Site icon Trickbd.com

আসুন দেখি নেই এপ্রিল ফুল” ইতিহাসের এক রক্তাক্ত অধ্যায়

………………“এপ্রিল ফুল” ইতিহাসের এক রক্তাক্ত অধ্যায়”………………..

নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লী আলা রাসূলিহীল কারীম। আম্মা বাদ,
এপ্রিল মাসে আমাদের দেশে দুটি দিবস পালন করা হয়ে থাকে। পহেলা এপ্রিল এবং পহেলা বৈশাখ বা ১৪ই এপ্রিল। পহেলা এপ্রিল বাংলায় ‘‘এপ্রিল ফুল’’ নামে পরিচিত। এখানে ফুল অর্থ ইংরেজী ফুল অর্থাৎ বোকা, হাবা বা নির্বোধ। ইংরেজিতে বলা হয়: April Fools’ Day or All Fools’ Day. এদিনে ‘‘প্র্যাকটিক্যাল জোক’’ বা বাস্তব বা ব্যবহারিক তামাশার নামে একে অপরকে মিথ্যা বলে ঠকানো হয়ে থাকে। এ উপলক্ষ্যে পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে নানা রকম উৎসবের ব্যবস্থা করা হয়।
এপ্রিল ফুলের রহস্য বুঝতে আমাদের মানব ইতিহাসের কয়েকটি তথ্য জানতে হবে।
আদম আলাইহিস সালাম-এর মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে মানব জাতির পথ চলা শুরু। তাঁর সন্তানেরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পরবর্তী প্রথম রাসূল ছিলেন নূহ আলাইহিস সালাম। নূহ আলাইহিস সালাম-এর প্লাবনের পর তাঁর সন্তানেরা ক্রমান্বয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তাঁর তিন ছেলের নাম ‘‘হাম’’, ‘‘সাম’’ ও ‘‘ইয়াফিস’’। হামের বংশধরগণ ক্রমান্বয়ে আফ্রিকায় চলে যান। সামের বংশধরগণ মূলত মধ্যপ্রাচ্যে বসবাস করেন এবং কেউ কেউ পার্শবতী দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়েন। ভারতের দ্রাবিড়গণও তাদেরই বংশধর বলে বুঝা যায়। ইয়াফেসের বংশধরগণ অনেকে ইরানে বসবাস করেন। আরেক দল ‘আর্য’’ নামে ভারতে আসেন এবং আরেক দল ইউরোপে চলে যান। এজন্য ইউরোপ, ভারতের আর্য ও প্রাচীন ইরানের ভাষা, কৃষ্টি ও ধর্মের মধ্যে অনেক অনেক মিল পাওয়া যায়। তার একটি দিক হলো পহেলা এপ্রিল।
বসন্তের শেষে ভারতে হিন্দুরা হোলি উৎসর পালন করেন। হিন্দুদের বিশ্বাস অনুসারে ভগবান বিষ্ণুর অবতার বা মানবরূপ শ্রীকৃষ্ণের সাথে গোপিনীদের লীলাখেলার স্মৃতিপালন ও উদযাপনে তারা এ উৎসব করেন। এ হোলি উৎসবেরই প্রাচীন ইউরোপীয় রূপ ছিল প্রাচীন রোমান ধর্মের হিলারিয়া (Hilaria) উৎসব। এ উপলক্ষ্যে নানারকম অশ্লীল, অশালীন আনন্দ উৎসব প্রচলিত ছিল ইউরোপে।
ইউরোপে খৃস্টধর্ম আগমনের পরে ‘‘ভিন্নমতের’’ কারণে লক্ষ লক্ষ খৃস্টান, ইয়াহূদী ও মুসলিমকে হত্যা ও আগুনে পোড়ানো হলেও, খৃস্টান পোপ-পাদরিগণ ধর্মকে সহজ করার নামে সকল প্রকার পাপাচার প্রশ্রয় দিয়েছেন। এ কারণে খৃস্টান ইউরোপে এপ্রিল ফুল দিবস নামে হিলারিয়া বা হোলি উৎসবের বিভিন্ন প্রকারের পাপাচার, মিথ্যাচার ও অশ্লীলতা প্রশ্রয় দেওয়া হয়। এমন একটি মহাপাপ, মিথ্যাচার ও বর্বরতা ছিল স্পেনের মুসলিমদের সাথে খৃস্টানগণের ‘‘এপ্রিল ফুল’’।
