত্রুটি গোপন রাখবে, আল্লাহপাক রোজ কিয়ামতে তার দোষত্রুটি গোপন রাখবেন “(মুসলিম অনুবাদ বইয়ের : হাদীস ৬৩৪৪)

=========[[[[[[[[[=]]]]]]]]=========

*Callected From : Google

*1st Published : TechzBD