একজন কাজির নিজের ঘটনা। তিনি যখন
যুবক ভার্সিটিতে পড়ছেন তখনকার।
তিনি ও তার স্ত্রী একবাসায়
থাকতেন। একদিন বাসায় ফিরে তিনি
তার স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায়
এক লোকে ধরে ফেললেন। পরিস্তিতি
খুবই সিরিয়াস। ওই লোকটি ও তার স্ত্রী
খুবই ভয় পেয়ে গেল। তিনি খুবই শান্ত
ভাবে লোকটিকে বললেন, ‘ জামা
কাপড় ঠিক করে আমার সাথে আসো
তাড়াতাড়ি।’ লোকটি মিন মিন করে
বলেই চলছে যে তার কোন দোষ নাই।
কাজির স্ত্রীই তাকে প্রলুব্ধ করেছে।
তিনি তাকে চুপ করতে বললেন। শুধু
বল্লেন,’হাসবুনাল্লাহ ওয়া নি’মাল
ওয়াকিল’ (”আল্লাহ্ আমাদের জন্য
যথেষ্ট ও তিনি অতি উত্তম
রক্ষাকর্তা।’)। লোকটিকে নিয়ে
তিনি বাড়ির বাইরে এসে চলে
যেতে বললেন। লোকটি ভাবছে এ
কেমন লোক এইভাবে পেয়েও কিছু করল
না!!! সুন্দর করে বাইরে আগায় দিল।
পাগল নাকি।
কাজি বাড়ির ভিতরে মনোযোগ
দিলেন এবার। স্ত্রীকে বললেন
তোমার সব কিছু নিয়ে রেডি হও
আমাদের সম্পর্ক শেষ। স্ত্রী কেঁদেই
চলছে। তিনি স্ত্রীকে তার বাবার
চলে আসলেন। কাউকে কিছুই বললেন
না। স্ত্রীকেও কাউকে কিছু না বলতে
বললেন। স্ত্রীও মেনে নিল। কারণ তার
দোষেই ত এগুলো হল।
এরপর বহু বছর পার হয়ে গেল। তিনি
আবার বিয়ে করেছেন। সেই ঘরে
ছেলে মেয়ে হয়েছে। জীবনে সফল এক
ব্যক্তি। তিনি এখন বিখ্যাত এক কাজি।
একদিন তার কোর্টে এক বিচার এল। এক
লোক একজনকে খুন করেছে। তার বিচার
করতে হবে। ভিক্টিমের পরিবার কেস
করেছে। আসামিকে যখন আনা হল,
কাজি তাকে দেখে চিনে ফেললেন।
এইত সেই ব্যক্তি যাকে তিনি তার
স্ত্রীর সাথে পেয়েছিলেন!!! তিনি
জিজ্ঞেস করলেন খুন কেন হয়েছে। খুন
করেছে কেন সে? লোকটি বলল, সে
তার স্ত্রীর সাথে বাজে ভাবে ওই
ব্যক্তিকে তাদের ঘরে পেয়েছে। তাই
সে মাথা গরম করে লোকটিকে মেরে
ফেলেছে। কাজি বললেন, তাই বলে ত
খুন করা যাবে না। তুমি মাথা ঠাণ্ডা
রেখে সিদ্ধান্ত নিলেই পারতে।
লোকটাকে চলে যেতে দিয়ে,
স্ত্রীকে তালাক দিলেই হত। এখনত
তোমাকে খুনের সাজা পেতেই হবে!!!
লোকটি বলছে, “কেউ কি এটা করতে
পারে। কাউকে কিছু না বলে ওই
লম্পটকে চলে যেতে দিবে!!! আপনি
হলে পারতেন এটা? কি করতেন আপনি?”
কাজি তখন কঠিন ভাবে বললেন, ” আমি
হাসবুনাল্লাহ ওয়া নি’মাল ওয়াকিল।
তোমাকে আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম”
এবার এই কথা শুনে লোকটার সব কথা
মনে পরে গেল। এইত সেই ব্যক্তি যে
তাকে ছেড়ে দিয়েছিল বহুবছর আগে।
সে তার অপরাধ স্বীকার করে
কান্নাকাটি করে বলল কাজির স্ত্রীর
দোষ ছিল না সেই মেয়েটাকে
ফুসলিয়ে ছিল। কাজি বললেন, ” এখন
তুমি যা করেছ এটা থেকে কিভাবে
বাঁচবে। আমার হাতে ত কিছু নাই।
নিহতের পরিবার যা চায় তাই করতে
হবে”
কাজি চেষ্টা করেছিলেন নিহতের
পরিবার যেন একটু ছাড় দেয়। তবে
তারা রাজি হয়নি। ফলে লোকটির
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
শিক্ষা: মাথা গরম করে কিছু করবেন না।
অন্য কারো সাথে যা করবেন আল্লাহ
ঠিক তাই আপনাকে ফিরিয়ে দিবেন।