স্পেনের অত্যাচারিত মানুষদের আহবানে সাড়া দিয়ে মুসলিম বাহিনী ৯২ হিজরী মুতাবেক ৭১১ খৃস্টাব্দে স্পেনে প্রবেশ করে। মুসলিমগণই ইউরোপের মানুষদেরকে জ্ঞানবিজ্ঞান শিক্ষা দেন। মুসলিম স্পেনের গ্রানাডা, কর্ডোভা ও অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পড়তে আসত। প্রায় আট শত বৎসর মুসলিমগণ স্পেন শাসন করেন। শেষ দিকে তাদের মধ্যে আভ্যন্তরীন কোন্দল ছড়িয়ে পড়ে। ফলে খৃস্টানগণ ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন অঞ্চল মুসলিমদের থেকে ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। ৮৯৮ হিজরী মুতাবেক ১৪৯৩ খৃস্টাব্দে রাজা ফার্দিনান্দ ও রানী ইযাবেলার যৌথ খৃস্টান বাহিনী মুসলিমদের শেষ রাজধানী গ্রানাডা দখল করতে সক্ষম হয়। তারা এ সময়ে ‘‘এপ্রিল ফুল’’ নামে মুসলিমদের প্রতারণা করে তাদের মধ্যে গণহত্যা চালাতে সক্ষম হয়।
বিশ্বের যে কোনো ঐতিহাসিকের বই পড়ে দেখুন, ৮০০ বৎসরের শাসনামলে মুসলিমগণ কখনোই খৃস্টানদেরকে ধর্মান্তরিত করতে চেষ্টা করেন নি বা দেশ থেকে বের করে দেন নি। ইয়াহূদী-খৃস্টানগণ মুসলিম শাসনামলে সর্বোচ্চ নাগরিক অধীকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করেছেন। কিন্তু মুসলিমদের পরাজিত করার পরে পাদরীগণের নেতৃত্বে খৃস্টানগণ মুসলিমদের উপর যে ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়েছেন তার কোনো নযির বিশ্বের ইতিহাসে পাবেন না। লক্ষ লক্ষ মুসলিমকে মসজিদে আটকে আগুনে পুড়িয়ে, পাহাড় থেকে ফেলে, সমূদ্রের মধ্যে জাহাজ ডুবিয়ে ও গণজবাই অনুষ্ঠানে জবাই করে হত্যা করা হয়। অনেককে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়। এরপরও প্রায় একশত বৎসর পরে ১৬০৯ খৃস্টাব্দের ৪ আগস্ট প্রায় ৫০ লক্ষ মুসলিমকে স্পেন থেকে বিতাড়িত করা হয়। কার্ডিনাল বা খৃস্টান ধর্মগুরুর আদেশে জ্ঞানবিজ্ঞানের মূল সূত্র লক্ষ লক্ষ আরবী পুস্তক পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
শুধু মুসলিমগণ নয়, ইয়াহূদীদের উপরও খৃস্টানগণ একইরূপ অত্যাচার করে। অনেককে জোর করে খৃস্টান বানায়। অধিকাংশকে স্পেন থেকে বিতাড়িত করে। বিতাড়িত ইয়াহূদীরা ইউরোপের কোনো দেশে ঠাই না পেয়ে মুসলিম তুরস্কে এসে শান্তিতে বসবাস করতে থাকে। জুইশ এনসাইক্লোপিডিয়া ও অন্যান্য সকল এনসাইক্লোপিডিয়া ও ইতিহাস গ্রন্থে আপনারা এ সকল তথ্য দেখতে পাবেন।
এ হলো খৃস্টানদের এপ্রিল ফুলের ইতিহাস। যদি ইসলামে প্র্যাকটিক্যাল জোক নামে বা আনন্দ উল্লাসের নামে মিথ্যা বলার অনুমতি থাকত তাহলেও এ দিনে কোনো মুসলিম আনন্দ করতে পারতেন না। কারণ প্রথমত তা প্যগান বা মুর্তিপূজকদের ধর্মীয় উৎসবের অংশ ও অনুকরণ। দ্বিতীয়ত এ দিবসটি মুসলিমদের জন্য দুঃখের ও প্রতিবাদের দিন, আনন্দের নয়। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হলো, হাসি-মস্করার নামে মিথ্যা বলা ইসলামে কঠিনভাবে নিষিদ্ধ ও হারাম।
মিথ্যা ইসলামে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হারাম গোনাহগুলির অন্যতম। মিথ্যা বলা মুনাফিকের অন্যতম চিহ্ন। মিথ্যা সর্বাবস্থায় হারাম। সবচেয়ে জঘন্যতম মিথ্যা হলো আল্লাহ বা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামে, হাদীসের নামে বা ধর্মের নামে মিথ্যা বলা। এরপর জঘন্য মিথ্যা হলো মিথ্যার মাধ্যমে কোনো মানুষের অধিকার নষ্ট করা, সম্পদ দখল করা বা মিথ্যা কথা বলে কিছু বিক্রয় করা। বিভিন্ন হাদীসে এরূপ কর্মের জন্য কঠিন অভিশাপ ও কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে।
