————————————————————
আমাদের দেশে শিশুর জন্মের পর নাম রাখা
নিয়ে আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে একটা
প্রতিযোগিতা দেখা যায়। দাদা এক নাম রাখলে নানা অন্য একটা নাম পছন্দ করেন। বাবা-মা শিশুকে এক নামে ডাকে।
খালারা বা ফুফুরা আবার ভিন্ন নামে ডাকে। এভাবে একটা বিড়ম্বনা প্রায়শঃ দেখা যায়। এ ব্যাপারে শাইখ বাকর আবু যায়দ বলেন, “নাম রাখা নিয়ে পিতা-মাতার মাঝে বিরোধ দেখা দিলে শিশুর পিতাই নাম রাখার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
“তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃপরিচয়ে ডাক। এটাই আল্লাহর কাছে ন্যায়সঙ্গত।”[সূরা আহযাব ৩৩:৫]
শিশুর পিতার অনুমোদন সাপেক্ষে আত্মীয়স্বজন বা অপর কোনো ব্যক্তি শিশুর নাম রাখতে পারেন।
তবে যে নামটি শিশুর জন্য পছন্দ করা হয় সে নামে শিশুকে ডাকা উচিত। আর বিরোধ দেখা দিলে পিতাই পাবেন অগ্রাধিকার। অর্থাৎ, * নাম রাখার অধিকার সন্তানের পিতার।
★ যদি কারো নাম ইসলামসম্মত না হয়; বরঞ্চ ইসলামী শরিয়তে নিষিদ্ধ এমন নাম হয় তাহলে এমন নাম পরিবর্তন করা উচিত। যেমন- ইতিপূর্বে উল্লেখিত হাদিস হতে আমরা জানতে পেরেছি একজন সাহাবীর সাথে ‘হাকাম’ শব্দটি সংশ্লিষ্ট
হয়েছিল, কিন্তু হাকাম আল্লাহর খাস নামসমূহের একটি; তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা পরিবর্তন
মহিলা সাহাবী যয়নব রাদিয়াল্লাহু আনহা এর নাম ছিল বার্রা ( ﺑَﺮَّﺓٌ -পূর্ণবতী)। তা শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন তুমি কি আত্মস্তুতি করছ?
তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নামও পরিবর্তন করে ‘যয়নব’ রাখলেন।
* রাসুল (স) বলেছেন ” কেউ যখন কারও অনুসরণ করে সে তাদের মধ্যে গন্য হবে”
তাই কোন চিত্রে অভিনয়কারী দের সাথে নাম মিলিয়ে রাখা বড় একটি পাপ, আর অভিনয় শিল্পী দের স্থান তো দোযখে! কেনো, তা হাদিস থেকে পরে জেনে নিতে পারবেন !
যাদের নাম অভিনয়শিল্পী দের নায়িকা দের সাথে মিল, তাদের সাথে ইমানদার মুসলিমের বিয়ে “নাম না পালটিয়ে” জায়েজ নয়। তাই সাবধান।
কেয়ামতের দিন বাবা ও মায়েরা তার সন্তান দের ভালো নাম না রাখার কারণে লজ্জিত হবেন।। তাই তাদেরকেও সতর্ক হতে হবে।