ইসলামে হাসি-মস্করা, আনন্দ ও বিনোদনকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। কিন্ত সে জন্য মিথ্যা বলা বৈধ করা হয় নি। রাসূলুল্লাহ r নিজে হাঁসি-মস্করা করতেন, কিন্তু মিথ্যা পরিহার করতেন। এক বৃদ্ধাকে বলেন, কোনো বুড়ো মানুষ তো জান্নাতে যাবে না। এতে বেচারী কান্নাকাটি শুরু করে। তখন তিনি বলেন, বুড়োবুড়িকে আল্লাহ জোয়ান বানিয়ে জান্নাতে দিবেন। অপর একব্যক্তি তাঁর কাছে এসে সফরের জন্য একটি উট চান। তিনি বলেন, তোমাকে আমি একটি উটনীর বাচ্চা দিব। লোকটি হতাশ হয়ে বলে, বাচ্চাতে আমার কি হবে? তিনি বলেন, সকল উটই তো উটনীর বাচ্চা। এরূপ অনেক ঘটনা হাদীসে রয়েছে। সাহাবীগণও হাসি-মস্করা করতেন, তবে মিথ্যা বর্জন করতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম rবলেন:
«وَيْلٌ لِلَّذِي يُحَدِّثُ بِالحَدِيثِ لِيُضْحِكَ بِهِ القَوْمَ فَيَكْذِبُ، وَيْلٌ لَهُ وَيْلٌ لَهُ»

‘‘যে ব্যক্তি মানুষ হাসানোর জন্য মিথ্যা বলে তার জন্য ধ্বংস! তার জন্য ধ্বংস! তার জন্য ধ্বংস!’’[1] অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«أَنَا زَعِيمٌ بِبَيْتٍ فِي رَبَضِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْمِرَاءَ وَإِنْ كَانَ مُحِقًّا، وَبِبَيْتٍ فِي وَسَطِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْكَذِبَ وَإِنْ كَانَ مَازِحًا وَبِبَيْتٍ فِي أَعْلَى الْجَنَّةِ لِمَنْ حَسَّنَ خُلُقَهُ»
‘‘যে ব্যক্তি সর্বদা মিথ্যা বর্জন করে, মস্করা বা কৌতুক করতেও মিথ্যা বলে না, তার জন্য জান্নাতের মধ্যদেশে একটি বাড়ির জন্য আমি দায়িত্ব গ্রহণ করলাম।’’[2]
মস্করা বা কৌতুকচ্ছলে কাউকে ভয় পাইয়ে দেওয়াও জায়েয নয়। এক সফরে সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ r-এর সাথে ছিলেন। একজন সাহাবী ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তখন অন্য একজন গিয়ে তার রশিটি নিয়ে আসেন। এতে ঘুমন্ত ব্যক্তি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে উঠে পড়েন। তার ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থা দেখে সাহাবীগণ হেসে উঠেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামr বলেন, তোমরা হাসছ কেন? তারা ঘটনাটি বললে তিনি বলেন:
«لَا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يُرَوِّعَ مُسْلِمًا»
‘‘কোনো মুসলিমের জন্য বৈধ নয় যে, সে অন্য মুসলিমকে ভয় পাইয়ে দিবে।’’[3]
আমরা অনেক সময় কৌতুকভরে বা ভুলানোর জন্য শিশুদের সাথে মিথ্যা বলি। অথচ এরূপ মিথ্যাও মিথ্যা এবং গোনহের কাজ। শুধু তাই নয়, এরূপ মিথ্যার মাধ্যমে আমরা শিশুদেরকে মিথ্যায় অভ্যস্ত করে তুলি এবং মিথ্যার প্রতি তাদের ঘৃণা ও আপত্তি নষ্ট করে দিই। কিশোর সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু আমির বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ r আমাদের বাড়িতে বসা ছিলেন, এমতাবস্থায় আমার মা আমাকে ডেকে বলেন, এস তোমাকে একটি জিনিস দিব। রাসূলুল্লাহ বলেন, তুমি তাকে কি দিতে চাও? তিনি বলেন: আমি তাকে একটি খেজুর দিতে চাই। রাসূলুল্লাহ r বলেন:
«أَمَا إِنَّكِ لَوْ لَمْ تُعْطِهِ شَيْئًا كُتِبَتْ عَلَيْكِ كِذْبَةٌ»
‘‘তুমি যদি তাকে কিছু না দিতে তবে তোমার নামে একটি মিথ্যার গোনাহ লেখা হতো।’’[4]
নিজের সাথে নিজে মিথ্যা বলাও বৈধ নয়। আর এজন্যই কেউ যদি নিজের মনে শুধু নিজের জন্যই কোনো বিষয়ের কসম করে যে, আমি অমুক কাজটি করব বা করব না, কিন্তু পরে তার ব্যক্তিগত কসম না রাখতে পারে তবে তাকে কসমের কাফ্‌ফারা দিতেই হবে। কাজেই নিজের মনে নিজের জন্য কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা পূরণ করুন, নিজের মনকে মিথ্যায় অভ্যস্ত করবেন না।
শুধু নিশ্চিত মিথ্যাই নয়, মিথ্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে এরূপ কথা বলতে বা যা কিছু শোনা যায় সবই বলাবলি করতে নিষেধ করেছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম r। তিনি বলেন:
«كَفَى بِالْمَرْءِ كَذِبًا أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ»
‘‘একজন মানুষের মিথ্যাবাদি হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনবে তাই বলবে।’’[5]
এ অপরাধটি আমরা সকলেই করি। ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্ব ইত্যাদি সম্পর্কে মুখরোচক গল্প, গণমাধ্যমের খবর ইত্যাদি যা কিছু শুনি তাই বলি। অথচ বিষয়টি সঠিক কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে কথা বলা ঠিক নয়। যদি কোনো মানুষের ব্যক্তিগত মর্যাদাহানী বা গীবত জাতীয় কিছু না হয়, তবে সে ক্ষেত্রে বড়জোর বলা যেতে পারে যে, অমুক একথা বলেছে বলে শুনেছি, সত্য মিথ্যা বলতে পারি না।
সর্বদা সত্য বলুন। সত্যপ্রীতি আপনাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ rসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«عَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ، فَإِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ، وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ، وَمَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَصْدُقُ وَيَتَحَرَّى الصِّدْقَ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللهِ صِدِّيقًا، وَإِيَّاكُمْ وَالْكَذِبَ، فَإِنَّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ، وَإِنَّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ، وَمَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَكْذِبُ وَيَتَحَرَّى الْكَذِبَ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللهِ كَذَّابًا»
‘‘তোমরা সর্বদা সত্য আঁকড়ে ধরবে; কারণ সত্য পুণ্যের দিকে ধাবিত করে আর পুণ্য জান্নাতে নিয়ে যায়। একজন মানুষ যখন সর্বদা সত্য বলতে থাকে এবং সত্য বলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে তখন সে এক পর্যায়ে আল্লাহর কাছে ‘‘সিদ্দীক’’ বা মহাসত্যবাদী বলে লিখিত হয়ে যায়। আর তোমরা মিথ্যা সর্বোতভাবে বর্জন করবে। কারণ মিথ্যা পাপের পথে পরিচালিত করে এবং পাপ জাহান্নামে নিয়ে যায়। একজন মানুষ যখন মিথ্যা বলে এবং মিথ্যা বলার সুযোগ খুঁজে বেড়ায় তখন সে এক পর্যায়ে আল্লাহর নিকট মহামিথ্যাবাদী বলে লিখিত হয়ে যায়।[6]
________________________________________
[1] তিরমিযী, আস-সুনান ৪/৫৫৭; হাদীস নং ২৩১৫; আবূ দাউদ, আস-সুনান ৪/২৯৭; হাদীস নং ৪৯৯০।
[2] আবূ দাউদ, আস-সুনান ৪/২৫৩; হাদীস নং ৪৮০০।
[3] আবূ দাউদ, আস-সুনান ৪/৩০১;হাদীস নং ৫০০৪।
[4] আবূ দাউদ, আস-সুনান ৪/২৯৮; হাদীস নং ৪৯৯১।
[5] মুসলিম, আস-সহীহ ১/১০-১১; ভূমিকা।
[6] মুসলিম, আস-সহীহ ৪/২০১২-২০১৩; হাদীস নং- ২৬০৭।